X
রবিবার, ১২ মে ২০২৪
২৯ বৈশাখ ১৪৩১

ইয়ন ফসের সাক্ষাৎকার

অনুবাদ : সাজিদ উল হক আবির
০৬ অক্টোবর ২০২৩, ২০:০০আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ২০:৩৯

[উত্তরাধুনিকতার কেন্দ্রচ্যুতি ও বিচ্ছিন্নতার যন্ত্রণা থেকে নিদান খুঁজতে খুঁজতে ২১ শতকের মানুষ আশ্রয় খুঁজছে মেটামডার্নিজমে। আধুনিক ও উত্তরাধুনিক মানুষের জীবন-দর্শনের সঙ্গে সংশ্লেষের চেষ্টা চলছে একদা পিছে ফেলে আসা রোম্যান্টিক ভাবাদর্শের। এবছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জয়ী নরওয়েজিয়ান নাট্যকার, ঔপন্যাসিক ও কবি ইয়ন ফসে কি কেন্দ্রচ্যুত মানুষের শেষ গন্তব্য হিসেবে অন্তর্মুখিনতাকেই সমাধান হিসেবে বেছে নিচ্ছেন? ‘স্লো- মেটাফিজিক্যাল প্রোজ’ তথা ধীরগতিসম্পন্ন এবং আধ্যাত্মিকতাকে নিজের গদ্যে ধারণকারী লেখক হিসেবে বিশ্বসাহিত্যাঙ্গনে খ্যাতি পাওয়া এবং ২১ শতকের স্যামুয়েল বেকেট হিসেবে পরিচিত এ লেখক ও নাট্যকারের দেয়া বিবিধ সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশে উঠে এসেছে তার জীবন ও সাহিত্য ভাবনা।]


প্রশ্ন :
আপনার সবচেয়ে সাম্প্রতিক, এবং আঙ্গিকের দিক থেকে সবচেয়ে বড় উপন্যাস ‘সেপ্টোলজি’ (২০২২) দিয়েই আলাপ শুরু করি। একই নামের দুজন মানুষ, যাদের একজন বাস করেন গ্রামে, অপরজন শহরে, যাদের মধ্যে অসংখ্য মিল থাকা সত্ত্বেও তারা ঠিক একই ব্যক্তি নন—তাদের জীবন নিয়ে রচিত আপনার এ উপন্যাস। পূর্বের এক সাক্ষাৎকারে আপনি এই উপন্যাসকে উল্লেখ করেছেন—মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তের এক পূর্ণাঙ্গ চিত্রকল্প হিসেবে। এর দ্বারা আপনি ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন?

ফসে : ‘সেপ্টোলজি’ একটা বড়ো উপন্যাস। এত বড়ো সাইজের কোনো লেখাই আমি আগে কখনো লিখিনি। শুরুতে ধারণা ছিল, এ উপন্যাস হয়ত টেনেটুনে ১৫০ পৃষ্ঠা হবে। কিন্তু লিখতে লিখতে দেখি ১৫০০ পৃষ্ঠা ছাড়িয়ে গেছে। এ উপন্যাস লেখার মধ্যদিয়ে নিজেই নিজের গতিপথ আবিষ্কার করে নিয়েছে।
মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তের পূর্ণাঙ্গ চিত্রকল্প—বিশেষণটি আমার এ উপন্যাসের ব্যাপারে আমি ব্যবহার করেছি। অনেকে বলে, মৃত্যুর আগে মানুষের পুরো জীবন মুহূর্তের মধ্যে তাদের চোখের সামনে দিয়ে বয়ে যায়। আমার এ উপন্যাসটিও, আমার সামগ্রিক সাহিত্যচর্চার বিবেচনায় একইরকম। আমার পূর্বে লেখা বিবিধ নাটক এবং উপন্যাসের নানা বিষয়বস্তু ও ফর্ম এই উপন্যাসে আমি পুনরায় ব্যবহার করেছি, কিন্তু ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রকাশভঙ্গীতে।


প্রশ্ন :
সেপ্টোলজি লেখার এই ভিন্ন ধারার আঙ্গিকের খোঁজ পেলেন কীভাবে?

ফসে : লেখার কাজটা আমার কাছে শব্দ শোনার মতো। নানা দিক থেকে নানা আওয়াজ ভেসে আসছে আমার দিকে, আমি ঠিক জানিও না যে, আমি কী শুনছি, তাদের উৎস কোথায়। কিন্তু আমি জানি, আমি শুনছি। ভেতর থেকে উঠে আসা এই আওয়াজগুলোকে ধরে ফেলাই আমার কাছে লেখার অপর নাম।
লেখা শুরু করার আগে খুব খুঁটিনাটি পরিকল্পনা করে নেওয়াটা আমার কায়দা নয়। ‘সেপ্টোলজি’ লেখা শুরু করার আগে আমার একটাই সিদ্ধান্ত ছিল, আমি এবার একটি ‘স্লো প্রোজ’ বা ধীরগতির গদ্য লিখব। আমার ভাষা সমুদ্রের বিশাল ঢেউয়ের মতো ধীরে ধীরে সরে যেতে থাকবে উৎসমুখ থেকে। আমি চেয়েছিলাম পুরো লেখার প্রক্রিয়াটিকে শান্ত, ধ্যানস্থ করে আনতে।


সেপ্টোলজি উপন্যাসের প্রচ্ছদ প্রশ্ন :
আপনি ‘স্লো প্রোজ’-এর কথা বললেন। কিন্তু আপনার অধিকাংশ লেখাই তো দুর্দান্ত গতিশীল?

ফসে : আমি ‘সেপ্টোলজি’র ভাষাকে ধীরস্থির করে আমার রচিত নাটকের ভাষা, যাকে আপনি গতিশীল বললেন, তা থেকে আলাদা করে তুলতে চেয়েছি। আমার নাটকগুলো সংক্ষিপ্ত, কিন্তু তাদের বিষয়বস্তুর ঘনত্ব থাকে বেশি। একটা নির্দিষ্ট সময়ের ব্যাপ্তির মধ্যে ওখানে পুরো বক্তব্যটা শেষ করতে হয়। কিন্তু ‘সেপ্টোলজি’তে আমি প্রতিটা মুহূর্তকে প্রশান্তভাবে ফুটিয়ে তুলতে যতটুকু বর্ণনা ও সময়ের প্রয়োজন, তা দিয়েছি।


প্রশ্ন : নরওয়েতে আপনার শৈশবের একটা বড়ো অংশ আপনি নৌকায় কাটিয়েছেন। এটা সহ, আপনার শৈশবের আরও নানা অভিজ্ঞতা কীভাবে আপনার লেখালেখিকে প্রভাবিত করেছে?

ফসে : নরওয়েতে আমিসহ আমার সমবয়সি শিশুরা বেশ মুক্ত, বল্গাহীন এক পরিবেশে বেড়ে উঠেছি। ৭-৮ বছর বয়স থেকেই আমাদের একাকী নৌকা নিয়ে নদীতে বেরিয়ে পড়ার অনুমতি ছিল। আমার শৈশবের সমবয়সি সুন্দরতম স্মৃতি হচ্ছে বাবার সঙ্গে গ্রীষ্ম কিংবা শরতের বিকেলে নৌকায় করে মাছ ধরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা। সন্ধ্যা নেমে আসছে, এমন সময় বিশাল জলধিতে যে নৈসর্গিক দৃশ্য নেমে আসতো, আমি ঐ অপরূপ সুন্দর চিত্রকল্পটিকে নয়, বরং নৈসর্গিক নীরবতাকেই যেন বাকি জীবন খাতায় লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। এভাবেই, পরবর্তীকালেও, লেখালিখির কাজটা আমার জন্য মূলত শব্দকে শোনা এবং শ্রুত শব্দকে লিপিবদ্ধ করার একটা প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়েছে।


প্রশ্ন : সমবয়সি অনেক লেখক পরিণত বয়সে লেখালেখিকে অবলম্বন হিসেবে গ্রহণ করেন। সমবয়সি হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, তারা কথা বলার মাধ্যমে গুছিয়ে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন না। আপনার ক্ষেত্রেও পরিণত বয়সে এসে কি বিষয়টি এরকমই দাঁড়ালো?

