X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৮ বৈশাখ ১৪৩১

মেঘলাকলোনি

সৌমনা দাশগুপ্ত
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:১৮আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:৩০

মেঘলাকলোনি তুমি মৌসুমী বাতাসের থেকে

জেনে নিয়ো কতটা সবুজ হলে


গাছ একদিন বৃক্ষ হয়ে ওঠে 

এই শালপ্রাংশু দণ্ড আমি কীভাবে নিতে পারি দিগন্ত! ঠোঁট দিয়ে আগুন লিখতে লিখতে আমি পুড়িয়ে ফেলেছি বনাঞ্চল। এখন ফর্মালিনের গন্ধে হৃদয় চুবিয়ে তামাদি কিছু অক্ষর ভাসিয়ে দিতে পারি তোমার দিকে। এই বনমোরগের ছায়া আমাকে আর ঘুমোতে দেবে না। মাথার ভেতর ঢুকে বসে আছে ডাক, অথ ডাকবাক্সের হাহাকার। মাঝে মাঝে কফির কাপের সামনে চুপচাপ বসে থাকতে থাকতে আজকাল আমি নিজের অলক্ষ্যেই ধ্যানস্থ হয়ে যাই। একী রাধাভাব! নাকি আত্মরতির স্বর বেজে ওঠে কড়ি মধ্যমে

বেদনার কোনও বিনিময় হয় না। 

শুধু ধুলো ওড়ে। 


শুধু বালি ঢুকে যায়।

আমার জন্য কোনও আমি নেই এই ঘরে। ইয়ে দিল মাঙ্গে মোর, মোর তরে যতই গলা ফাটাই না কেন, সারকোফেগাসের ভেতর কেবলই জল, তুমুল ফাঁকির এই ফক্কিকারি তুমিও একদিন শিখে যাবে, আর ধর্মভীরু এক যাজকের মতো হাড়ের বাঁশিতে বেজে উঠবে বোবা সংগীত। গোসলখানার ভেতর এসবই ফুটে ওঠবার বাহানা মাত্র। নিজের গোপন অস্তিত্বের ছবি নিতে নিতে সবরকম মুগ্ধতা আমার কেটে যাচ্ছে দিগন্ত। শুধু থম মেরে বসে থাকি। ভাবি? ভাবিও না হয়তো। ভাবনার এক অতীন্দ্রিয় প্রদেশে জরা লেগেছে আমার। প্রলাপ অথবা প্রলাপের মতো কিছু ধারভাষ্য, এটুকুই সম্বল আমার

ওয়াইপার চালিয়ে দিলেই

কান্না মুছে যাবে, এরকম

কোনও কথা ছিল না

তুমি বলেছিলে শরীর এক মহৎ কবিতা। আমি শুধু ফেটে যাওয়া কেকের কাটাকুটি দেখি। চামড়ার নরম ভেঙে বেরিয়ে আসা পোড়া বেগুনের শাঁস। ছাইরঙা চুল, বলিরেখা। বয়সের থাকে থাকে সাজানো জন্মদিন, ক্যান্ডেল-অভিসার। আর চক্রবৃদ্ধি হারে নুন জমে। কথার লবণ থেকে আমি শুধু ঘাম কুড়িয়েছি। এত যে ফেটিগ আমি লুকিয়েছি, আজও লুকাই। শরীরের খাঁজে খাঁজে নুনজল, ফেনা

দ্বিধা নামের এক টুকরো জলাশয়

ধেবড়ে দিচ্ছে এই ভাসমান

কপাট আর বন্ধ হচ্ছে না

দূরত্ব ছাড়া আমাদের আর কোনও শব্দকোষ নেই দিগন্ত। এই দেখ, কেমন অবলীলায় মেঘ ছেড়ে দিলাম, রং ছেড়ে দিলাম এই সাদা পৃষ্ঠায়। চোলিমে দিল হ্যায় মেরা, এইটুকু সমঝোতা করা যেতেই পারে। টপলেস কাঁচুলির থেকে ছেঁটে দেওয়া যায় বাদবাকি ব্র্যাকেট। তুমি কি হৃদয় অব্দি টুপটাপ ঝরিয়ে যেতে পারবে এই অনুবাদ, স্বপ্ন ও প্রকৃত ঘুমের ভেতর ঢুকিয়ে দেবে এক টুকরো মাংস

ধীরে রঙিন হচ্ছে এই জল

লিটমাস পেপার থেকে জীবন

খুঁটে তুলছে সোনালি কবুতর

নেশা শব্দটাই অবসোলিট হয়ে যাচ্ছে দিগন্ত। জলের নেশা, রঙের নেশা, মেঘ নামের এক টুকরো তুলতুলে অনুভূতির নেশা—স্পেস কমে যাচ্ছে আমার অভিধানে। আর কত মোমরং ঘষে ঘষে বিব্রত করে তুলব এই কাগজকে! সূর্য ছোঁয়ার এই আনকা বাসনার থেকে শুধু বুদবুদ উঠে আসে। আমি তাপ মুছে ফেলছি ধীরে ধীরে। এই শীতকাল আমাকে ফাটা ঠোঁট আর খড়ি ওঠা চামড়া ছাড়া আর কীই বা দিতে পেরেছে! তাছাড়া বিশুদ্ধ জিনিয়া ফুলের কেয়ারিতে আচমকা সরষেবীজ ছড়িয়ে দিলেও যে শেষ অব্দি সবটাই অবান্তর হয়ে যায়

//জেডএস//
সম্পর্কিত
প্রিয় দশ
প্রিয় দশ
দোআঁশে স্বভাব জানি
সর্বশেষ খবর
মোস্তাফিজের শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের হার
মোস্তাফিজের শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের হার
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন: এমপি কাজী নাবিল
বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন: এমপি কাজী নাবিল
ত্যাগের মহিমায় স্বামী বিবেকানন্দ মানবসেবা করে গেছেন: মেয়র তাপস
ত্যাগের মহিমায় স্বামী বিবেকানন্দ মানবসেবা করে গেছেন: মেয়র তাপস
সর্বাধিক পঠিত
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা