X
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪
২৬ বৈশাখ ১৪৩১

আবেগপ্রবণ হয়ে ঐশীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল: হাইকোর্ট

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৫ জুন ২০১৭, ১৫:৪৩আপডেট : ০৫ জুন ২০১৭, ১৫:৫৪

আবেগপ্রবণ হয়ে ঐশীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল: হাইকোর্ট

সামাজিক অবক্ষয় বিবেচনায় নিয়ে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে ঐশীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ঐশীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন। একইসঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘সামাজিক অবক্ষয় বিবেচনায় নিয়ে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে রায় দেওয়া হয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছে, একটা মেয়ে তার বাবা-মাকে নিজের হাতে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার সাহস দেখিয়েছে। কিন্তু সাজা নির্ধারণ ও বিচারের ক্ষেত্রে এ ধরনের আবেগ প্রদর্শনের সুযোগ নেই। আদালত আইনগত তথ্য ও প্রমাণগুলো বিবেচনায় নেবে।’

আদালত উল্লেখ করেন, মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নয়, এটা কার্যকর করলেই যে সমাজ থেকে অপরাধ দূর হয়ে যাবে তাও নয়। কম সাজাও অনেক সময় সমাজ থেকে অপরাধ কমাতে সুস্পষ্টভাবে গুরুত্বপূর্ণভাবে ভূমিকা রাখতে পারে।

মৃত্যুদণ্ড কমানোর কোনও গাইডলাইন নেই উল্লেখ করে আদালত বলেন, ‘এমনকি তা (মৃত্যুদণ্ড) বিলুপ্ত করার পরিবেশ আসেনি। শিক্ষার হার বেড়েছে, জনসংখ্যাও বেড়েছে। ফলে অপরাধের প্রবণতাও বাড়ছে। এ অবস্থায় মৃত্যুদণ্ড রহিত করা যুক্তিসঙ্গত নয়। মৃত্যুদণ্ড রহিত করতে সমাজের প্রতিটি স্তরে সুশাসন ও মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। শুধু রাষ্ট্রের মধ্যে নয়, সমাজের প্রতিটি স্তরে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।’   

আদালত বলেন, সন্তানদের জন্য বাবা-মা ও অভিভাবকই হলেন প্রাথমিক শিক্ষক। এটা হিসেবে তাদের জন্য ভালো পরিবেশ ও সময় দেওয়া প্রয়োজন। তার বাবা পুলিশে ও মা ডেসটিনিতে চাকরিরত ছিলেন। জীবন জীবিকা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ঐশীকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেননি। তারা যখন উপলব্ধি করছিলেন ঠিক সেসময় তাদের মেয়ের জীবন উচ্ছন্নে চলে গেছে। 

হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জোড়া খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য ছাড়া এবং মানসিক বিচ্যুতির কারণেই। এ আসামি অ্যাজমাসহ নানা রোগে আক্রান্ত। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী তার দাদি ও মামা অনেক আগ থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। তার পরিবারে মানসিক বিপর্যস্তের ইতিহাস রয়েছে। ঘটনার সময় তার বয়স ছিল ১৯ বছর। তার বিরুদ্ধে অতীতে ফৌজদারি অপরাধের নজির নেই। সে ঘটনার দু’দিন পরই সে স্বেচ্ছায় থানায় আত্মসমর্পণ করে। উদ্ভূত পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তার সাজা কমানো হয়।

/এমটি/ইউআই/এসটি/

আরও পড়ুন:

যে ৫ কারণে সাজা কমলো ঐশীর

মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে ঐশীর যাবজ্জীবন

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
বিসিবির হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের কোচ হতে আগ্রহী মালান  
বিসিবির হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের কোচ হতে আগ্রহী মালান  
চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় আহত এক পাইলটের মৃত্যু
চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় আহত এক পাইলটের মৃত্যু
চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলে দাম কমবে: খাদ্যমন্ত্রী
চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলে দাম কমবে: খাদ্যমন্ত্রী
সর্বাধিক পঠিত
এবার কি ফুটপাত দখলমুক্ত হবে?
এবার কি ফুটপাত দখলমুক্ত হবে?
ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ইস্যুতে ন্যাটোকে রাশিয়ার সতর্কতা
ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ইস্যুতে ন্যাটোকে রাশিয়ার সতর্কতা
‘চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর’, বললেন ব্যারিস্টার সুমন
‘চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর’, বললেন ব্যারিস্টার সুমন
‘প্রেমটা থাকুক, বিয়ে কোনও এক সময় হয়ে যাবে’
‘প্রেমটা থাকুক, বিয়ে কোনও এক সময় হয়ে যাবে’
এক লাফে ডলারের দাম বাড়লো ৭ টাকা
এক লাফে ডলারের দাম বাড়লো ৭ টাকা