ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে আট শিক্ষার্থীর সিট বাতিল করেছে হল প্রশাসন। এদের মধ্যে ছয় জনকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি গতকাল রাতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেখানে আট জনকে সরাসরি হামলা ও মারধরের সম্পৃক্ত থাকতে দেখা গেছে। তাদের হল থেকে সিট বাতিল করা হয়েছে।
আগামীকাল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাময়িক বরখাস্ত করবে জানিয়ে তিনি বলেন, এগুলো পরে ডিসিপ্লিনারি বোর্ড ও সিন্ডিকেট মিটিংয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
অভিযুক্তরা হলো, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জালাল মিয়া; মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন; একই শিক্ষাবর্ষের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মোত্তাকীন সাকিন; ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের আল হোসাইন সাজ্জাদ; গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ এবং অপর শিক্ষার্থী ওয়াজিবুল আলম। এদের এরই মধ্যে থানায় সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অন্য দুজন হলো, ২০২০-২১ সেশনের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের মো. ফিরোজ কবির ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মো. আবদুস সামাদ।
এদিকে বিষয়টির সবশেষ তথ্য জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, গত বুধবার রাতে ফজলুল হক মুসলিম হলের মর্মান্তিক ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্যন্ত দুঃখিত ও মর্মাহত। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুততার সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সচেষ্ট হয়েছে ও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় হল প্রশাসন কর্তৃক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে এবং এই কমিটি বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় রিপোর্ট পেশ করেছে।
ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় তদন্ত কমিটি কর্তৃক চিহ্নিত আট অভিযুক্তের মধ্যে ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়ে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত এই ৮ জনের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে ও সকলের সহযোগিতা কামনা করে।