বড় কথাসাহিত্যিকদের নিজস্ব একটা জনপদ থাকে। কল্পনার কিংবা বাস্তবের। যে জনপদকে ঘিরে গড়ে ওঠে তাঁর সৃষ্টিকর্ম। রুলফোর কোমালা, জয়েসের ডাবলিন, মার্কেসের মাকুন্দো, কুন্ডেরার প্রাগ, সৈয়দ শামসুল হকের জলেশ্বরী, হাসান আজিজুল হকের রাঢ়বঙ্গ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কিংবা শহীদুল জহিরের পুরান ঢাকা, ইমদাদুল হক মিলনের মেদিনীমণ্ডল।
লেখক যে জনপদ নিয়ে লিখছেন, যা লিখছেন, যাদের নিয়ে লিখছেন, তার অনুপুঙ্খ যদি না বোঝেন, মাটির রঙ, জল-হাওয়া, মানুষের স্বভাব, ভাষা তবে তাঁর সৃষ্টিকর্ম পূর্ণতা পায় না, মেকি হয়। একটি নির্দিষ্ট জনপদ বুঝলে, সেখানকার মানুষ বুঝলে, প্রকৃতির আচার-আচরণ বুঝলে, জগতের তাবৎ কিছু ওই জনপদে সংস্থাপন করা যায়।
ইমদাদুল হক মিলনের আত্মজীবনী ‘যে জীবন আমার ছিল’ পড়তে পড়তে এ কথাগুলো ফের মনে পড়ল। বিক্রমপুরের মেদিনীমণ্ডল গ্রাম ঘিরে ছোট্ট শিশু মিলুকর্তা প্রকৃতির মায়ায়, মানুষের হেলা-ভালোবাসায় মনের আনন্দে বেড়ে ওঠে। জন্ম থেকে টানা ১২ বছর পর্যন্ত মিলুকর্তার পৃথিবী বলতে শুধু মেদিনীমণ্ডল গ্রাম। এখানকার মানুষ, প্রকৃতি, গাছপালা, মেঘ-বৃষ্টি, নদী-নাও, মাছ, বৃক্ষসকল, পাখপাখালি সব তাঁর আপন হয়ে ওঠে। হাতের তালুর রেখার মতো ধীরে ধীরে এসব তাঁর চেনা হয়ে ওঠে।
সিলেটের কমলগঞ্জ এলাকার ছাতকছড়ায় দ্বিতীয় বিয়ের কারণে মিথ্যা ফতোয়া দিয়ে গ্রামের মসজিদের ইমাম একটি মেয়েকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বুক পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে একশো একটি পাথর ছুড়ে মারে। পরে অপমানে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছিল। এ ঘটনা নিয়েই লেখা হয় ইমদাদুল হক মিলনের প্রধানতম উপন্যাস ‘নূরজাহান’। কিন্তু সিলেট অঞ্চল সম্পর্কে তাঁর সম্যক ধারণা না থাকায়, ভাষা না জানায় ‘নূরজাহান’কে প্রতীকী চরিত্র বানিয়ে নিয়ে আসা হয় বিক্রমপুরের মেদিনীমণ্ডল গ্রামে। কারণ বিক্রমপুর তথা মেদিনীমণ্ডল তাঁর হাতের তালুর রেখার মতো চেনা। ‘নূরজাহান’ উপন্যাসে মেদিনীমণ্ডল অক্ষয় হয়ে থাকবে। এসব কথা স্ববিস্তারে বলা হয়েছে ‘যে জীবন আমার ছিল’ গ্রন্থে।
মেদিনীমণ্ডলের কথা বলতে গিয়ে ইমদাদুল হক মিলন যেসব পাখির কথা বলেন, যেসব বৃক্ষের কথা বলেন, কিংবা যেসব মাছের নাম বলেন, সেসব এখনকার প্রজন্মের অধিকাংশের জানা নেই। মেদিনীমণ্ডল ঘিরে মিলুকর্তার যে মানসগঠন তৈরি হয়, তাই পরবর্তীকালে কথাকার ইমদাদুল হক মিলনের শ্রেষ্ঠ লেখাগুলোর মূল রসদ। সেসব কথা তিনি বলেছেন ‘যে জীবন আমার ছিল’ গ্রন্থের পাতায় পাতায়। যেসব লেখা তাঁকে তুমুল জনপ্রিয় করে তুলেছে, সেই প্রেমের উপন্যাসগুলোকে তিনি একপাশে ঠেলে রেখেছেন। বার বার বলছেন তাঁকে খ্যাতিমান করে তোলা লেখাগুলোর কথা।
