বদলে যাচ্ছে পুলিশের পোশাক। এক সময় ছিল খাকি, বদলে গেছে অনেক আগেই। পরে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে দুই রংয়ের পোশাক দেওয়া হয়। তবে, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও ব্যাটালিয়ন ভেদে পোশাকের ভিন্নতাও রয়েছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যাটালিয়নের (এসপিবিএন) পোশাক সম্পূর্ণ ভিন্ন রংয়ের। র্যাব ছাড়া অন্য সব ব্যাটালিয়ন ও ইউনিটের পোশাক একই রকম করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও পুলিশ সদর দফতরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০০৪ সালে পুলিশের পোশাক পরিবর্তন করে মহানগরগুলোয় হালকা জলপাই রংয়ের করা হয়। অন্যদিকে, জেলা পুলিশকে দেওয়া হয় গাঢ় নীল রংয়ের। র্যাবের কালো ও এপিবিএন-এর পোশাক তৈরি করা হয় খাকি, বেগুনি আর নীল রংয়ের মিশ্রণে। আর এসপিবিএন-এর পোশাকের জামার রং করা হয় ধূসর রংয়ের। প্যান্টও ভিন্ন ভিন্ন রংয়ের করা হয়। বর্তমানে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা এসব রংয়ের পোশাক পরেই দায়িত্ব পালন করছেন।
বর্তমানে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) কিংবা স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যাটালিয়নের (এসপিবিএন) যে পোশাক রয়েছে, সেই পোশাক নিয়মিত পুলিশের জন্যও করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। তবে, সেটা কবে নাগাদ হবে জানা যায়নি বলে জানা গেছে পুলিশ সদর সদর দফতর সূত্রে।
পুলিশের পোশাক পরিবর্তনের বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (সাপ্লাই) রেজাউল করিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এমন কোনও পরিকল্পনার বিষয়ে আমার জানা নেই। পুলিশের সব ইউনিট ও ব্যাটালিয়নের পোশাক এক জায়গা থেকে তৈরির একটি পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চার দলীয় জোট সরকারের সময় ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলিশের পোশাক-বিধি সংশোধন করা হয়। নতুন বিধিতে পুলিশের মনোগ্রাম থেকে নৌকা, ক্যাপ, ব্যাজ ও বেল্ট থেকে নৌকার সঙ্গে বৈঠা বাদ দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে সেই বিধি আবার পরিবর্তন করে ১৯৮৫ সালের বিধি বহাল করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার।
পুলিশের সব সদস্যের পোশাকের ডান হাতের ওপর অংশে ‘বাংলাদেশ পুলিশ’ লেখা থাকে। কিন্তু আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) কর্মরত পুলিশের শার্টের ডান হাতে কলম রাখার জন্য তিনটি পকেট রাখা হয়।
/এমএনএইচ/আপ-এনএস/