ফসে : অনেকটাই। দার্শনিক উইটেনস্টাইনের একটা বক্তব্য আছে, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না, তা নীরবতার হাতে ছেড়ে দাও। আবার দার্শনিক দেরিদা একই কথা একটু ঘুরিয়ে বলেছেন যে—যা তুমি কথায় প্রকাশ করতে পারো না, তা লিখে ফেলো। আমি দেরিদার বক্তব্যের কাছাকাছি অবস্থান করি।


প্রশ্ন : অটোফিকশান (নিজের বা পরিচিতজনের জীবনের অভিজ্ঞতাকেই গল্প-উপন্যাসের প্রেক্ষাপটে পরিণত করা) -এর ব্যাপারে আপনার অবস্থান কী?

ফসে : এটা তো ইদানীং খুব জনপ্রিয় একটা সাহিত্য-জনরা। নোবেল বিজয়ী ফরাসি সাহিত্যিক এনি আরনো এই জনরায় কাজ করেছেন অনেক। তার একটি ছোটো উপন্যাস পড়লাম সম্প্রতি, ‘সিম্পল প্যাশন’ (১৯৯১) নামে। ভালোই লেগেছে। কিন্তু আমার জন্য নিজের জীবনের অভিজ্ঞতাকে গল্প-উপন্যাসের বিষয়বস্তুতে পরিণত করা এক কথায় অসম্ভব।
ধরুন উপন্যাসে আমি এক মায়ের কথা লিখছি, বা তার অনুভূতি বর্ণনা করছি। অনেকে মনে করবে, আমি হয়ত আমার মায়ের কথা মাথায় রেখে লিখছি। যারা সত্যি সত্যি আমাকে চেনে তারা জানবে, এটা সত্য নয়। আমি কখনো এটা করবো না। কারণ অন্য কারো জীবনকে তুলে এনে সাহিত্যের বিষয়বস্তুতে পরিণত করাকে আমার খুব অনৈতিক একটা কাজ মনে হয়। আমি তাদের হয়ত কিছু কিছু চিহ্ন ব্যবহার করতে পারি, কিন্তু তার প্রেক্ষাপটে উপন্যাস বা নাটক রচনার জন্য তাদের গোটা চরিত্রের আমূল আমাকে পরিবর্তন করে নিতে হবে।


প্রশ্ন : আপনাকে কেউ কেউ মেটাফিজিক্যাল ফিকশনের লেখক হিসেবেও চিহ্নিত করে। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী?

ফসে : আমাকে তো নানাভাবেই লেবেল করার চেষ্টা করা হয়েছে সারাজীবন। একজন পোস্ট-মডার্নিস্ট, একজন মিনিমালিস্ট, এদিকে আমি নিজেই নিজেকে পরিচয় দিই ‘স্লো প্রোজ রাইটার’ হিসেবে। জ্যাক দারিদার প্রভাবও আমি আমার চিন্তায়, লেখনিতে অস্বীকার করতে পারি না।
আবার আমার উপন্যাস ‘সেপ্টোলজি’তে দেখবেন জার্মান আধ্যাত্মিক দার্শনিক মেইস্টার এখহার্টের অনেক আলাপ, দর্শন ও বিবৃতি আছে। আশির দশকে দার্শনিক মারটিন হাইডেগারের পাশাপাশি আমি এখহার্টের ধর্মীয় দর্শনও বিস্তৃতভাবে পড়েছি। আমার লেখায় তার প্রভাব পড়েছে। টিনএজ বয়সে ফ্যাশন হিসেবে মার্ক্সবাদী নাস্তিক্যবাদের চর্চা করলেও, পরিণত বয়সে আশ্রয় খুঁজে নিয়েছি ক্যাথলিসিজমে। যদিও ধর্মীয় কোনো উগ্রতা আমার মধ্যে কাজ করে না। এবং আমি নিজেকে স্রেফ একটা ট্যাগের মধ্যে আটকাতেও আগ্রহী নই।


প্রশ্ন : নরওয়েতে প্রচলিত দুটি ভাষা—নিউনর্সক আর বোকমল—এর মধ্যে আপনি অপেক্ষাকৃত কম ব্যবহৃত নিউনর্সকেতেই লেখালিখি করেছেন। এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক প্রেরণা কাজ করেছে?

