X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাঠ-প্রতিক্রিয়া : ‘ব্রাসেলসের সন্ধ্যাটি ছিল মনোরম’

সানাউল হক
২৬ মার্চ ২০২৩, ১১:০৫আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, ১১:০৫

কবি মিনার মনসুর কবিতা লিখছেন সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ত্রিশের অধিক। ‘ব্রাসেলসের সন্ধ্যাটি ছিল মনোরম’ তাঁর অতি সম্প্রতি প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ। ছাপাখানা থেকে বের হয়ে প্রকাশকের হাতে এ বইয়ের যে কয়টি কপি প্রথম পৌঁছেছিল, সৌভাগ্যক্রমে তারই একটি কপি আমি সংগ্রহ করেছিলাম। এর কবিতাগুলো নিজের মতো করে পড়ার পাশাপাশি গ্রন্থটির পাঠ উন্মোচনের এক সন্ধ্যায় স্বনামধন্য কয়েকজন কবির আলোচনা এবং কবির নিজস্ব কিছু কথা শোনার সুযোগ হয়েছিল আমার। সে থেকে কাব্যগ্রন্থস্থিত কবিতাগুলো সম্পর্কে আমার প্রচুর আগ্রহ। এ আগ্রহ থেকে গভীর পাঠ এবং তারই ধারাবাহিকতায় নিজস্ব এ পাঠ-প্রতিক্রিয়া।

‘ব্রাসেলসের সন্ধ্যাটি ছিল মনোরম’ এ শিরোনাম থেকে ইতিহাসসচেতন পাঠক এ কাব্যগ্রন্থের কবিতার শীর্ষ উপাদানের ইঙ্গিত পাবেন। ১৯৭৫ সালে পরিবার-পরিজনসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ড এবং সে সময়ে ব্রাসেলসে বাংলাদেশি দূতাবাসে জাতির পিতার বেঁচে যাওয়া দুই কন্যা যে অমানবিক এবং সাধারণ শিষ্টাচারবহির্ভূত নিষ্ঠুর বাস্তবতার সম্মুখীন হয়েছিলেন বইটির শিরোনাম সে কথা মনে করিয়ে দেয়। তবে কাব্যগ্রন্থটিতে অন্তর্ভুক্ত ৪৫টি কবিতা সর্বতোভাবে কেবল সে দিকেই প্রবাহিত হয়েছে তা নয়। বরং এ ঘটনার বহুমাত্রিকতার সাথে সরাসরি এবং দূরবর্তী সংযোগ, অন্তঃস্থিত ক্রন্দন, দ্রোহ, স্পৃহা, পুনর্জাগরণের বোধে আর কল্পনার ইন্দ্রজালে বিমূর্ত ভাবনার বহুবিধ সূত্রে কবিতাগুলো অসংকোচে ভ্রমণ করতে চেয়েছে।

বইটির শিরোনাম নিজেই এক পঙক্তির একটি কবিতা। যার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে পারে। ব্রাসেলসের সেই সন্ধ্যাটি কি আদৌ মনোরম ছিল, নাকি অমানবিকভাবে নির্মম ছিল? কোন অর্থে এ সন্ধ্যাটি ‘মনোরম’? বরং বলা ভালো কোন কোন অর্থে? অথবা কাব্যগ্রন্থটির প্রেক্ষাপটে ‘মনোরম’ শব্দটির অর্থ কী? নাকি এর কোনোই অর্থ নেই? এ নিয়ে কোনো উপসংহারে পৌঁছানো সম্ভব কি? এই একটিমাত্র শব্দের অভূতপূর্ব ব্যবহার দিয়ে কবি কবিতার পাঠককে কোন স্তরে গিয়ে কবিতা পাঠ করতে ইঙ্গিত করেন? বলা হয়ে থাকে, কবিতায় একটি শব্দ তখনই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যখন কবি শব্দটিকে প্রচলিত আভিধানিক অর্থ থেকে মুক্তি দিতে পারেন। যুগে যুগে কবিগণ শব্দকে তার প্রচলিত অর্থের কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে শব্দকে নবায়ন করার চেষ্টায় লিপ্ত আর এর মধ্য দিয়ে একটি মামুলি শব্দে কোনো মহত্তর ভেল্যু বা পার্সপেক্টিভ আরোপিত হয়। আলোচ্য কাব্যগ্রন্থের শিরোনাম নির্ধারণে কবি মিনার মনসুরের মধ্যে শব্দ-শিল্পচর্চার সেই পবিত্র অঙ্গীকার বিদ্যমান। তিনি ‘মনোরম’ শব্দটিকে অনন্য শক্তিতে শক্তিশালী করে শিরোনামেই নান্দনিক ব্যঞ্জনার অবতারণা করেছেন।

“বিশ্বাস না হয় তবে বৃক্ষকে শুধাও। এই দেশে/গাছেরা কবিতা লেখে বীজের ভাষায়; মাছ লেখে/ জলকাব্য- ভাষা তার অন্যদের বোধের অতীত” (কবিদের কবি তুমি)। মিনার মনসুর এই দেশের কবি। তাঁর কবিতা বোধের অতীত নয়, তবে বোধের গভীরে অন্তর্লীন আর চেতনার রাজত্বে ক্রিয়াশীল।

মিনার মনসুরের কবিতার সাথে আমার বহু কারণে পরিচয় আছে। তাঁর আগের কাব্যগ্রন্থ, কবিতা সংকলন ইত্যাদি থেকে আলোচ্য কাব্যগ্রন্থটি উপাদান এবং এবং স্টাইল এ দুদিক থেকেই পৃথক হতে চেয়েছে। মনে হলো, অন্য এক মিনার মনসুরের অন্যরকম কবিতা। কবিতার সমসাময়িক ঝোঁকের চেয়ে বরং “ব্যতিক্রমী” অথচ “মহৎ কবিতা”র অনুসন্ধানে মিনার মনসুর দুর্দান্ত নিরীক্ষায় নেমেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা কিংবা সৃজনশীল বাসনা সবসময়ই ঝুঁকিপূর্ণ। ‘ব্রাসেলসের সন্ধ্যাটি ছিল মনোরম’ কাবগ্রন্থে তিনি সৃজনশীলতার সেই ঝুঁকি নিয়েছেন- বিশেষত যেখানে ধৈর্যশীল পাঠকের সংকট বিদ্যমান। কেন তিনি এ ঝুঁকি নিলেন- এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে একদিকে তাঁর ব্যক্তিগত বিশ্বাস এবং চিরলালিত আদর্শ, অন্যদিকে সৃজনশীলতার প্রতি তাঁর দুর্নিবার আগ্রহের কথা বলা যায়- যার তাগিদ তিনি তাঁর প্রাণের গভীরে ধারণ করেন। প্রাণের এমন তাগিদের প্রসঙ্গেই কি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ কথা বলেছেন যে “প্রাণের কারবারে প্রাণের মুনাফাটাই লক্ষ্য, এই মুনাফাটাই বাহুল্য।...এই বাহুল্যকেই নিয়ে কবিদের উৎসব”।

‘ডাকিছে সুবর্ণগ্রাম’ কবিতাটির কথোপকথনে, ‘তুমিই হাদি, তুমিই আদি’, ‘ভেবেছিলাম এ গল্প একটি বটবৃক্ষের’ কিংবা ‘সহস্র এক রজনীর গল্প’ প্রভৃতি শিরোনামে কবিতার কোন রসায়নে গদ্যপ্রবাহের কল্পনার গল্পকে কবিতার মঞ্চে এনে বসিয়ে দিয়েছেন মিনার মনসুর- এ নিয়ে পাঠকের না ভেবে পরিত্রাণ নেই।

কাব্যগ্রন্থটির পাঠ উন্মোচনে কবি আসাদ মান্নান প্রয়াত কবি সিকদার আমিনুল হকের বিমূর্তধর্মী কবিতার প্রসঙ্গ টেনে বলেছিলেন, মিনার মনসুরের কবিতাগুলোর অধিকাংশ গদ্যধর্মী হলেও পাঠকের কাছে তা দুর্বোধ্য লাগবে না। প্রচলিত ছন্দের বাইরে গিয়ে কবিতাগুলো কবিতা হয়ে উঠেছে। এদিক থেকে গদ্য কবিতা লেখা কঠিন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে কবিতা ছন্দে-উপমায়-অলঙ্কারে থাকে না; কবিতা অশরীরী। আর মিনার মনসুরের কবিতার অশরীরী এ সৌন্দর্য পাঠককে কবিতার প্রতি টানবে।

এ আলোচনাটিকে তাত্ত্বিকভাবে আরও গভীরে টেনে নিতে গিয়ে কবি কামাল চৌধুরী বলেন, মুক্তছন্দের কবিতা এবং গদ্য কবিতার মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান। গদ্যরূপ কবিতার প্রকাশে যখন প্রবল কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রতীক-উপমা-চিত্রকল্পের সহযোগে একটি সার্থক ইমেজ (ফিগারেটিভ ইমেজ) তুলে আনা যায় তখন এটি কবিতা হয়ে উঠে। ছন্দের উপর কর্তৃত্ব বহাল রেখে প্রচলিত ছন্দ ভেঙেচুরে গদ্য কবিতা লিখতে হয়। মিনার মনসুরের কবিতা শুধু গদ্য কবিতার শর্তগুলোই পূরণ করেছে তা নয়, বরং তাঁর অনেক কবিতা প্রচলিত ছন্দের বন্ধনেও সফলভাবে উত্তীর্ণ। তিনি সিকদার আমিনুল হকের বরাত দিয়ে উল্লেখ করেন, দক্ষতায় যাঁরা শ্রেষ্ঠ তাঁরাই গদ্য কবিতা লিখবেন।
‘ব্রাসেলসের সন্ধ্যাটি ছিল মনোরম’ কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলো পাঠ করে পাঠকহৃদয় সে দক্ষতার স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করবেন বলে আমার বিশ্বাস।

“আমি তোমার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়েছিলাম; কখন বৃষ্টির তোড়ে খরগোশের পিঠে চেপে ত্রিকাল সিন্দুকে সযত্নে তুলে রাখা সোনায় মোড়ানো পরমায়ু ভেসে গেছে বুঝতে পারিনি”!(ও মেঘ ও ভগ্নদূত)। এটি কবি মিনার মনসুরের বহুমাত্রিক পর্যবেক্ষণ আর দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপনে বৈচিত্রের শেকল রচনার অসংখ্য উদাহরণের একটি। প্রকৃতি আর পার্থিব মায়া আর পাষাণ বাস্তবতার সাতরং রংধনুর বিচিত্র সমীকরণকে স্বীকার করেই তাঁর কবিতার এ বৈচিত্রকে উপভোগ করতে হয়।

জীবনানন্দ দাশ যখন কবিতায় পাণ্ডিত্যের চেয়ে জ্ঞানের, জ্ঞানের চেয়ে অভিজ্ঞতার, কিংবা তারচেয়ে বেশি সংস্কৃতি-শিল্পের ছোঁয়ার কথা বলতে বলতে জীবনের সমান্তরালে আরেক জীবন নতুনভাবে সৃষ্টি করতে চান তখন কবিতার কাছে নতুন প্রত্যাশা জন্মে বৈকি। হয়ত এর পরিবেশন স্টাইল স্থান-কাল-পাত্র ভেদে ভিন্ন হবে, হয়ত কবিতায় বলার- একই সাথে না বলার ভঙ্গিমাটুকু ভিন্ন হবে। কিন্তু কবিতার কৌটার ভেতরে থাকা কবিতার যে প্রাণ, চূড়ান্ত যে স্পন্দন পাঠকের মনে শেষ পর্যন্ত সন্তপর্ণে রেশ রেখে যেতে হয়- সেটি তো অটুট থাকা চাই।

‘ব্রাসেলসের সন্ধ্যাটি ছিল মনোরম কাব্যগ্রন্থ’টি যেকোনো পাঠককে সে অর্থে মনোযোগী হতে বাধ্য করবে। এটি নিছক পাঠ করে যাওয়ার, শব্দের পর শব্দের মালার বাহ্যিক সৌন্দর্য দর্শনের বিষয় নয়, বরং কবিতার ভেতরে গিয়ে কবিতার ভাব-ভঙ্গিমা-নন্দনশৈলীকে অন্তর্লোকে অনুধাবন করার বিষয়। এ কাব্যগ্রন্থটি আমাদেরকে কবিতার জন্য মনোযোগী পাঠকের গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়।

