সরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা বেসরকারি, সবখানেই কাজ পরিচালনা করতে গিয়ে তৈরি হতে পারে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের। আমরা সব সময় সমস্যা এড়িয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু এমনও তো হতে পারে এই দ্বন্দ্ব থেকেই পাওয়া গেল ভালো কোনও সমাধান!
ইতিবাচক ভাবনা ছড়িয়ে দেওয়ার মন্ত্রণা নিয়ে চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউতে) অনুষ্ঠিত হলো প্রশাসনিক ব্যবস্থায় দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সমাধানের কৌশল বিষয়ক সেমিনার ‘কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট।’
সম্প্রতি নগরের জামাল খানের সিআইইউ ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে ‘সিআইইউ-এইচআরএম সোসাইটি’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন ফিকরান গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন বিজনেস স্কুলের শিক্ষক ও সব শিক্ষার্থী।
সেমিনারে প্রশাসনিক ব্যবস্থার কাঠামো, প্রাতিষ্ঠানিক নমনীয়তা, উদারতা, কর্মস্থলে সহকর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব কমানোর উপায়, ইতিবাচক ভাবনা, নেতিবাচক দিক সীমিত করাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে ফিকরান গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক চৌধুরী বলেন, ‘দলগতভাবে কাজ করতে গেলে দ্বন্দ্ব তৈরি হতেই পারে। ভালো কাজের জন্য যেমন চাই শক্তিশালী টিম ওয়ার্ক, তেমনি দ্বন্দ্ব দূর করতে চাই নিজের চিন্তাধারা, রুচি ও দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়।’
তিনি আরও বলেন, লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিজের কাজের প্রতি যথেষ্ট মনোযোগী হতে হবে। যোগাযোগ ও আলোচনার মাধ্যমে অব্যাহত রাখতে হবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা।
প্রতিষ্ঠানের সফলতা মত-বিরোধের সঠিক ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করে জানিয়ে সাদেক চৌধুরী বলেন, দীর্ঘকালীন ও স্বল্পকালীন কাজগুলো উদ্দেশ্য অনুযায়ী এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এই ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক কৌশল নির্ধারণ করা যেতে পারে। যেখানে সম্মান, বৈচিত্র্য আর সমভাব বজায় থাকবে।
সময়ের কাজ সময়ে করা, ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলা, অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিকে কাজে লাগিয়ে ইতিবাচক ভাবনা বাড়ানোর প্রতি জোর দেন তিনি।
অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে সিআইইউর এইচআরএম বিভাগের প্রধান ড. মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী খালেদ বলেন, ‘কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট কিংবা দ্বন্দ্ব ব্যবস্থাপনা যে কোনও প্রতিষ্ঠানেই বিদ্যমান। কর্মস্থলে শিক্ষার্থীরা কীভাবে এই ধরনের পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাবে সেই বিষয়ে ব্যবহারিক ধারণা দিতে এমন সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।’