ফসে : রাজনৈতিক কোনো কারণ নেই। কারণ এটা আমার মাতৃভাষা। স্কুলে এই ভাষায় আমি পড়ালেখা করেছি। তবে এটা নরওয়ের মূল ভাষা নয়, বাণিজ্যিক কাজেও এই ভাষা ব্যবহার হয় না। যেহেতু ভাষাটি বহুল ব্যবহৃত নয়, কাজেই আমার এ ভাষায় রচিত সাহিত্য আমাদের সাহিত্যাঙ্গনে করণের সজীবতা বয়ে এনেছে।


প্রশ্ন : আপনার বেশিরভাগ নাটকের বিষয়বস্তু হিসেবে উপস্থিত যৌন-ঈর্ষা। ‘ড্রিম অফ দা অটাম’ নাটকে আপনার খুব সুন্দর একটি লাইন আছে—‘সে ভালোবাসায় আমি বিশ্বাস করি না, যা এক বাবাকে তার সন্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।’ আসলেই আপনি এটা বিশ্বাস করেন?

ফসে : খুব খারাপ কি বলেছি? আর ঈর্ষার কথা যদি ধরেন, যেকোনো নাটক রচনার ক্ষেত্রেই ঈর্ষা সবচেয়ে ভালো একটা বিষয়। সুপ্রাচীন আমলের নাটকগুলোর দিকে তাকালেও দেখবেন, ঈর্ষাকে তারা নানাভাবে ব্যবহার করেছে।


প্রশ্ন : আপনার উপন্যাসের একটা লাইন আমার বেশ নজর কেড়েছে-‘যাপিত জীবনে যা কিছু সুন্দর, চিত্রকরের ক্যানভাসে তা অসুন্দর হয়ে ওঠে কেবল তা অতিরিক্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপনের প্রাণপণ চেষ্টায়।’ সাহিত্যেও জীবনকে বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন করে অতিরিক্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয় কি না?

ফসে : অবশ্যই। একটা সুন্দর কবিতা পড়েও আমার প্রায়ই খারাপ লাগে, যখন এটা তৈরির পেছনে ব্যয়িত চাতুর্য আমার চোখে ধরা পড়ে। এরকম আরোপিত যেকোনো সাহিত্যকর্মকেই আমার প্রাণহীন মনে হয়। বাহ্যিক পৃথিবীতেও সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে অসংলগ্নতার মাঝে, অসম্পূর্ণতার মাঝে। সাহিত্য, কিংবা শিল্পের ক্ষেত্রে এটাই সত্য। 


প্রশ্ন : ফ্রাঞ্জ কাফকার ‘দা ট্রায়াল’ উপন্যাসটি আপনি অনুবাদ করেছেন...

ফসে : হ্যাঁ। কারণ, ‘সেপ্টোলজি’ লিখে শেষ করার পর আমি ভিন্ন ধাঁচের কিছু করতে চাইছিলাম। আগে অনেক নাটক, বিশেষ করে সফোক্লিস, অ্যাস্কিলাস, ইউরিপিডিসের লেখা গ্রিক ট্র্যাজেডিগুলো অনুবাদ করলেও উপন্যাস অনুবাদ এই প্রথম। আমার এই অনুবাদ খুব ভালো পাঠ-প্রতিক্রিয়া অর্জন করেছে। আমার প্রকাশক, যিনি নিজে একজন জার্মান, অনুবাদের প্রতিটি দাঁড়িকমা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কাফকার মূল জার্মানের সঙ্গে মিলিয়ে পড়েছেন। বলা চলে স্ক্যান্ডিনিভিয়ান ভাষায় আমার এই কাফকার অনুবাদ নিখুঁত কাজগুলোর একটি।


ইয়ন ফসের বই প্রশ্ন : আপনার নিজের লেখাপত্রের ইংরেজি বা অন্যান্য অনুবাদগুলো পড়ে দেখেন?

ফসে : প্রায় ৫০টির অধিক ভাষায় আমার নাটক অনূদিত হয়েছে। ‘সেপ্টোলজি’র ১ম পর্বও ইতোমধ্যে ১৪টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। সত্যি বলতে, আমি অনুবাদক আর প্রকাশকের ওপরে ভরসা রাখি। নিজের মূল রচনার সঙ্গে অনুবাদ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়া খুব শ্রমসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। অপেক্ষাকৃত তরুণ বয়সে চেষ্টা করতাম আমার লেখার অনুবাদ কতটা মূলানুগ হল তা বের করার। এখন আর করি না।


প্রশ্ন : প্রায় ৩৭ বছর হতে চলল, আপনি লেখালেখি পেশার সঙ্গে যুক্ত। এই লম্বা সময়ে কাজ করেছেন নানা বিস্তৃত প্রেক্ষাপটে। ক্লান্তি কাজ করে কোনো? মনে হয় কি ঘুরে ফিরে একই রকম হয়ে যাচ্ছে?

ফসে : ১২ বছর বয়সে কবিতা আর ছোটোগল্পের মাধ্যমে লেখালেখিতে হাতেখড়ি আমার। নানাভাবে মনে হয়, এখনো আমি সেই ১২ বছর বয়সেই আটকে আছি। আবিষ্কার করেছি, লেখালেখির কাজটা আমাকে এক ধরনের আশ্রয় দেয়। যেখানে বসে আমি লিখি, তা আমার প্রশান্তির জায়গা। সত্যি বলতে, দিন যত যাচ্ছে, লেখালেখির কাজটাকে আমি আরও অভিনব, আরও চিত্তাকর্ষক উপায়ে আবিষ্কার করছি। কারণ, হয়ত এই, লেখালেখির জগতে কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। চিত্রকরেরা যেমন একই প্রতীক, একই মোটিফ সারাজীবন ধরে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করে ক্যানভাস ভরে তোলেন, আমার লেখার ক্ষেত্রেও দেখা যায় সেই একইরকমের মোটিফ ফিরে ফিরে আসছে, কিন্তু আমি তাদের প্রকাশ করছি ভিন্ন ভিন্ন ফর্মে। আমার বলার প্রেক্ষাপট বদলে যাচ্ছে।


প্রশ্ন : আপনি সাহিত্যের নানা পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কার প্রাপ্তিকে আপনি কীভাবে দেখেন?

ফসে : সাহিত্যিক ক্যারিয়ারে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম উল্লেখযোগ্য পুরস্কার পেতে আমাকে কিছুটা সময় অপেক্ষা করা লেগেছে, তারপর থেকে আমি নিয়মিতই নানা পুরস্কার পেয়েছি। তার প্রতিটিই আমাকে উৎসাহিত করেছে। উপলব্ধি দিয়েছে, আমার পুরো জীবনের পরিশ্রম বৃথা যায়নি। এমন কিছু চিন্তা বা কাজ পৃথিবীর মানুষদেরকে উপহার দিয়ে যেতে পেরেছি, যা অর্থবহ।

 

সূত্র : গ্রান্টা, দা নিউ ইয়র্কারস, লস অ্যাঞ্জেলস রিভিউ অফ বুকস ইত্যাদি ওয়েবজিনে দেয়া সাক্ষাৎকার অবলম্বনে।    

/জেড-এস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মেয়ের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফলে এগিয়ে মেম্বার মা
মেয়ের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফলে এগিয়ে মেম্বার মা
‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দেরির অজুহাত হতে পারে না’
‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দেরির অজুহাত হতে পারে না’
গোপালগঞ্জে তৃতীয় রাবেয়া-আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ
গোপালগঞ্জে তৃতীয় রাবেয়া-আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ
জিপিএ-৫ না পাওয়ায় গলায় ফাঁস
জিপিএ-৫ না পাওয়ায় গলায় ফাঁস
সর্বাধিক পঠিত
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে সুপারিশ আর কার্যকর নেই: শিক্ষামন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে সুপারিশ আর কার্যকর নেই: শিক্ষামন্ত্রী
আজ বিশ্ব মা দিবস
আজ বিশ্ব মা দিবস
ঈদের পর শনিবার স্কুল খোলা থাকছে না
ঈদের পর শনিবার স্কুল খোলা থাকছে না
বোন রেহানাকে নিয়ে নিক্সন চৌধুরীর বাসায় শেখ হাসিনা
বোন রেহানাকে নিয়ে নিক্সন চৌধুরীর বাসায় শেখ হাসিনা
পাস করা ছাত্রছাত্রীদের ডিপ্লোমায় ভর্তির আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
পাস করা ছাত্রছাত্রীদের ডিপ্লোমায় ভর্তির আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর