X
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪
২৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আইনের আওতায় এসেছেন: দুদক চেয়ারম্যান

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০২ নভেম্বর ২০১৬, ১২:২৯আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০১৬, ১৩:৩০

সংবাদ সম্মেলনে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবশ্যই আইনের আওতায় এসেছেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

বুধবার সেগুনবাগিচায় দুদকের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। ‘রাষ্ট্রপতির কাছে ২০১৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ’ উপলক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

প্রভাবশালীদের আইনের আওতায় আনতে কোনও বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন কিনা? জানতে চাইলে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘কেউ কোনও প্রভাব খাটাতে আমার এখানে আসেন না।’

এ সময় তিনি নিজের মোবাইল ফোন দেখিয়ে বলেন, ‘এই ফোনে আগের মতো কলও আসে না।’

প্রতিবেদনে দেশে দুর্নীতি কমানো জন্য দুদকের পক্ষ থেকে ৩২ দফা সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হলো- দেশের মোট অপরাধ মামলার ৮০ শতাংশ যেহেতু ভূমি সংক্রান্ত, তাই ভূমি সংক্রান্ত সব প্রতিষ্ঠান এক ছাদের নিচে আনা, গ্যাসসহ অন্যান্য বিল তিন মাসে একবার নেওয়া, সরকারের সব ধরনের ক্রয় বিক্রয় ই-টেন্ডারের মাধ্যমে করা, রাস্তা নির্মাণের জন্য ঠিকাদারদের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করা। যাতে রাস্তা ভেঙে গেলে তারা মেরামত করতে বাধ্য থাকেন। ফলে ঠিকাদারদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।

দুদকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছ, ২০১৫ সালের দুদকে মোট অভিযোগ এসেছে ১০ হাজার ৪১৫টি। যার মধ্যে অনুসন্ধানের জন্য গৃহীত হয়েছে এক হাজার ২৪০টি, প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়েছে ১৬৫টি, মামলা হয়েছে ৫২৭টি, পুরনো মামলাসহ ২০১৫ সালে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে ৬১৪টি, নিষ্পত্তি হয়েছে ১৮৮টি মামলা, সাজা দেওয়া হয়েছে ৬৯টি মামলায়, খালাস দেওয়া হয়েছে ১১৯টি মামলায়। ফলে  সাজা দেওয়ার হার ৩৭ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে ২০১৫ সালে সাজা হওয়া মামলার পরিসংখ্যান দেশে সন্তুষ্ট হতে পারেননি দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘দুদকে অনেক অভিযোগ আসে। কিন্তু সব অভিযোগ দুদকে তফসিলভুক্ত হয় না। ফলে সব অভিযোগ অনুসন্ধানের পরে সাজার পরিমাণ হয় কম।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাজার হার বাড়াতে আমরা পুরাতন আইনজীবী পরিবর্তন করে নতুন আইনজীবী  নির্বাচন করেছি। যাতে সাজা পাওয়া মামলার হার আরও বাড়ানো যায়।’

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘২০১৫ সালে সাজার হার যেখানে ৩৭ শতাংশ ছিল, ২০১৬ অক্টোবর পর্যন্ত এ হার বেড়ে ৫১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে এতেও আমি সন্তুষ্ট নই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে দেশের দুর্নীতি প্রতিরোধ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দুর্নীতি দমন একটি অংশ মাত্র।’

নিজেদের সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সক্ষমতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আমাদের মধ্যেও দুর্নীতি রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সেগুলো কমানোর। সারাদেশে দুর্নীতি কমেছে। দুর্নীতি কমলে দেশের দারিদ্র্যের হার কমে। আর দুর্নীতি প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে দুদক।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- দুদক কমিশনার এএসএম আমিনুল ইসলাম (তদন্ত) ও ড. নাসের উদ্দিন (অনুসন্ধান)।

/আরজে/এসএনএইচ/ এপিএইচ/

আরও পড়ুন:  তিন বছরের কারাদণ্ড এমপি বদির

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সিল্কি চুলের জন্য ডিম ব্যবহারের ৭ উপায়
সিল্কি চুলের জন্য ডিম ব্যবহারের ৭ উপায়
স্থানীয় সরকার না ‘এমপি সরকার’?
স্থানীয় সরকার না ‘এমপি সরকার’?
চার প্রেক্ষাগৃহে ‌‘পটু’
এ সপ্তাহের ছবিচার প্রেক্ষাগৃহে ‌‘পটু’
আলোর স্বল্পতা রোধে মোমবাতি সঙ্গে আনার পরামর্শ পরীক্ষার্থীদের
আলোর স্বল্পতা রোধে মোমবাতি সঙ্গে আনার পরামর্শ পরীক্ষার্থীদের
সর্বাধিক পঠিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের বানান ভুল লিখলো সওজ, চলছে সমালোচনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের বানান ভুল লিখলো সওজ, চলছে সমালোচনা
দেশের ব্যাংকগুলো ধ্বংস হচ্ছে, তার উদাহরণ এনআরবিসি: জিএম কাদের
দেশের ব্যাংকগুলো ধ্বংস হচ্ছে, তার উদাহরণ এনআরবিসি: জিএম কাদের
৫ জনকে হারিয়ে বিপুল ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান সেই সুইটি
৫ জনকে হারিয়ে বিপুল ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান সেই সুইটি
অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে পারমাণবিকনীতি পরিবর্তন করবে ইরান
অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে পারমাণবিকনীতি পরিবর্তন করবে ইরান
রাশিয়াকে ঠেকাতে আরও অস্ত্র চাইলেন জেলেনস্কি
রাশিয়াকে ঠেকাতে আরও অস্ত্র চাইলেন জেলেনস্কি