একটি পাখি
‘পাহাড় থেকে আসছি’ বলে সে হাত মেলে ধরে—
অন্ধকারে সেখানে ফোটে
ছোট্ট মন্দির: ঝিঁঝিঁর ডাক, ঘণ্টাধ্বনি,
ঘাসের বিস্ময়
একটি পাখি উড়ে যাওয়ার পরের শূন্যতা
‘পাহাড় থেকে আসছি’ বলে সে চায় দুটো টাকা
চা খেতে, আর বদলে মুঠোভরা
দ্যাখায় অমাবস্যা রাত, পাথরচূড়ে আলো...
বদলে দেয় একটি পাখি
উড়ে যাওয়ার পরের শূন্যতা
কে এত খুশিতে
কে হাত উপুড় করল? এতটা আকাশ
এক বিকেলের মধ্যে ঢুকে পড়ল
অনেক জানালা
ভালো মন খারাপেরও মন
কে এত উপুড় হল চারিদিকে দিগিন্ত অবধি
কে এত খুশিতে বাঁকল
পাথরে পাথর ঘষে
কে জাগাল ঘাসে ঘাসে ফুল
দিনান্তে কে খুলে দিল মুঠি
কে আজ নিজেকে ডাকল বিভিন্ন বয়স থেকে
ঈশানে নৈঋতে
ঘুমের পুরনো জলে ডুবে গেল ঘড়ি
হাওয়া তোমাকে টানছে
হাওয়া তোমাকে টানছে সে যে কোথায় নিয়ে যাবে
মগজও এক ফুল, সেখানে প্রজাপতিরা আসে
হারিয়ে যাওয়া রঙের
জলের চাকা ঘোরে
মুঠো খুললে পাখির ভ্রম, বীজের শেষ আঁধার
পাথরে মুখ বুজে রয়েছে আগুন
হাওয়া তোমাকে টানছে—সে যে কোথায় নিয়ে যাবে—
জামার খুঁট ধরে বিকেলবেলা
দাও ওকে দাও বিষাদকালো
ধূসর মগজের
দু’এক খানা পাপড়ি, পচে-ওঠা
সেই কাজ
আমার আলস্য পেয়ে
মাঠে মাঠে বড়ো হয় কাজ:
বাতাসে চঞ্চল, অপেক্ষার
রৌদ্রে পেকে ওঠা
পাখিরা সুলুক জানে
শস্যদানা খুঁটে খুঁটে
সূর্য জাগানোর
সেই কাজ
এক-মাঠ কিচিরমিচির
উপচে-পড়া কাজ দু-হাতের
আলস্যে বাঁচুক
তাকে পাঠাই
তাকে পাঠাই ট্রেনের হাওয়া,
ঝাঁপিয়ে-পড়া, মুখে—
নিজের আলোয় ঘুমিয়ে থাকা ছোট্ট প্ল্যাটফর্ম
তাকে পাঠাই জঙ্গলের
হঠাৎ-স্তব্ধতা
হারিয়ে-যাওয়া পাখির শিস, ঘাসের কিছু নরম
মুঠোয় ভরা গঞ্জগ্রাম
অন্ধকার দূর
ছিটকে আসা আলো দু’এক ফোঁটা
কুলোবে তার দু’হাতে? সব রাখবে কোন চুলোয়?
কোথাও যাকে যায় না রাখা নেবে সে কোনখানে
ফিরিয়ে দেবে, গানে?
আরও পড়ুন-