X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ঝর্না রহমান

ঢাবি প্রতিনিধি
১৬ মার্চ ২০২১, ২৩:৫৯আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২১, ০০:০৪

'অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার-১৪২৭' পেলেন কথা সাহিত্যিক ঝর্না রহমান। আজ (১৬ই মার্চ) মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনন্যা কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঝর্না রহমানের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। 

 
অনুষ্ঠানের শুরুতে লেখক ও নির্মাতা ফরিদুর রহমানের নির্মিত ঝর্না রহমানের উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর অতিথিরা ঝর্ণা রহমানের নিকট উত্তরীয়, ক্রেস্ট ও আর্থিক সম্মাননা হস্তান্তর করেন। 
 
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাক্ষিক অনন্যা ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন মোজাফ্ফর হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও নির্মাতা ফরিদুর রহমান। 
 
সভাপতির বক্তব্যে পাক্ষিক অনন্যা ও  দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, 'আমাদের বাংলার সাহিত্য সংস্কৃতি যারা ধরে রাখতে পেরেছে, তাদের অন্যতম বাংলার সাধারণ নারীরা। যারা বাংলার আনাচে কানাছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। আমাদের জীবনের যে পরিবর্তন, তাতে আমাদের এসব নারীদের সংযোগ রয়েছে।'
 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ঝর্না রহমান পাঠককে খুব সহজে সঙ্গী করতে পারেন। তার একটি ভাষা আছে, তিনি নিজস্ব ভাষা তৈরি করে রেখেছেন। কিছু দূর পড়লেই বোঝা যায় ঝর্ণা রহমানের লেখাই পড়ছি। সংস্কৃতিকে তিনি তার কর্মকাণ্ডে নিয়ে এসেছেন। 
 
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লেখক ও নির্মাতা ফরিদুর রহমান বলেন, 'ঝর্ণা রহমান যখন লেখেন, তখন জেন্ডার নিরপেক্ষ হয়ে ওঠেন। সেখানে নারী পুরুষের কোনও ধরনের ছাপ থাকে না। নারী হিসেবে কখনও সাহিত্যে প্রভাবও রাখেন না তিনি। তার জায়গাটি থাকে একেবারে নিরপেক্ষ। নির্ভুল বাক্য লেখেন ও শব্দ তুলে আনেন। ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে তার একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার মধ্যে দিয়ে তাকে নিজের মতো করে চেনা যায়।'
 
ঝর্না রহমানের জন্ম ১৯৫৯ সালে। মায়ের কাছ থেকে তিনি প্রথম লেখার অনুপ্রেরণা পান। এরপর দশম শ্রেণিতে বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর স্বামীর সহযোগিতায় ও অনুপ্রেরণায় পড়ালেখা ও সাহিত্যচর্চা চালিয়ে যান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করে বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে সম্প্রতি অবসরে গেছেন তিনি। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ পরিষদ আয়োজিত একুশে সাহিত্য পুরস্কার প্রতিযোগিতায় ছোটগল্পে জাতীয় পুরস্কার লাভের মধ্য দিয়ে সাহিত্যে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি প্রধানত কথাসাহিত্যিক হলেও গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, নাটক, কবিতা, ছড়া, ভ্রমণ, শিশুসাহিত্য, সংগীতসহ সাহিত্যের প্রায় সবক্ষেত্রেই তার রয়েছে পদচারণা। এ পর্যন্ত তার প্রায় ৬০টির মত গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।  
 
তিনি সাহিত্যসংগঠন 'পরণকথা' এর অন্যতম একজন প্রতিষ্ঠাতা। 
 
তার কিছু উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ হচ্ছে ঘুম- মাছ ও একটুকৱাে নারী, অগ্নিতা, স্বর্ণতরবারি, কৃপক্ষের উষা, পেরেক, বিপ্রতীপ মানুষের গল্প, বিষপিঁপড়ে। উপন্যাস- পিতলের চাঁদ,ভাঙতে থাকা ভুল। কাব্যগ্রন্থ- জল ও গোলাপের ছোবল, হরিৎ রেহেলের হৃদয়, চন্দ্রগ্রহণ। ভ্রমণ কাহিনী- আমরা যখন নেপালে। নাট্যকাব্য- উড়ন্ত ভায়োলিন। 

তিনি পুরস্কাটি তার বাবা মা-কে উৎস্বর্গ করেন। 
 
/এনএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বৃষ্টির অপেক্ষায় নার্সারি ও গাছপ্রেমীরা
বৃষ্টির অপেক্ষায় নার্সারি ও গাছপ্রেমীরা
নিজ্জর হত্যার অভিযোগে কানাডায় তিন ভারতীয় গ্রেফতার
নিজ্জর হত্যার অভিযোগে কানাডায় তিন ভারতীয় গ্রেফতার
পিকআপের পেছনে ট্রাকের ধাক্কা, উল্টে গিয়ে ২ শ্রমিক নিহত
পিকআপের পেছনে ট্রাকের ধাক্কা, উল্টে গিয়ে ২ শ্রমিক নিহত
নবযুগ প্রকাশনীর কর্ণধার অশোক রায় নন্দী মারা গেছেন
নবযুগ প্রকাশনীর কর্ণধার অশোক রায় নন্দী মারা গেছেন
সর্বাধিক পঠিত
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে