X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১
জার্মান থেকে বাংলায়

হাইনরিশ হাইনের কবিতা

অনুবাদ : হেমায়েত মাতুব্বর
০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:০০আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:০০

হাইনরিশ হাইনে ১৭৯৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর জার্মানীর ডুসেলডর্ফ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। হাইনেকে বলা হয় উনিশ শতকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং রোমান্টিক ধারার সর্বশেষ কবি। লিখেছেন অসংখ্য কবিতা, গান এবং গল্প। ১৮৫৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্যারিসে এই জগদ্বিখ্যাত লেখক পরপারে পাড়ি জমান। 

স্যামুয়েল দিয়াজের পোট্রেট অবলম্বনে

ভাগ্য এক রূপজীবী

ভাগ্য এক রূপজীবী

সে কখনো থাকে না স্থির;    

কপালে চুলের স্পর্শ দিয়ে

পালায় সহসা চুমু খেয়ে।  

 

দুর্ভাগ্য চলে বিপরীতে

ভালোবেসে কাছে টেনে বলে,

তার কোনো তাড়া নেই

বিছানায় বসে থাকে

তোমার পাশে।

 

আহ! আবার সেই চোখগুলো

আহ! আবার সেই চোখগুলো,

যা আমায় ভালোবেসে ডাকতো।

এবং ফের সুমধুর করত

আমার জীবন।

 

সেই কণ্ঠস্বরও এসেছে আবার,

যা আমি ভালোবেসে শুনতাম।

শুধু আমি সেই আমি নই,

রূপান্তরিত হয়ে ফিরেছি ঘরে।

 

দুধসাদা সেই বাহুডোর

আমাকে করতো দৃঢ় আলিঙ্গন,

এখনো আমি আছি তার হৃদয়ের মাঝে,

আছি অনুভূতিতে, ভগ্নহৃদয়, নিষ্প্রাণ। 

 

পুরানো গোলাপ

একটা গোলাপকুঁড়ি ছিল

যার জন্য উদ্ভাসিত এ হৃদয়;

বেড়ে ওঠে সে অপরূপ পুষ্প।

 

সে ছিলো আশ্চর্য গোলাপ,

আর আমি চেয়েছি তাকে ছিন্ন করতে।

সে জানত, আমার আদরের বিনিময়ে

কাঁটা বিঁধিয়ে দিতে। 

এখন সে যেখানে ক্ষত করে, ছিন্নভিন্ন করে 

বৃষ্টি আর বাতাসে ভেসে আঘাত করে—

প্রিয়তম হাইনরিশ এখন,

প্রণয়ভরে সে আসে আমার মুখোমুখি।

 

হাইনরিশ সামনে, হাইনরিশ পেছনে

শুনতে যেন সুমধুর শোনায়।

এই গায়ে বিঁধেছে তোমার কাঁটা,

এটা কী তোমার ধারালো চিবুক!

 

উপরের লোমগুলো বেজায় শক্ত,

যা তোমার থুতনিকে করে অলংকৃত-

আশ্রমে যাও, ওহে প্রিয় শিশু

অথবা মুণ্ডন করবে তোমায়। 

 

আমি যখন তোমার দিকে তাকাই

আমি যখন তোমার চোখের দিকে তাকাই

বিলীন হয়ে যায় আমার যত দুঃখ-কষ্ট;

আমি যখন তোমার মুখে চুমু খাই,

আমি তখন হয়ে উঠি পুরোপুরি সুস্থ।

 

আমি যখন তোমার বুকে চেঁপে থাকি

স্বর্গীয় লিপ্সা নামে আমার উপর;

যখন তুমি বল : আমি তোমায় ভালোবাসি

মর্মভেদী কান্না আসে আমার।

 

শীতল হৃদয়ের বিমর্ষ অনুভূতি

শীতল হৃদয়ের বিমর্ষ অনুভূতি

বিষণ্নতায় অসাড় পৃথিবীকে দেখি,

হেমন্তের শেষেও, একবিন্দু শিশির

মৃত এই অঞ্চলকে রাখে ঢেকে।

 

বাতাস শিষ দেয়, এদিক ওদিক ছোটে

লাল পাতা, যা ঝরে পড়ে দীর্ঘশ্বাসের মতো,

বাষ্পায়িত কেশহীন ভূমি,

এখন আসবে অতি অপ্রত্যাশিত বৃষ্টি।

//জেডএস//
সম্পর্কিত
প্রিয় দশ
দোআঁশে স্বভাব জানি
প্রিয় দশ
সর্বশেষ খবর
কাপ্তাই হ্রদে নাব্য সংকট, ৫ উপজেলার যোগাযোগ বন্ধ
কাপ্তাই হ্রদে নাব্য সংকট, ৫ উপজেলার যোগাযোগ বন্ধ
কলকাতা স্টেশনে অর্থ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশি
কলকাতা স্টেশনে অর্থ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশি
তীব্র গরমে নির্বাচনি প্রচারণায় আ.লীগ নেতার মৃত্যু
তীব্র গরমে নির্বাচনি প্রচারণায় আ.লীগ নেতার মৃত্যু
দেশে আগ্রাসী শাসন চলছে: দিলারা চৌধুরী
দেশে আগ্রাসী শাসন চলছে: দিলারা চৌধুরী
সর্বাধিক পঠিত
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু