আজ বিশ্ব ক্যানসার দিবস। ক্যানসার একটি জেনেটিক রোগ। তবে আজকাল গবেষকরা একে বিপাকীয় রোগ হিসেবেও দেখতে শুরু করেছেন। কারণ টিউমার বৃদ্ধি কেবল ডিএনএ মিউটেশনের ফলে ঘটে না। এর সাথে মাইটোকন্ড্রিয়ার গঠন এবং কার্যকারিতার পরিবর্তনও জড়িত। মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের বেঁচে থাকা এবং কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন করে। খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তরিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এটি।
এই কারণেই অনেক বিশেষজ্ঞ এখন বিভিন্ন ধরণের ক্যানসার প্রতিরোধ এবং চিকিৎসায় খাদ্যের গুরুত্বের উপর জোর দিচ্ছেন। মায়ো ক্লিনিকের মতে, সমস্ত ক্যানসারের ২৫ শতাংশ শুধুমাত্র সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
গবেষণা বলছে, বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদভিত্তিক খাবার গ্রহণ শরীরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। কারণ এগুলো প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ফাইটোকেমিক্যাল যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে- উভয়ই শক্তিশালী ক্যানসার-বিরোধী উপাদান।
তবে সেল-এ প্রকাশিত ২০২৪ সালের একটি প্রাণী গবেষণা থেকে জানা যায় যে, শুধু আপনি কী খাচ্ছেন তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং আপনি কখন এবং কতটা খাচ্ছেন তাও গুরুত্বপূর্ণ। নিউ ইয়র্ক সিটির মেমোরিয়াল স্লোয়ান কেটারিং ক্যানসার সেন্টারের গবেষকরা উল্লেখ করেছেন যে, মাঝে মাঝে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের সঙ্গে ক্যানসারের উন্নতির সম্পর্ক রয়েছে।
ক্যানসার প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের সুবিধাগুলো বোঝার জন্য গবেষকরা ইঁদুরের উপর একটি গবেষণা চালান। এতে সপ্তাহে দুই দিন বাদে বাকি সময় অবাধে খেতে দেওয়া হয়েছিল তাদের। এতে দেখা গেছে, উপবাসের সময়ে শ্বেত রক্তকণিকা রোগাক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংস করে, যার মধ্যে ক্যানসারে ক্ষতিগ্রস্ত কোষও রয়েছে। গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয় যে, উপবাস এই গুরুত্বপূর্ণ শ্বেত রক্তকণিকাগুলোকে টিউমারের ভেতরে এবং আশেপাশের কঠোর পরিবেশে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। একই সাথে তাদের ক্যানসার প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
তথ্যসূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট