X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

গাছ বিনিময়

উদিসা ইসলাম
২০ জুলাই ২০২১, ০৮:৫১আপডেট : ২০ জুলাই ২০২১, ১০:৩১

রাজধানী ঢাকায় গত একবছরে ছাদ বাগান আর বারান্দায় সবুজ বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে বন্ধু কিংবা ফেসবুকের সীমিত পরিসরে চেনাজানাদের মধ্য গাছের আদান-প্রদান। কারও বাগানের নীলমণির ছবি ফেসবুকে দেখে আপনি সেটি পেতে অনায়াসে আবদার করতে পারেন।

নিজ হাতে গড়া গাছ থেকে চারা বানিয়ে বন্ধুদের দিতে কেমন লাগে- এমন প্রশ্নে ফাহমিদা আখতার বলেন, ‘বন্ধুমহলে আমার গাছ চর্চার বিষয়টি সুপরিচিত। পরে কলিগদের মধ্যেও পরিচিতি পেয়েছে। ছাদ বা বারান্দা কৃষির চর্চা বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীসহ সারাদেশে সৌখিন বাগানি বেড়েছে অনেক। এসব সৌখিন বাগানিরা সামাজিক মাধ্যমে বেশকিছু গ্রুপও তৈরি করেছেন। এসব গ্রুপে গাছের পরিচর্যা, গাছ বা ফুলের পরিচিতি তুলে ধরেন তারা। এ ছাড়া নিজেদের মধ্যে গাছ বিনিময় কিংবা বিক্রি করেন।’ 

গাছ বিনিময়

‘এসব গ্রুপ থেকে গাছের পরিচর্যা সম্পর্কে অনেক জেনেছি। নতুন ধরণের গাছ সংগ্রহ করেছি। গাছ বিতরণ করেছি বিনামূল্যে। সবুজের চর্চা ছড়িয়ে দিতেই গাছ উপহার দিয়েছি। গাছ থাকলে সেগুলো থেকে বীজ হয়, চারা হয়। ছাদ বাগানে সবগুলোর জায়গা দেওয়া সম্ভব না। আবার নতুন বাগানিরা গাছ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সবমিলিয়ে অতিরিক্ত বীজ চারা, কাটিং ফেলে না দিয়ে উপহার দেবো বলে ঠিক করি। গাছের গ্রুপে পোস্ট দিলে যে বাগানি যেটা নিতে আগ্রহী তিনি যোগাযোগ করেন। এভাবে গাছ উপহার দেওয়া শুরু হয়েছে। বন্ধু, সহকর্মীদের কাছ থেকে অনেক গাছ উপহারও পেয়েছি।’ 

ফাহমিদা বলেন, ‘প্রথম বছরে উপহার গ্রহীতারা বেশিরভাগই আমার অপরিচিত। উপহার দিতে গিয়ে সুন্দর সব অভিজ্ঞতা হয়। যারা গাছ উপহার পেয়েছেন পরবর্তীতে আপডেট জানিয়েছেন। গাছের পরিচর্যা সম্পর্কে পরামর্শ চেয়েছেন। ফুল ফুটলে ছবি পাঠিয়েছেন। এসব ফিডব্যাক পেলে খুবই ভাল লাগে। মনটা খুশি হয়। ভাবতে ভাল লাগে আমার হাতের গাছগুলো যত্নে আছে।’

গাছ বিনিময়

কাকলী তানভীর ও তনুশ্রী হালদারের সখ্যতা বেশিদিনের না। ভিন্ন কাজের মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ হলেও অল্পদিনে বুঝতে পারেন দুজনে গাছ ভালবাসেন। বাসার বারান্দা বা ছাদে তাদের বাগান। একসময় প্রিয় গাছ বিনিময় শুরু হয়। সকালে উঠে সেই গাছে ফুল আসতে দেখে চট করে ফটো তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে চলে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া। 

বিনিময়ে উপহারে কেন এই সম্পর্ক স্থাপন- এমন প্রশ্নে তনুশ্রী হালদার বলেন, ‘সবুজ গাছ দিয়ে কে না নিজের ঘর, বারান্দা সাজাতে পছন্দ করে? ইট পাথরের শহরে, দেয়ালে একটু সবুজের ছোঁয়া চোখে মনে যে প্রশান্তি দেয় তার তুলনায় নেই। এই প্রশান্তির নেশাও খুব অদ্ভুত। নিজের ঘরের, বাগানের চারা ,বীজ, ডাল আপনজনদের বন্ধুদের উপহার দেওয়ার আনন্দটাও কম না। সবুজের ভাগাভাগির আনন্দ! আবার যখন নিজের উপহার দেওয়া গাছগুলো অন্যদের ঘরে বেড়ে উঠতে, ফুল-ফল দিতে দেখেও এর আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়।’

গাছ বিনিময়

এটা ঠিক, আগের বিনিময় প্রথাই বলতে পারেন- উল্লেখ করে সামিনা প্রীতি বলেন, ‘এই করোনার সময়ে অনেকে লম্বা সময় বাসায় কাটান। বাসার বাইরে বের হতে পারেন না। ফলে ঘরে বাগানের শখ শুরু হয়। এর আগে এতো বড় পরিসরে এসব দেখিনি। এই দেড় বছরে আমার ছাদবাগান দেখে অনেকেই জানতে চেয়েছেন কীভাবে যত্ন নেবেন। জানতে চেয়েছেন, একটু আনকমন কোনও গাছ আছে কিনা। আমিও সানন্দে নিজের গাছগুলো দিয়েছি এই ভেবে যে, ওরা ভাল থাকবে।’

 

/এনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
অনেক নার্ভাস ছিলেন সাইফউদ্দিন
অনেক নার্ভাস ছিলেন সাইফউদ্দিন
বকশিবাজার মোড়ে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
বকশিবাজার মোড়ে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
১২ বছর পর মুম্বাইয়ের মাঠে কলকাতার জয়
১২ বছর পর মুম্বাইয়ের মাঠে কলকাতার জয়
বেড়িবাঁধে উন্নত নিরাপত্তা ও গতিশীলতা: মেয়র আতিকুল ইসলামের কাছে ইউল্যাবের আবেদন
বেড়িবাঁধে উন্নত নিরাপত্তা ও গতিশীলতা: মেয়র আতিকুল ইসলামের কাছে ইউল্যাবের আবেদন
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা