ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। এখনও নির্বাচনের সময়সীমা এবং তফসিল ঘোষণা করেনি ডাকসুর নব্য গঠিত নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যেই তারা হল প্রশাসন এবং নিজেদের মধ্যে কয়েকবার আলোচনায় বসলেও সঠিক সময় এখনও জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনও ঘটনা না ঘটলে চলতি বছরের আগস্টেই হতে পারে ডাকসু নির্বাচন।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্যে প্রচারণা শুরু না হলেও ইতোমধ্যেই শিক্ষার্থী বান্ধব কাজের প্রতিযোগিতা ও প্রচারণা শুরু করেছে ছাত্র সংগঠনগুলো। পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের প্যানেল নিয়েও চলছে না আলোচনা। বয়সের সীমাবদ্ধতা না থাকায় কারা ডাকসুতে প্রার্থী হবেন—তা নিয়েও তৈরি হচ্ছে ধোঁয়াশা।
ডাকসুতে এবার ইনক্লুসিভ প্যানেল দেওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে আসা এই সংগঠনটির একাধিক সংগঠকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার ডাকসুতে দল মত নির্বিশেষে সংগঠনের ভেতর ও বাহিরের শিক্ষার্থীদের সংমিশ্রণে প্যানেল দেবে বাগছাস।
সংগঠকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার বাগছাসের প্যানেল থেকে কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে থাকতে পারেন সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের। জিএস পদে থাকতে পারেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার। এছাড়াও অন্যান্য পদে থাকবেন সংগঠনটির একাধিক সংগঠক ও সাধারণ শিক্ষার্থী।
তবে এই প্যানেলে পরিবর্তনও হতে পারে বলেও একটি সূত্র জানিয়েছে। ইতোমধ্যেই নিজেদের মধ্যে কয়েকটি মিটিং করেছে সংগঠনটি। এদিকে সংগঠনটির অন্যান্য একাধিক জোটের সঙ্গে সমন্বয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানায় সূত্রটি।
এবিষয়ে বাগছাসের ঢাবি সংসদের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ডাকসুতে এবার আমরা একটা ইনক্লুসিভ প্যানেল দিতে চাই। যারা যেই কাজে দক্ষ, তাদের আমরা সেই পদে রাখতে চাই। সে ক্ষেত্রে সংগঠনের বাইরে থেকেও আমরা প্রতিনিধি আহ্বান করবো। সবাইকে নিয়ে একটা ইনক্লুসিভ নির্বাচনের চিন্তাভাবনা আমরা করছি।’
তবে প্যানেলের নেতৃত্বে কারা থাকবেন, সে ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে সম্মত হননি সংগঠনটির এই নেতা।
ডাকসুর সময়কাল নিয়ে কাদের বলেন, ‘আমরা মনে করছি, এখনই ডাকসু নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে ভালো সময়। জুলাই আন্দোলনের পর আমাদের সবার একটাই দাবি ছিল—ডাকসু নির্বাচন। কারণ দলীয় রাজনীতি থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ধারার শিক্ষার্থী বান্ধব রাজনীতি চালু করার একমাত্র আশা জাগানিয়া ডাকসু। আমাদের মতে, এই সময়টাই ডাকসুর জন্য সবচেয়ে ভালো।’