X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

২০১৬ সালে যাত্রীবাহী নৌযান ডোবেনি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২২ মে ২০১৭, ০২:৩৫আপডেট : ২২ মে ২০১৭, ০২:৩৯

নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান (ফাইল ফটো) সব ধরনের প্রতিকূলতা থাকলেও আগের চেয়ে নৌপথ এখন সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। আগের তুলনায় নৌ দুর্ঘটনা কমে এসেছে। নৌযান মালিক, শ্রমিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা, বিআইডব্লিউটিএ, নৌপরিবহন অধিদফতর, নৌ পুলিশ, কোষ্টগার্ড কর্মকর্তাদের কার্যকরী পদক্ষেপসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে ২০১৬ সালে কোনও যাত্রীবাহী নৌযান ডোবেনি।
নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান রবিবার রাজধানীর শিশু একাডেমী মিলনায়তনে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০১৭ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নূর-ই-আলম চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান ড. প্রকৌশলী জ্ঞান রঞ্জন শীল, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থা’র সভাপতি মাহবুবউদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপু, বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক, শ্রমিক নেতা শাহ আলম ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।

২১ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত দেশব্যাপী নবম বারের মতো ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ’ পালন করা হচ্ছে। এ বছর নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহের মূল প্রতিপদ্য হচ্ছে ‘দেশ যাবে এগিয়ে যাত্রা হোক নিরাপদ, নৌ আইন মানব এটাই হোক মোর অঙ্গীকার’।

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘নৌ দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে জনসচেতনতা গড়ে তোলা হয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে কেউ যাতে লঞ্চে ভ্রমণ না করতে পারেন, সে বিষয়ে সবাইকে আরও সচেতন করা হচ্ছে। আগে লঞ্চ তৈরি করে নৌপরিবহন অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে হতো। এতে করে নৌযানে অনেক ত্রুটি থেকে যেতো। কিন্তু এখন তা আর সম্ভব নয়, এখন নৌযান তৈরির জন্য প্রথমেই নৌ অধিদফতর থেকে নকশা অনুমোদন নিতে হয়।’

শাজাহান খান আরও বলেন, ‘নৌপরিবহন অধিদপ্তরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৯০ ভাগ কাজ শেষ করতে পেরেছি। বাকি কাজ শিগগিরই শেষ হবে।’

মন্ত্রী জানান, নৌপরিবহন অধিদফতরের সার্ভেয়ার আছে মাত্র ৪ জন, আর নৌযান রয়েছে ১০ হাজারের বেশি। নৌপরিবহন অধিদপ্তরের জন্য নতুন ২১ জন সার্ভেয়ার, ৫৪ জন ইন্সপেক্টর, ১০ জন পরীক্ষক, ৬ জন নেভাল আর্কিটেক্ট, সার্ভে অফিস ৯টি, ইন্সপেক্টর অফিস ১০টি, মেরিন কোর্ট একটি এবং দু’টি ম্যাজিস্ট্রেটের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এগুলোর বাস্তবায়ন হলে নৌ সেক্টরে সুশৃংখলা ফিরে আসবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে নৌ পরিবহন অধিদফতরে ৪জন সার্ভেয়ার, ৭ জন ইন্সপেক্টর, ২ জন পরীক্ষক, ৪টি সার্ভে অফিস, ৭টি ইন্সপেক্টর অফিস, একটি মেরিন কোর্ট এবং দু’জন ম্যজিস্ট্রেট বিদ্যমান রয়েছেন।

/এসআই/এসএমএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে টর্নেডোর আঘাতে নিহত ৫
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে টর্নেডোর আঘাতে নিহত ৫
মাহিন্দ্র উল্টে চালকসহ ২ জন নিহত
মাহিন্দ্র উল্টে চালকসহ ২ জন নিহত
শিক্ষাবিদ প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
শিক্ষাবিদ প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা নিউজিল্যান্ডের
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা নিউজিল্যান্ডের
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