অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের গোডাউনে। এ মাসে কয়েক দফা বৃষ্টির পানি জমে মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিপদে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোনও প্রতিকার না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ঢাকা কাস্টম এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে বৃষ্টির কারণে পানি জমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজের গোডাউনে। এতে করে আমদানি করা অনেক পণ্য নষ্ট হয়েছে বলেও অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এছাড়া গোডাউনে জায়গা না থাকায় বিমানবন্দরের রান ওয়ের পাশে বে এরিয়ায় পড়ে থাকা মালামালও বৃষ্টিতে ভিজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের। জলাবদ্ধতা বিষয়ে ঢাকা কাস্টম এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।আগামী বর্ষার মৌসুমে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এককভাবে দু’ধরনের হ্যান্ডেলিং করে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের আওতায় বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ও যাত্রীদের লাগেজসহ বিভিন্ন সেবা দেওয়া হয়। কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের আওতায় ব্যবসায়ীদের আমদানি-রফতানিতে সেবা দেওয়া হয়। বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে আসা পণ্য বিমানের মাধ্যমে কার্গো ভিলেজ থেকে ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করা হয়।
একটি ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক জুয়েল আহমেদ বলেন, একটি গার্মেন্টস-এর জন্য আমদানি করা কাপড় রোয়ানুর সময় গোডাউনের ফ্লোরে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। বিমানের লোকজনকে জানিয়েও কোনও সমাধান পাইনি। এখনও কাদা পানিতে অনেক কাপড় নষ্ট হয়ে গেছে।বিমান যদি এই জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান না করে, সামনের বৃষ্টিতে এভাবে আরও পণ্য নষ্ট হবে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কয়েক দফা বৃষ্টিতে কার্গো ভিলেজের গোডাউনে পানি জমে। এতে ফ্লোরে থাকা মালামাল পানিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় এ পরিস্থিতি হয়েছে। এছাড়া গোডাউনের জায়গা কম থাকায় রান ওয়ের বে-এরিয়াতেও অনেক সময় মালামাল খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকে, কোনও ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই। বিমানের কাছে মৌখিক ও লিখিতভাবে জানানো হয়েছে, কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি। একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমন অবস্থা কোনওভাবেই প্রত্যাশিত না।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বিমানের কার্গো শাখার জেনারেল ম্যানেজার আলী আহসান বাবু কোনও মন্তব্য না করে শুধু বলেন,সংবাদ মাধ্যমে কথা না বলার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ রয়েছে।
আরও পড়ুন:
হাসিনা হাত বাড়ালেন, এবার পালা মমতার
রাঙামাটিতে চাঁদের গাড়ি উল্টে নিহত ১, প্রতিবাদে বিজিবি ক্যাম্প ভাঙচুর
/সিএ /এপিএইচ/