বাংলাসাহিত্যে এটি বিরল ঘটনা। একইসঙ্গে তুমুল জনপ্রিয় এবং খ্যাতিমান হয়ে ওঠা। কীভাবে জনপ্রিয় হলেন সে কথা যেমন বলেছেন, খ্যাতিমান হয়ে ওঠার কথাও বলেছেন। এই বলায় এক ধরনের নির্লিপ্ততা রয়েছে। অহং নেই। আছে সারল্য। তবে গ্রন্থটি শুধু লেখকের লেখক-জীবন নিয়ে নয়, লেখকের আস্ত জীবনকে ছুঁয়ে যাওয়া হয়েছে। অসংখ্য মানুষের কথা বলেছেন, যারা তাঁর লেখক জীবনের অংশীদার নন, লেখার উপাত্ত।
গ্রন্থটি প্রচল ধারার জীবনীগ্রন্থও নয়। ছাতারে পাখির কথা দিয়ে শুরু করে ইমদাদুল হক মিলন তাঁর জীবনের নানা পর্যায়ের কথা, কখনো পরের কথা আগে, কখনো আগের কথা পরে এভাবে বিন্যাস করেছেন। পাঠকের ইচ্ছাপূরণের গ্রন্থ এটি নয়। কারো ইচ্ছাপূরণের জন্য মিলন এই গ্রন্থ রচনা করেননি। ‘যারা অবহেলা অপমান করেছে তাদের কথা আমি মনে রাখিনি। মনে রেখেছি শুধু যারা ছায়া দিয়েছিল, যারা হাত ধরে পথ চলতে শিখিয়েছিল শুধু তাদের কথা।’
মিলুকর্তা যেভাবে বেড়ে ওঠে, খেলতে পারে না, জীবনে কখনো সাইকেল চালানো পর্যন্ত শিখতে পারেনি, গ্রামের স্কুলের বাৎসরিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান কিংবা বিয়ে বাড়িতে গান দিয়ে বেড়ায়, পুকুর পাড়ে, বাগানে বৃক্ষের আশ্রয়ে, হাজামবাড়ি, পুরানবাড়িতে তাঁর একাকী সময় কাটে, এই দৃশ্যকল্পগুলো ঊনবিংশ শতাব্দীর অপুর কথা মনে করিয়ে দেয়। তবে মিলুকর্তা বিংশ শতাব্দীর অপু। মেদিনীমণ্ডলে যে বেড়ে ওঠে বুজির(নানী) অসীম ভালোবাসার আশ্রয়ে। বেড়ে উঠতে উঠতে কখনো মিলুকর্তা মাছ হতে চায়, কখনো পাখি হতে চায়।
‘মেদিনীমণ্ডল বড় গ্রাম। এজন্য দুটো ভাগ করা হয়েছে। উত্তর মেদিনীমণ্ডল, দক্ষিণ মেদিনীমণ্ডল। আমার নানাবাড়ি উত্তর মেদিনীমণ্ডলে। সেই গ্রামে আমি বুজির কাছে থাকি। মা-বাবা ঢাকায়। জিন্দাবাহার থার্ড-লেনে বাসা। বছর বছর বাচ্চা হয় আমার মায়ের। এত বাচ্চা একা কেমন করে সামলাবেন? আমাকে রেখে দিয়েছেন বুজির কাছে। বাড়িতে পুনুখালাও আছেন। মার ছোটবোন। আমরা ডাকি ‘আম্মা’। তাঁর স্বামী আবদুল মজিদ ঢাকায় থেকে কলেজে পড়েন আর রাজনীতি করেন। খালার দিকে ফিরেও তাকান না। টাকার দরকার হলে শ্বশুরবাড়িতে এসে বুজির কাছ থেকে নিয়ে যান।’
উপরের এই লেখা অংশটুকুতে চোখ বুলালে ইমদাদুল হক মিলনের পুরো জীবনটা বুঝতে সহজ হবে। কারণ, তাঁর জীবনের বড় একটি অংশ মেদিনীমণ্ডল আর জিন্দাবাহারকে ঘিরে (পরে অবশ্য গেন্ডারিয়া)। কেন মেদিনীমণ্ডল আর জিন্দাবাহার, তার উল্লেখ ‘যে জীবন আমার ছিল’ গ্রন্থে আছে। ১২ বছর জীবন শেষে তাঁকে মেদিনীমণ্ডল ছেড়ে আসতে হয় জিন্দাবাহার। এই দুই পৃথক এলাকার জল-হাওয়া, মানুষ তাঁর জীবনের অংশ। তাঁর পরবর্তী জীবনের ভিত তৈরি হয় এই দুই এলাকা ঘিরে। এলাকা দুটি তাঁর নখদর্পণে চলে আসে। ফলে তাঁর অসংখ্য লেখায় ফিরে ফিরে এসেছে মেদিনীমণ্ডল আর জিন্দাবাহার। দুটো এলাকা ভিন্ন। দুটো এলাকার পরিবেশ, মানুষও ভিন্ন। সেসবের অনুপুঙ্খ বর্ণনা দিয়েছেন ‘যে জীবন আমার ছিল’ গ্রন্থে। যাঁরা আরো বিশদে ইমদাদুল হক মিলনের জীবন কথা জানতে চান তাঁদের পাঠ করা প্রয়োজন—‘কেমন আছ, সবুজপাতা’, ‘জিন্দাবাহার’, ‘মায়ানগর’ আর ‘একাত্তর ও একজন মা’ এই গ্রন্থ চতুষ্টয়।
‘যে জীবন আমার ছিল’ পড়তে পড়তে মনে পড়ে আরো দুটি গ্রন্থের কথা। রাণী চন্দের “আমার মা’র বাপের বাড়ি” এবং পরিতোষ সেনের ‘জিন্দাবাহার’। বিক্রমপুরের মেয়ে রাণী চন্দ তাঁর গ্রন্থে বিক্রমপুরের গঙ্গাধরপুর গ্রামের সেকালের চিত্র এঁকেছেন, একইভাবে ইমদাদুল হক মিলন এঁকেছেন বিক্রমপুরের মেদিনীমণ্ডল গ্রামের চিত্র। পরিতোষ সেন নিজের মতো চিত্রিত করেছেন জিন্দাবাহারের চিত্র, আর ইমদাদুল হক মিলন এঁকেছেন তাঁর মতো করে। এসব দেখা ও লেখায় তারতম্য আছে। তবে মূল দৃশ্যপট এক। যদিও দুই ভিন্নস্থানে বর্তমানে কিছু আর অবশিষ্ট নেই। সময়ের ধাক্কায় পাল্টে গেছে সবকিছু। পৃথিবী নামক গ্রহ থেকে যদি মেদিনীমণ্ডল আর জিন্দাবাহার বিলুপ্ত হয়ে যায়, তবে এর রূপ উদ্ধার করতে নিঃসন্দেহে ‘যে জীবন আমার ছিল’ এবং ‘জিন্দাবাহার’ গ্রন্থ দুটি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করবে।
অমিতাভ ঘোষ তাঁর উপন্যাস ‘দ্য শ্যাডো লাইন্স’-এ পুরান ঢাকার অলি-গলি ও বাড়ির যে বর্ণনা দিয়েছেন খোঁজ করতে গিয়ে তার অবশিষ্ট কিছুই আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই বলে তো অমিতাভ ঘোষের লেখা মিথ্যা হয়ে যায়নি।
ইমদাদুল হক মিলন তাঁর জীবনীগ্রন্থ রচনায় অতীতকে কখনো বর্তমানে আবার বর্তমানকে কখনো অতীতে নিয়ে গেছেন। এই পদ্ধতি লেখার গতিতে যেমন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেনি, পাঠকের পাঠেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়নি। বরং লেখার গতি পাঠককে মন্ত্রমুগ্ধের মতো আঁকড়ে রাখে।
নিজের জীবন লেখায় লেখকদের লেখন পদ্ধতিরও শেষ নাই। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর ‘অর্ধেক জীবন’ গ্রন্থে জীবনের বেড়ে ওঠার সঙ্গে তখনকার রাজনৈতিক বিশ্ব প্রেক্ষাপট জুড়ে দিয়েছেন। পাবলো নেরুদা তাঁর জীবনীগ্রন্থ ‘অনুস্মৃতি’তে কাজের মেয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা অবলীলায় বলে গেছেন। লুইস বুনুয়েল তাঁর জীবনী ‘মাই লাস্ট ব্রেথ’ গ্রন্থে চার্লি চ্যাপলিনের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা নিয়ে মারামারির কথা উল্লেখ করেছেন। তারাশঙ্কর ‘আমার সাহিত্য-জীবন’ গ্রন্থে যে সম্প্রদায়ের মানুষ নিয়ে লিখতেন সে সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা লিখেছেন। এসব গ্রন্থের একটির সঙ্গে অন্যটির যেমন মিল নেই আবার আছেও। শেষ পর্যন্ত সবাই জীবনের জয়গানের কথাই বলেছেন। বহু ধরনের সংঘাত, উত্থান-পতন, সুখ-কষ্ট, অপমান-অসম্মান, হতাশা-প্রাপ্তি এসব জীবনের অংশ। ঋতু পাল্টানোর মতো মানুষের জীবনও পাল্টায়। ‘যে জীবন আমার ছিল’ গ্রন্থও তাই। ইমদাদুল হক মিলন তাঁর লেখক জীবনের সঙ্গে ব্যক্তি জীবনের কথাও বলেছেন। তবে বালক বেলার বন্ধুদের জন্য তাঁর ভালোবাসা, হাহাকার গ্রন্থটিকে দ্রষ্টব্য করে তুলেছে। নিজের চেয়ে বন্ধুদেরই বড় করে দেখিয়েছেন মিলন। এমন সব বন্ধুদের কথা বলেছেন, যাদের নিয়ে পাঠকের ভাবনার কিছু নাই। না থাকলেও ঠেলেও দেয়া যায় না। তাঁরাও পাঠকদের আত্মার আত্মীয় হয়ে ওঠেন।
