রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, ‘আমাদের বেঁচে থাকার যে আলো, তার উজ্জ্বল রশ্মি হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৪২ বছর ধরে তিনি আমাদের এবং দেশকে যা উপহার দিয়েছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ সূর্য উঠলে ঢোল পিটিয়ে বলতে হয় না সূর্য উঠেছে। এখানে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার সূর্যটাকে কীভাবে দেখছি।’
শেখ হাসিনা না থাকলে দেশটা কোথায় যেতো, তা বলা মুশকিল উল্লেখ করে উপাচার্য গোলাম সাব্বির বলেন, ‘১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর থেকে তিনি যা যা করেছেন, তা আমাদের কাছে দৃশ্যমান। তার আগামীর যে পরিকল্পনা সেখানে আলোর দিশা আছে, সেটা আমাদের স্বীকার করতেই হবে। ২০৪১-এর আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আমরা একটি আলোকিত বাংলাদেশে চলে যাবো।’
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে ‘বঙ্গবন্ধু ও গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে ‘বঙ্গবন্ধু ও গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র’ শীর্ষক বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবাইদুর রহমান প্রামাণিক।
মুখ্য আলোচক ড. বিনায়ক সেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা যে সাহসী, তাতে কারও সন্দেহের অবকাশ নেই। শেখ হাসিনার কাছ থেকে আরও অনেক কিছু পাওয়ার আছে বাংলাদেশের। আমি যখন বাংলাদেশের আগামী ১০ বছরের কথা চিন্তা করি, তখন দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিয়ে ভাবি না। এটা আমার ব্যক্তিগত দুর্বলতা। ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে তখন আমার চিন্তা আবর্তিত হতে থাকে। সেই ব্যক্তিটি এই মুহূর্তে আমি শেখ হাসিনা ছাড়া আর কাউকে পাই না।’
ড. বিনায়ক সেন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। পাশাপাশি কিছু বৈষম্যও বাড়ছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো অর্থনৈতিক বৈষম্য। মানব উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে বৈষম্য হচ্ছে। এমনকি আঞ্চলিক বৈষম্য বাড়ছে। বৈষম্য মাঝে একটু কমে আসলেও এখন আবার বেড়েছে। পশ্চিমাঞ্চল-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে বৈষম্য আছে। এসব বৈষম্য ছাড়াও সুশাসনের প্রতি, স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অনেকগুলো প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু ও গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র’ নিয়ে আলোচনা করতে হবে।’
রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাউদসহ প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষক উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর।