X
রবিবার, ১১ মে ২০২৫
২৮ বৈশাখ ১৪৩২
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ

এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের বেতন সরকারি স্কেলের চেয়ে বেশি হবে না

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৯ আগস্ট ২০১৬, ১৭:০১আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০১৬, ১৭:০১

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বেসরকারি এমপিওভুক্ত,  আংশিক এমপিওভুক্ত এবং এমপিওবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন যাতে একই স্কেলভুক্ত সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকদের চেয়ে বেশি না হয় সেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ২০১৫ সালের  নতুন বেতন স্কেল প্রবর্তিত হওয়ার কারণে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এমপিও ভুক্ত,  আংশিক এমপিও ভুক্ত এবং এমপিও বিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় (স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-কারিগরি) বেতন ও টিউশন ফি বৃদ্ধি সংক্রান্ত এই নির্দেশে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ২০১৫ সালের নতুন পে-স্কেল প্রবর্তনের কারণে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ অস্বাভাবিক হারে বেতন ও টিউশন ফি বৃদ্ধি করে যাচ্ছে, যা  কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ অবস্থায় সরকার বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা জনবল কাঠামো অনুসারে নির্ধারণ করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনও শ্রেণি শাখা বৃদ্ধি করা যাবে না। শ্রেণি শাখার অনুমোদন না থাকলে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বৈধ হবে না। অনুমোদন ছাড়া নিয়োগকৃত শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতার জন্য শিক্ষার্থীদের নিকট কোনও বেতন বা ফি আদায় করা যাবে না।

শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন ভাতাদি জনবল কাঠামোতে নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে হবে। এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের সরকারি বেতন ভাতার অংশের বাইরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাড়তি ভাতা    দিতে ইচ্ছুক হলে তার পরিমাণ এমনভাবে নির্ধারিত হবে যেন একজন শিক্ষকের মোট প্রাপ্তি কোনোভাবেই একই স্কেলভুক্ত সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকের মোট প্রাপ্তির বেশি না হয়।

নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, একজন নন-এমপিও শিক্ষকের বেতন ভাতার মোট পরিমাণ কোনোভাবেই সমস্কেলের একজন এমপিও ভুক্ত শিক্ষকের বেতনের চেয়ে বেশি হবে না।

প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় আর্থিক চাহিদা নিরূপণ করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিদ্যমান হারে ফি আদায় করা হলে তার মোট হিসাব দেখিয়ে ঘাটতি/উদ্ধৃত্ত (যদি থাকে) নির্ধারণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি নির্ধারণ করতে হবে। তবে কোনও অবস্থায়ই ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন সর্বোচ্চ ৩০% এর বেশি বাড়ানো যাবে না। তাছাড়া সংস্থাপন ব্যয় বাবদ ভর্তি নীতিমালায় বর্ণিত সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফি এর অতিরিক্ত কোনও অর্থ আদায় করা যাবে না।

বলা হয়েছে, শুধু ঘাটতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো ঘাটতি মেটানোর জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ ভর্তি ফি ও টিউশন ফি বৃদ্ধির মাধ্যমে আহরণের প্রস্তাব প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সুপারিশসহ অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক তা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট দাখিল করবেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রস্তাবটি পরীক্ষা করে তা যথাযথ মনে করলে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা)-এর কাছে উপস্থাপন করবেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) অনুমোদন করলে বিদ্যালয় ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

আরও পড়ুন- 

জঙ্গি হামলার শিকার হলে যা করণীয়
আজও ত্রাণের জন্য ছোটেন সেই বাসন্তি

ডার্কনেটে চলছে ‘রাহমানী-আওলাকি’র দাওয়াত!

/আরএআর/এফএস/

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া
আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া
কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগের ১৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগের ১৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
লা লিগায় দ্রুততম হ্যাটট্রিকে সরলথের ইতিহাস
লা লিগায় দ্রুততম হ্যাটট্রিকে সরলথের ইতিহাস
যুদ্ধবিরতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান শাহবাজ
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতযুদ্ধবিরতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান শাহবাজ
সর্বাধিক পঠিত
জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
লঞ্চঘাটে তরুণীদের প্রকাশ্যে মারধর, যুবক বললেন ‘ভাই হিসেবে মেরেছি’
লঞ্চঘাটে তরুণীদের প্রকাশ্যে মারধর, যুবক বললেন ‘ভাই হিসেবে মেরেছি’
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