আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে কানাডা প্রবাসী ফুটবলার সামিত সোমকে পেতে উদগ্রীব হয়ে আছে বাফুফে। তার পাসপোর্টের জন্য জন্মনিবন্ধন করা হয়েছে আগেই। এরপর পাসপোর্ট তৈরি ও কানাডিয়ান সকার অ্যাসোসিয়েশনের অনাপত্তিপত্রের অপেক্ষায় ছিল তারা। পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। তার আগেই কানাডা অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফাহাদ গণমাধ্যমকে জানালেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে আমরা কানাডা ফুটবল ফেডারেশনের চিঠি পেয়েছি। সামিত কানাডা জাতীয় দলের হয়ে দুই ম্যাচে কত মিনিট, কোন প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলেছেন এর সম্পূর্ণ বিবরণ রয়েছে। আগামীকাল (শুক্রবার) সামিতের পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার কথা। পাসপোর্ট হওয়ার পর আমরা ফিফায় আবেদন করবো। ১০ জুন ঢাকায় ম্যাচ খেলানোর জন্য বাফুফে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।’
এর আগে ইংল্যান্ড প্রবাসী হামজা চৌধুরীকে এনেছে বাংলাদেশ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এই মিডফিল্ডারের পাসপোর্ট হওয়ার পর ইংল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশনের অনাপত্তিপত্র নিয়েছিল বাফুফে। সামিতের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট পাওয়ার আগেই বাংলাদেশের জন্মনিবন্ধন দিয়ে কানাডা সকারের কাছে আবেদন করেছিল দেশের ফুটবল ফেডারেশন।
কানাডার অনাপত্তিপত্র পেলেও ফিফা ছাড়পত্র না দিলে সামিতকে খেলানো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে ১০ জুন ঢাকায় তার খেলা বেশ কঠিন মনে করিয়ে দিয়েছেন ফাহাদ। হামজার জন্য ফিফার অনুমতি পেতে চার মাস অপেক্ষা করতে হয়েছিল বাফুফেকে। তেমন কিছু সামিতের বেলাতেও হলে সিঙ্গাপুর ম্যাচে তাকে পাওয়া অসম্ভব।
কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশন সামিতের পাসপোর্টের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। সেটি পাওয়ার পর কানাডার অনাপত্তিপত্র দিয়ে ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছে আবেদন করা হবে। তারা ছাড়পত্র দিলেই অপেক্ষার পালা শেষ। ফিফার কাছ থেকে কত তাড়াতাড়ি সাড়া পাওয়া যাবে, সেটা না ভেবে আপাতত পাসপোর্ট ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা দ্রুত শেষ করে নিজেদের কাজটা এগিয়ে রাখতে চায় বাফুফে।
কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব কালাভরি এফসির মিডফিল্ডার সামিত। ২০১৬ সালে কানাডার অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে ৭টি ও ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলেছেন ৪টি ম্যাচ। ২০২০ সালে কানাডার জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেন দুটি ম্যাচ।
২৭ বছর বয়সী সামিতের জন্ম কানাডায়। মা-বাবা দুজনই বাংলাদেশি। ফলে তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেতে খুব বেশি সমস্যা হবে না মনে করছে বাফুফে।