তাই বলে সর্বজন পরিচিতদের কথা বলেননি এমন নয়। বলেছেন। সমরেশ বসু কীভাবে তাঁর আদর্শ হয়ে ওঠে তার উল্লেখ করেছেন। শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা বলেছেন। শওকত ওসমান, শওকত আলী, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, রাহাত খান, রফিক আজাদসহ আরো অনেক লেখক বন্ধুর কথাও বলেছেন। টেলিভিশনে কীভাবে জড়ালেন, তা বলতে গিয়ে আবদুল্লাহ আল মামুন, সেলিম আল দীন, হুমায়ুন ফরিদী, আফজাল হোসেন, সুবর্ণা মোস্তফা, শমী কায়সারের কথা বলেছেন। আবার ব্যবসায় জড়ানো নিয়ে বলতে গিয়ে বলেছেন ফরিদুর রেজা সাগর, শাইখ সিরাজের কথা। এসেছে আরো অসংখ্য বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কের কথা।
আশ্চর্য নির্লিপ্ততায় গ্রন্থটিতে মা-কে তেমন করে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু কেন? সচেতন পাঠক বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন।
তবে যতো কথাই বলেছেন, বিপুলভাবে অন্তরে গেঁথে আছে মেদিনীমণ্ডল, বুজি, জিন্দাবাহার, গেন্ডারিয়া আর এসব জায়গার বন্ধুরা। পৃথিবীর যে প্রান্তে যখন গেছেন, কিছু সময় জার্মানির প্রবাস জীবন, কোনোভাবেই বন্ধুদের কথা ভুলেননি। এখনো খুঁজে চলেছেন বন্ধুদের। এসব কথাও এ গ্রন্থে আছে।
জিন্দাবাহার আর গ্লোরিয়া পর্বের জীবনে বিপন্নতাও কম আসেনি। মুদি দোকানে বাবাকে সহায়তা আর মাস্তান কর্তৃক বাবাকে অসম্মান, মেদিনীমণ্ডল ছেড়ে বুজির চলে আসা এবং পুকুর জলে মৃত্যু যেকোনো পাঠককে বিষণ্ন করে তুলবে।
মার্কেস তাঁর আত্মজীবনী গ্রন্থ ‘বেঁচে আছি গল্পটা বলবো বলে’ শুরু করেছেন বাড়ি বিক্রি করতে গ্রামে যেতে মা তাকে সঙ্গে নিতে কীভাবে খুঁজে বের করেছিলেন তার উল্লেখ দিয়ে। জীবনের বিপন্ন সময়ে শেষ পর্যন্ত মানুষ বেঁচে থাকার চেষ্টাই করে। সেটি মার্কেসের পরিবার হোক কিংবা ইমদাদুল হক মিলনের পরিবার হোক। জিন্দাবাহার আর গ্লোরিয়া পর্বের জীবনে মিলন পরিবারের উপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গেছে। সে সময়ও বুজি ত্রাতার ভূমিকায় ছিলেন। মার্কেসের মায়ের মতো বুজির সঙ্গী ছিলেন ইমদাদুল হক মিলন। পরিবারকে টিকিয়ে রাখতে বুজি ছুটে যাচ্ছেন মেদিনীমণ্ডল। সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন মিলুকর্তাকে। সেখানকার শেষ সম্বল জমিটুকু বিক্রি করে সংসার টিকিয়ে রাখার শেষ চেষ্টা করছেন বুজি। এসব ঘটনাপ্রবাহ প্রত্যক্ষ করছেন মিলুকর্তা। সেই মিলুকর্তাকে ধীরে ধীরে বাংলাভাষার খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন হয়ে ওঠা ছাড়া তো অন্য গত্যন্তর নেই।