X
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আবেগপ্রবণ হয়ে ঐশীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল: হাইকোর্ট

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৫ জুন ২০১৭, ১৫:৪৩আপডেট : ০৫ জুন ২০১৭, ১৫:৫৪

আবেগপ্রবণ হয়ে ঐশীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল: হাইকোর্ট

সামাজিক অবক্ষয় বিবেচনায় নিয়ে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে ঐশীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ঐশীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন। একইসঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘সামাজিক অবক্ষয় বিবেচনায় নিয়ে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে রায় দেওয়া হয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছে, একটা মেয়ে তার বাবা-মাকে নিজের হাতে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার সাহস দেখিয়েছে। কিন্তু সাজা নির্ধারণ ও বিচারের ক্ষেত্রে এ ধরনের আবেগ প্রদর্শনের সুযোগ নেই। আদালত আইনগত তথ্য ও প্রমাণগুলো বিবেচনায় নেবে।’

আদালত উল্লেখ করেন, মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নয়, এটা কার্যকর করলেই যে সমাজ থেকে অপরাধ দূর হয়ে যাবে তাও নয়। কম সাজাও অনেক সময় সমাজ থেকে অপরাধ কমাতে সুস্পষ্টভাবে গুরুত্বপূর্ণভাবে ভূমিকা রাখতে পারে।

মৃত্যুদণ্ড কমানোর কোনও গাইডলাইন নেই উল্লেখ করে আদালত বলেন, ‘এমনকি তা (মৃত্যুদণ্ড) বিলুপ্ত করার পরিবেশ আসেনি। শিক্ষার হার বেড়েছে, জনসংখ্যাও বেড়েছে। ফলে অপরাধের প্রবণতাও বাড়ছে। এ অবস্থায় মৃত্যুদণ্ড রহিত করা যুক্তিসঙ্গত নয়। মৃত্যুদণ্ড রহিত করতে সমাজের প্রতিটি স্তরে সুশাসন ও মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। শুধু রাষ্ট্রের মধ্যে নয়, সমাজের প্রতিটি স্তরে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।’   

আদালত বলেন, সন্তানদের জন্য বাবা-মা ও অভিভাবকই হলেন প্রাথমিক শিক্ষক। এটা হিসেবে তাদের জন্য ভালো পরিবেশ ও সময় দেওয়া প্রয়োজন। তার বাবা পুলিশে ও মা ডেসটিনিতে চাকরিরত ছিলেন। জীবন জীবিকা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ঐশীকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেননি। তারা যখন উপলব্ধি করছিলেন ঠিক সেসময় তাদের মেয়ের জীবন উচ্ছন্নে চলে গেছে। 

হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জোড়া খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য ছাড়া এবং মানসিক বিচ্যুতির কারণেই। এ আসামি অ্যাজমাসহ নানা রোগে আক্রান্ত। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী তার দাদি ও মামা অনেক আগ থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। তার পরিবারে মানসিক বিপর্যস্তের ইতিহাস রয়েছে। ঘটনার সময় তার বয়স ছিল ১৯ বছর। তার বিরুদ্ধে অতীতে ফৌজদারি অপরাধের নজির নেই। সে ঘটনার দু’দিন পরই সে স্বেচ্ছায় থানায় আত্মসমর্পণ করে। উদ্ভূত পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তার সাজা কমানো হয়।

/এমটি/ইউআই/এসটি/

আরও পড়ুন:

যে ৫ কারণে সাজা কমলো ঐশীর

মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে ঐশীর যাবজ্জীবন

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে
ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা শিক্ষার্থীদের, পুলিশের বাধা
ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা শিক্ষার্থীদের, পুলিশের বাধা
মিরপুরে শাক্যমুণি বৌদ্ধবিহার নিয়ে বিরোধ
মিরপুরে শাক্যমুণি বৌদ্ধবিহার নিয়ে বিরোধ
যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর লিবিয়ায় সংঘর্ষ কমছে
যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর লিবিয়ায় সংঘর্ষ কমছে
সর্বাধিক পঠিত
সাবেক সেনা সদস্যদের আবেদন পুনর্বিবেচনা করছে সেনাবাহিনী, ধৈর্য ধরার পরামর্শ
সাবেক সেনা সদস্যদের আবেদন পুনর্বিবেচনা করছে সেনাবাহিনী, ধৈর্য ধরার পরামর্শ
‘পুলসিরাত’ ইসলামিক নাম, তাই পরিবর্তনের নির্দেশ
‘পুলসিরাত’ ইসলামিক নাম, তাই পরিবর্তনের নির্দেশ
আরও ১৬ ভারতীয়কে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিয়েছে বিএসএফ
আরও ১৬ ভারতীয়কে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিয়েছে বিএসএফ
পূজা উদযাপন পরিষদের দুই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
পূজা উদযাপন পরিষদের দুই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
অভিযান চালিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাঙায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক
অভিযান চালিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাঙায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক