X
বুধবার, ০১ মে ২০২৪
১৮ বৈশাখ ১৪৩১

২০৪১ সালে উন্নত দেশ হবে বাংলাদেশ: পরিকল্পনামন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২১ মার্চ ২০১৮, ১৮:২০আপডেট : ২১ মার্চ ২০১৮, ১৯:৩৬

 

মিট দ্য প্রেসে  বক্তব্য রাখছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল গরিব দেশ হওয়ার অভিশাপ থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ.হ.ম. মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘আর দারিদ্র্য দেখতে চাই না। স্বাধীনতার তিন বছরের মধ্যে ১৯৭৫ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় উঠেছিল বাংলাদেশ। সেখানে ৪৩ বছর পর আমরা  উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেলাম। হয়তো আমাদের এখানে আসতে অন্য দেশের তুলনায় সময় বেশি লেগেছে। কিন্তু এখন আমরা খুব দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন করবো। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হবে বাংলাদেশ।’ বুধবার (২১ মার্চ) দুপুরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এনইসি সম্মেলন কক্ষে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ বিষয়ে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জিয়াউল ইসলাম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, আইএমইডি সচিব মফিজুল ইসলামসহ পরিকল্পনা কমিশনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘শুধু উন্নয়নশীলই নয়, ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হবে বাংলাদেশ। এর দুটি প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের জনসংখ্যার বোনাস কাল চলছে। যা পৃথিবীর কোনও দেশেই নেই। কর্মক্ষম এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো। এছাড়া এশিয়া প্যাসিফিক করিডোর আমাদের জন্য আরও একটি সুযোগ। কেননা, এশিয়ায় আগামীতে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশ হবে চীন, তৃতীয় উন্নত দেশ ভারত ও চতুর্থ উন্নত দেশ জাপান। তারা কেউই আমাদের ছাড়া একা উন্নতি করতে পারবে না।’ তিনি জানান, ‘এই বছরেই বিশ্ব অর্থনীতির ৪০তম দেশ হবে বাংলাদেশ। বর্তমানে আছে ৪৩তম অবস্থানে। স্বল্পোন্নত থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় আমাদের বড় কোনও আর্থিক ক্ষতি হবে না। রফতানিও কমবে না। বরং বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে। চূড়ান্ত স্বীকৃতি পাওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ আগের শর্তেই ঋণ পাবে। এছাড়া, বড় অঙ্কের ঋণের জন্য দরকষাকষি করা যাবে।’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালে আমরা উন্নত দেশ হবো। সেখানে আমরা বিশ্বের উন্নত ২০টি অর্থনৈতিক দেশের মধ্যে অবস্থান করবো। এক্ষেত্রে আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নসহ বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। সেগুলোর জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা অবকাঠামো উন্নয়নে হাত দিয়েছি। গভীর সমুদ্রবন্দর করছি। গ্যাস, বিদ্যুতের উন্নয়ন করছি। ২০৩০ সালে ৩৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো। আমাদের প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে কাজ করা দরকার। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কম। তবে আমরা তাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি, তাদের বিনিয়োগ এখন বাড়তে থাকবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রফতানি শুধু পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীল থাকবে না। আইসিটি, ওষুধ, চামড়া এগুলো হবে আমাদের ভবিষ্যৎ রফতানির অন্যতম বড় খাত। এর মধ্যে আইসিটি হবে শীর্ষ খাত।’

/এসআই/এমএনএইচ/চেক-এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
হাতি তাড়াতে গিয়ে আক্রমণে কিশোরের মৃত্যু, থানায় মামলা
হাতি তাড়াতে গিয়ে আক্রমণে কিশোরের মৃত্যু, থানায় মামলা
সেনাবাহিনী ভলিবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ৩৩ পদাতিক ডিভিশন
সেনাবাহিনী ভলিবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ৩৩ পদাতিক ডিভিশন
লিগ পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন তৈয়ব
জুনিয়র এএইচএফ কাপ হকিলিগ পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন তৈয়ব
লালবাগে নারীর মরদেহ উদ্ধার
লালবাগে নারীর মরদেহ উদ্ধার
সর্বাধিক পঠিত
চকরিয়ার সেই সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী বরখাস্ত
চকরিয়ার সেই সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী বরখাস্ত
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ভেঙেছে ঘরবাড়ি, ধানের ক্ষতি
কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ভেঙেছে ঘরবাড়ি, ধানের ক্ষতি
রুনা লায়লার নতুন গান, সঙ্গে দুই তরুণ
রুনা লায়লার নতুন গান, সঙ্গে দুই তরুণ