ভারতে তরুণীকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার জেরে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় আসামি আমিরুল ইসলামের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন আদালত।
সোমবার (১৪ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন আরার আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আরেক আসামি আবদুস সালামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের দুই আসামিকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। এরপর আসামি আমিরুল স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করা হয়।অপরদিকে আসামি সালামকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আমিরুলের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর দুই আসামিকেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৮ জুন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালত তাদের দুই জনের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৭ জুন দুপুরে সাতক্ষীরা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পাচার হওয়ার ৭৭ দিনের মাথায় ভারত থেকে সম্প্রতি পালিয়ে দেশে ফিরে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী এক তরুণী। মামলায় মোট ১২ জনকে আসামি করা হয়ে। তারা হহলো— রিফাদুল ইসলাম হৃদয়, আনিস, আবদুল কাদের, মেহেদী হাসান বাবু, মহিউদ্দিন, হারুন, বকুল ওরফে ছোট খোকন, সবুজ, রুবেল ওরফে রাহুল, সোনিয়া, আকিল ও ডালিম।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতে চার-পাঁচ জন তরুণ-তরুণী মিলে এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে পৈশাচিক শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করে। সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে তা দ্রুত ভাইরাল হয়।
এ নিয়ে দেশে তদন্তে নামে পুলিশ। পরে তারা ভিডিও’র একজনের সঙ্গে বাংলাদেশি এক তরুণের ছবির মিল খুঁজে পায়। পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, নির্যাতনকারী ওই যুবকের নাম রিফাতুল ইসলাম হৃদয়। সে রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসিন্দা। রিফাতুল ইসলাম হৃদয়ের পরিচয় তার মা ও মামার কাছ থেকে শনাক্ত করা হয়। এলাকায় সে টিকটক হৃদয় নামে পরিচিত। তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, চার মাস আগে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তাকে।