গণহত্যা দিবস, মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
ঢাবি কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যৌথ উদ্যোগে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করা হবে। অন্যদিকে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালন করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবস দুটি পালনের লক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের পরিচালক মাহমুদ আলম সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গণহত্যা দিবসের কর্মসূচি
দিবসটি উপলক্ষে ২৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে সন্ধ্যা ৭টায় মোমবাতি প্রজ্বলন ও শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে ডকুমেন্টারি ফিল্ম প্রদর্শন এবং সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত জরুরি স্থাপনা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায় প্রতীকী ‘ব্লাক-আউট’ কর্মসূচি পালন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে দোয়া এবং ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করা হবে।
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচি
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে ২৬ মার্চ সকাল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কেন্দ্রীয় ভবন ও আবাসিক হলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৬টায় স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে জমায়েত, সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে যাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের সন্তানদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ এবং সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে সংগীত বিভাগের উদ্যোগে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের গান, কবিতা, নৃত্য পরিবেশন এবং থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের উদ্যোগে নাটক মঞ্চায়ন করা হবে।
এছাড়া বাদ জোহর মসজিদুল জামিয়ায় বিশেষ মোনাজাত এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে কার্জন হল ও টিএসসিতে আলোকসজ্জা করা হবে।