X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ নজিরবিহীন সংকটের মুখোমুখি: প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৫ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:৪০আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:৪২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

অসহায় রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা ও তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশ এক নজিরবিহীন সংকটের মুখোমুখি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতায় বিভিন্ন প্রতিকূলতার মাঝেও আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে এ সমস্যা সমাধানে সফল হবো।’

রোহিঙ্গা সমস্যার মূল উৎপত্তি মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও সে দেশকে করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

ওই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সামরিক অভিযান ও সহিংসতার প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা সমস্যা জটিল আকার ধারণ করেছে। অতীতের যেকোনও সময়ের চেয়ে এখানকার পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। দুই মাস সময়ের মধ্যে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা সহিংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে ১০ লাখের বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বসবাস করছে।’

বাংলাদেশে চলে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া থেকে শুরু করে তাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে বলে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের সময়োপযোগী পদক্ষেপ ও কর্মতৎপরতায় মিয়ানমারের জাতিগত নিধন বন্ধের দাবিটি আজ  সর্বজনীন দাবিতে পরিণত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মহলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যে জনমত সৃষ্টি হয়েছে, তা আওয়ামী লীগ সরকারের জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টারই ফসল।’

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়াটা বাংলাদেশের সময়োযোগী সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের নাম আজ  বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কণ্ঠে গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতায় বিভিন্ন প্রতিকূলতার মাঝেও তাদের শান্তিপূর্ণ উপায়ে এ সমস্যার সমাধানে সফল হবো।’

ব্যক্তি জীবনে নিজেও শরণার্থী হিসেবে বসবাসের কষ্টকর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, ‘জাতির পিতাসহ পরিবারের সব সদস্যকে হত্যার পর প্রায় ৬ বছর আমি ও আমার ছোট বোন শরণার্থী জীবন-যাপন করেছি। সে কারণে রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশা আমি গভীরভাবে অনুধাবন করি। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় সেই অনুভূতি আমাদের মাঝে কাজ করেছে।’

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে গত ২১ অক্টোবর জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে এ সময় আমি আমার পাঁচ দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে তার সহযোগিতা কামনা করি। এ সমস্যার উৎপত্তি মিয়ানমারে হওয়ায় মিয়ানমারকেই এ সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এ লক্ষ্যে

অতিসত্ত্বর সব  বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিককে নিরাপদে ও সসম্মানে স্বদেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে বলে আমি তাকে দৃঢ়ভাবে জানাই।’

 

/ইএইচএস/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
উপজেলায় ভোটের প্রস্তুতি, কেন্দ্রে কেন্দ্রে গেলো সরঞ্জাম
উপজেলায় ভোটের প্রস্তুতি, কেন্দ্রে কেন্দ্রে গেলো সরঞ্জাম
‘প্রমাণ-অপ্রমাণের যাত্রা সুদীর্ঘ, সেখানে জড়িয়ে আছে হাহাকার’
বিচারপ্রার্থীদের প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি‘প্রমাণ-অপ্রমাণের যাত্রা সুদীর্ঘ, সেখানে জড়িয়ে আছে হাহাকার’
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
নিলামে উঠছে ম্যারাডোনার গোল্ডেন বল
নিলামে উঠছে ম্যারাডোনার গোল্ডেন বল
সর্বাধিক পঠিত
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
বৃষ্টি ও বন্যার কী পূর্বাভাস পাওয়া গেলো?
বৃষ্টি ও বন্যার কী পূর্বাভাস পাওয়া গেলো?
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট