ডিমের খোসা ফেলে না দিয়ে নানা কাজে লাগাতে পারেন। প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং খনিজ পদার্থ থাকে ডিমের খোসায়। এগুলো ছাড়াও প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো মিনারেল থাকে এতে। ডিমের খোসা যেমন গাছের সার হিসেবে দারুণ, তেমনি রূপচর্চাতেও ব্যবহার করা যায় এটি। জেনে নিন কোন কোন উপায়ে কাজে লাগাতে পারেন ডিমের খোসা।
- নিয়মিত শ্যাম্পুতে ডিমের খোসার গুঁড়া যোগ করতে পারেন। এটি মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগাবে এবং চুল মজবুত করবে।
- ডিমের খোসায় ৯৫ শতাংশ ক্যালসিয়াম কার্বনেট থাকে। এছাড়া রয়েছে ক্যালসিয়াম ও মিনারেল। এগুলো মাটির উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করে। বাগানের চারপাশে ও গাছের গোড়ায় ডিমের খোসা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিলে গাছের ধারেকাছে পোকামাকড়ও ঘেঁষবে না।
- ডিমের খোসা গুঁড়া করে অ্যালোভেরা জেলার সঙ্গে মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে লাগান। এটি জৌলুস বাড়াবে ত্বকের।
- বাসনে পোড়া দাগ তুলতে সাহায্য করে ডিমের খোসা।
- অনেক সময় রান্নাঘরের সিঙ্ক ময়লা জমে বন্ধ হয়ে যায়। এই সমস্যার সমাধানে ডিমের খোসা মিহি গুঁড়া করে সিঙ্কের মুখে দিয়ে কল খুলে দিন।
- ডিমের খোসার সাহায্যে দাঁতের হলদে ভাব কমাতে পারেন। ১ চা চামচ ডিমের খোসার গুঁড়ার মধ্যে এক চিমটি বেকিং সোডা দিন। এবার এতে নারকেল তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ব্যবহার করুন দাঁতে। দাঁতের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।
- পাখি ও মুরগির খাবারে ক্যালসিয়াম এবং খনিজ যোগ করতে ডিমের খোসা গুঁড়া করে মিশিয়ে দিন।
- ত্বকে ময়লা জমে লোমকূপ বন্ধ হয়ে গেলে ব্যবহার করতে পারেন এই ফেসপ্যাক। লেবুর রস ও মধুর সঙ্গে ডিমের খোসার পাউডার মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে লাগান ঘষে ঘষে। কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।