চারদিকে মৃত্যুর মিছিল
আমিও মিশে যেতে পারি যেকোনো সময়
প্রস্তুতি নিয়েই যেতে হয় কর্মস্থলে—ভয়ে
কিন্তু তার চেয়েও মর্মস্পর্শী কান্না শুনতে পাই
যাদের কাছে করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর ক্ষুধা
ক্ষুধা মানুষকে যতটা কষ্ট দেয় মৃত্যু ততটা পারে না
করোনার জন্য প্রস্তুতি শেষে ক্ষুধার জন্য শঙ্কিত
ক্ষুধার সাথে যদি তুলনা করা হয় তাবে:
মৃত্যুর আগে অবহেলিত বৃদ্ধের সাথে তুলনা করবো
কীসের অবরুদ্ধ! এই শব্দটা খুব কৌশলে নির্মিত
সময়ের অবরুদ্ধ ঘোড়াকে সব সময়ই অবরুদ্ধ করতে চেয়েছে কেউ কেউ
আপনি যদি হোম কোয়রেন্টিনে মাটির গর্তেও চলে যান তা মানুষের জন্যই মঙ্গল
সেখানে বসে পর্ণ দেখুন—করুন, মাতাল হোন, মুরগীর রোস্ট খান ফ্রিজের জমানো থেকে
আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিন অবরুদ্ধ সময়ের ভয়ঙ্কর পোস্ট আর জ্ঞান
দোষ নেই—অনেকেই করে
আপনার জ্ঞান নিয়ে প্রশংসাই হবে।
আপনি করোনায় আক্রান্ত হবেন না, কাউকে আক্রান্ত করবেনও না
ব্রাঁভো, আপনি মুরগির মতো থাকুন
অবরুদ্ধ থাকুন কিন্তু হায় হায় করবেন না।
যারা মৃত্যুকে সামনে রেখে করোনার সাথে জড়াজড়ি করে তাদের সবাই
আপনার মতো হানিমুনে নয়—কোয়ারেন্টাইনের সুযোগে
হানিমুনে গিয়ে কেউ হাঁটে না
ব্যস্ত থাকে—আপনিও থাকুন
করোনার কথা জেনেও যারা নেত্রকোণা থেকে ওভাবে করোনার চেয়েও বড়ঝুঁকি নেয়
তারা জানে : কে বড়!
কে বেশি ভয়ঙ্কর
যারা ঘরে ঘরে লজ্জায় লাল হয়ে মৃত্যুর লাল চোখ দেখছে তাদের কথা কে বলবে
শুধু বললেই হবে, কিছু করুন নইলে কোনো কিছু বলার প্রয়োজন নেই।
ফেসবুকে একটা বক্তৃতার বদলে এক কেজি চাল ঝুঁলিয়ে দিন আপনার গেটের মাথায়
মাতালের উপকরণগুলো ঝুঁলিয়ে দিন একইভাবে
খালি কোয়ারেন্টাইন কোয়ারেন্টাইন বলে গলায় রক্ত উঠাবেন না
প্রথমে আসুন আপনারা যারা বড় বড় সুবিধা নেন
পরে আসুন যারা ল্যাপটপ বিতরণ করতেন নানা ছুঁতোয়
তারপর আসেন যারা নানান পুরষ্কারে ভূষিত
যারা প্রতিদিন খবরে
যারা প্রতিদিন জ্ঞানী
যারা অহংকার করেন প্রতিনিয়ত
যারা চাইলেই কোয়ারেন্টাইনে যেতে পারেন
ফূর্তি আর খিস্তি সবারই ভালো লাগে
কোয়ারেন্টাইন সবারই ভালো লাগে
কিন্তু ক্ষুধা কারো ভালো লাগে না।
সময় অবরুদ্ধ নয়, সে থামেনি, থামবে না
আপনার জমানো থেকে কিছুটা দিয়ে বড় বড় কথা বলুন
নইলে চুপ থাকুন
যেভাবে চিরকাল কেউ না কেউ থেকেছে
আমি বলি, সময়াবরুদ্ধ নয়, আমরা অবরুদ্ধ
সেই সাথে নানা কৌশলে আমরা অবরুদ্ধ করেছি এই অবরুদ্ধতাকে।