“কে কাকে টানে? কে যাত্রী আর কেই-বা চালক” (টানো, টানতেই থাকো) -এ প্রশ্ন কেবল আঠারো কোটি মানুষের নয়, বরং বিশ্ব-মানুষের প্রকৃতিগত আত্মজিজ্ঞাসা আধ্যাত্মিকতায় এসে মৌন দাঁড়িয়ে থাকে। যেন এ প্রশ্নের জবাব কোনো অন্তহীন জবাবে জবাবহীন হয়ে আছে শোষণ আর বিকলাঙ্গ সভ্যতার এ পৃথিবীতে!

গভীর বোধকে নান্দনিক প্রকাশের যুগলবন্দি করে তোলার প্রেক্ষাপট থেকে ভাস্কর্যশিল্প এবং কবিতার মধ্যে শব্দহীন এক নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে বলে বলা হয়ে থাকে। যুবতী মেরীর কোলে পুত্র যিশুর পূর্ণাবয়ব মৃতদেহের ভাস্কর্যের মধ্যে মহান মিকেলাঞ্জেলো কী করে পৈশাচিক বর্তমানের প্রেক্ষাপটে অতীত এবং ভবিষ্যতের যথাক্রমে পূর্ববিচ্ছুরিত এবং অনাগত আলোর যাবতীয় আকাঙ্ক্ষায় যুগপৎ অলৌকিক সৌন্দর্য আরোপ করেছিলেন? সে দীক্ষার ইঙ্গিত বা প্রকাশধর্ম ‘ব্রাসেলসের সন্ধ্যাটি ছিল মনোরম’ শীর্ষক কাব্যগ্রন্থে কবি মিনার মনসুর সচেতনভাবে প্রয়োগ ঘটাতে চেয়েছেন, নাকি তাঁর নিজস্ব কাব্যস্বভাব থেকে তা উৎসারিত হয়েছে সে বিষয়ে ভাবতে গিয়ে আমি দোটানায় পড়েছি। যেভাবেই হোক না কেন, কাব্যগ্রন্থটিতে তিনি একদিকে ১৯৭৫ সালে পরিবারসহ জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পৈশাচিক দৃশ্যপট এবং অবশেষে অন্ধকার কাটিয়ে তাঁরই কন্যাদ্বয়ের (যাঁরা বিদেশে অবস্থানের কারণে ঘাতকদের হাত থেকে প্রাণে বেঁচে গেলেও সেদিনের সন্ধ্যায় পটপরিবর্তনের যুগসন্ধিতে দাঁড়িয়ে ক্ষীণতম মানবিক আচরণ ও শিষ্টাচার-বিরুদ্ধ আরেক নিষ্ঠুরতার সম্মুখীন হয়েছিলেন) হাত ধরে আলোর বার্তা এবং বিনির্মাণের জয়ধ্বনিকে কবি মিনার মনসুর তাঁর নান্দনিক চিন্তার সূত্রে ফেলে পাঠককে বৃহত্তর একটি ক্যানভাস ঘুরিয়ে আনতে চেয়েছেন।

‘ব্রাসেলসের সন্ধ্যাটি ছিল মনোরম কাব্যগ্রন্থ’টি প্রকাশ করেছে কথাপ্রকাশ। প্রচ্ছদ এবং অলংকরণ করেছেন, ধ্রুব এষ। হার্ড কভারে চার ফর্মার এ বইটির মূল্য, ২৫০.০০ টাকা। সামান্য মুদ্রণত্রুটিকে অগ্রাহ্য করে বলা যায় বইটির সার্বিক উপস্থাপনা পরিচ্ছন্ন এবং মনোরম। কবি আসাদ মান্নানের ভাষায়, এ কাব্যগ্রন্থটি পাঠকের সাথে রাখার, সাথে করে ঘুরে বেড়ানোর মতো একটি বই।

/জেড-এস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
শনিবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
শনিবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
গাজার ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে ১৪ বছর লাগতে পারে: জাতিসংঘ
গাজার ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে ১৪ বছর লাগতে পারে: জাতিসংঘ
সর্বাধিক পঠিত
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী