X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১
ঈদের কেনাকাটা

পোশাকের সঙ্গে মানানসই জুতায় আগ্রহ ক্রেতাদের 

আসাদ আবেদীন জয় 
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০০আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৩
ঈদ চলে এসেছে দোরগোড়ায়। পোশাক কেনার পাট চুকিয়ে এবার পালা মানানসই জুতা কেনার। এরই মধ্যে জুতার দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। একসময় দেখা যেত এক জুতা দিয়েই সব পোশাক পরা হতো।  তবে সময়ের বিবর্তনে পরিবর্তন এসেছে ক্রেতাদের রুচিতে। ফ্যাশন সচেতনতাও বেড়েছে। এখন আর সব পোশাকে এক জুতার মধ্যে আটকে নেই তারা। পোশাকের ভিন্নতার সাথে মিলিয়ে নিত্য নতুন ডিজাইনের জুতা পছন্দ করছেন ফ্যাশন সচেতনরা। সঙ্গে থাকছে স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টাও। 
 
জুতার দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় এখন। ছবি- বাংলা ট্রিবিউন
 
রোজার মাসের শেষ পর্যায়ে এসে পোশাকের সাথে মিলিয়ে জুতা কিনতে বেরিয়েছেন তরুণরা। শিশুরাও এসেছে তাদের বাবা-মায়ের সাথে পছন্দের জুতা কিনতে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিংমল এবং মিরপুর ১ ও ২ নম্বরের বিভিন্ন জুতার শোরুমে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যস্ততা।  
 
বছরের অন্যান্য সময় জুতার দোকানগুলোতে মোটামুটি কম ভিড় দেখা গেলেও ঈদের সময় যেন পা রাখাই কষ্টদায়ক হয়ে পড়ে। এ সময় অনেক দোকানেই বাড়তি চাপ সামাল দিয়ে দেখা যায় অতিরিক্ত বিক্রয়কর্মী নিয়োগ দিতে।  মিরপুর দুই নম্বরের সুমন ফ্যাশন নামের এক জুতার শোরুমের ম্যানেজার ইউসুফ আলী বলেন, ‘ঈদে দোকানে অন্য সময়ের থেকে বেশি কাস্টমার থাকে। তাই ঈদ মৌসুমের জন্য দুইজন কর্মী নিয়েছি।’
 
মিরপুর নিউ মার্কেটের বাটার শো রুমে গিয়ে দেখা গেল ক্রেতাদের সরব উপস্থিতি আর বিক্রেতাদের ব্যস্ততা। ক্রেতারা ট্রায়াল দিচ্ছেন একের পর এক জুতা আর বিক্রেতারা সাহায্য  করছেন পছন্দের জুতাটি কিনতে। শো রুমের এক বিক্রেতা হাসিব বলেন, ‘আমাদের সাধারণত ডিসেম্বর- জানুয়ারি মাসে ক্রেতা বেশি থাকে। কারণ তখন স্কুলে ভর্তির সময়। আর ক্রেতা বেশি দুই ঈদের সময়। এগুলো আমাদের পিক সিজন বলা যায়। তাই এই সময় ব্যস্ততাও বেশি থাকে।’
 
জুতা দেখছেন এক ক্রেতা। ছবি- বাংলা ট্রিবিউন
 
ঈদে কী ধরনের জুতা বেশি বিক্রি হয় জানতে চাইলে  অ্যাপেক্স শো রুমের বিক্রেতা মিরাজ হোসেন বলেন, ‘আগে একসময় মেয়েদের জুতা বেশি বিক্রি হতো। তারা যেহেতু ড্রেসের সাথে মিল রেখে জুতা পরে তাই তারা একাধিক জোড়া জুতা কিনতো। কিন্তু এখন ছেলেদের জুতাও অনেক বিক্রি হয়। তারাও এখন ফরমাল ড্রেস বা পাঞ্জাবি কিংবা ক্যাজুয়ালি পরার জন্য আলাদা জুতা কিনছে। এছাড়া বাচ্চাদের জুতাতো বিক্রি হচ্ছেই।’ 
 
ঈদ উপলক্ষে পাঞ্জাবির সাথে পরার জন্য চামড়ার স্যান্ডেল কিনতে এসেছিলেন মহসিন রেজা উৎসব। তিনি বলেন, ‘পাঞ্জাবির সাথে পরার জন্য চামড়ার স্যান্ডেলই বেশি মানানসই। সব কেনাকাটা শেষই বলা যায়। আজকে এসেছি স্যান্ডেল কিনতে।  যদিও এখনও কিনতে পারিনি, ঘুরে দেখছি।’  
 
জুতা দেখছেন এক ক্রেতা। ছবি- বাংলা ট্রিবিউন
অফিস শেষ করে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছিলেন মুশফিক ইভান। ঈদের পোশাক কেনাকাটা শেষ করে স্যান্ডেলও কিনেছেন বলে জানান তিনি। ইভান বলেন, ‘স্যান্ডেল কিনেছি কিন্তু অফিসে যাওয়ার জন্য এখন ক্যাজুয়াল জুতা কিনতে আসলাম। কেনাকাটা যখন করছিই, তাই একবারে এখনই কিনে নিচ্ছি।’  
 
ফারহান আর মাহফুজ দুই বন্ধু মিলে এসেছিলেন জুতার শো রুমে। ফারহান জানান তিনি আজকে শুধুই বন্ধুর সাথে ঘুরতে এসেছেন, কিনবেন না। এ সময় মাহফুজ বলেন, ‘এসেছি তো শপিং করতে। কিন্তু কিনতে পারি আর না পারি বন্ধুরা মিলে এসেছি এটাতেও একটা আনন্দ আছে।’  
 
জুতায় কিন্তু একজন মানুষের ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়, তার রুচি সম্পর্কে বোঝা যায়। তাই জুতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর শুধু সুন্দর হলেই হবে না, হতে হবে মানানসই। এভাবেই বলছিলেন কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী হাসনাত পিয়াস। 
 
ঈদের শপিং করতে আসা মৌসুমী রেমা বলেন, ‘ঈদে পরার জন্য কেনা শাড়ির সাথে মিলিয়ে করে গয়না, চুড়ি কেনা শেষ। এখন এসেছি জুতা কিনতে। শাড়ির জন্য হিল জুতা খুঁজছি।’
 
শারমিন ঈদের পোশাক কিনেছেন আগেই। আজকে এসেছিলেন পোশাকের সাথে মানানসই অন্যান্য কেনাকাটা করতে। তার ভাষ্য, ‘শাড়ি আর সালোয়ার কামিজের জন্য আলাদা আলাদা জুতা কিনতে হবে। একটা দিয়ে তো অন্যটার কাজ হয় না। আর কিছু গয়নাও কিনতে হবে।’ 
 
ঈদ উপলক্ষে নতুন কালেকশনের জুতা এসেছে সব দকানেই। ছবি- বাংলা ট্রিবিউন
 
দুই সন্তানকে নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন সুমন ও মুনিয়া দম্পতি।  ঈদে নিজেদের থেকে সন্তানদের আনন্দই বেশি উপভোগ্য। তাই ওদের খুশি রাখাই হচ্ছে প্রধান কাজ। কারণ ওদের খুশিতেই আমাদের খুশি; এমনটাই বলছিলেন এই দম্পতি।  
 
একমাত্র ছেলেকে সাজিদকে নিয়ে মার্কেটে এসেছিলেন ওয়াহিদ ও সামিয়া। তারা সাজিদের জন্য একটা জুতা পছন্দ করলেও, অন্যটা কেনার বায়না ধরেছে সাজিদ। পরে সাজিদের বায়নাই মেনে নিতে হয় তাদের। ওয়াহিদ বলেন, ‘বাচ্চারাতো আসলে ভালো-মন্দ বুঝতে পারে না। যেটা একবার চাইবে সেটা না দেওয়া পর্যন্ত শান্তি নেই। যদিও আমি আমার ছেলেকে সবসময় যা চায় তা দিই না। বোঝানোর চেষ্টা করি। এখন ঈদ বলেই ওর মর্জি মেনে নিলাম। কারণ এখন ওর আনন্দটা থাকবে বেশি।’ 
/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সিলেটে এয়ার অ্যাস্ট্রার বিজনেস পার্টনার মিট
সিলেটে এয়ার অ্যাস্ট্রার বিজনেস পার্টনার মিট
ডি মারিয়ার সঙ্গে চুক্তির গুঞ্জনে যা বললেন মায়ামি কোচ
ডি মারিয়ার সঙ্গে চুক্তির গুঞ্জনে যা বললেন মায়ামি কোচ
রাজশাহীতে হাসান আজিজুল হক সাহিত্য উৎসব, পদক পাচ্ছেন ৬ জন
রাজশাহীতে হাসান আজিজুল হক সাহিত্য উৎসব, পদক পাচ্ছেন ৬ জন
এই সরকার ভোটে নির্বাচিত নয়, সেজন্য জনগণকে তারা ভয় পায়: ড. মঈন খান
এই সরকার ভোটে নির্বাচিত নয়, সেজন্য জনগণকে তারা ভয় পায়: ড. মঈন খান
সর্বাধিক পঠিত
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে