X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম আর নেই

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১০ মে ২০১৮, ০০:৪৮আপডেট : ১০ মে ২০১৮, ০১:৪৪

অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম (ছবি-ইন্টারনেট ধেকে সংগৃহীত)

সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম আর নেই। বুধবার (৯ মে) রাত ৯টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে রাজধানীর বসুন্ধরার নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। তার ব্যক্তিগত নার্স মো. সাজেদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, অ্যাপোলো হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহ রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে জানাজা ও দাফনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলামের ব্যক্তিগত নার্স মো. সাজেদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এপ্রিলের শুরু থেকেই শয্যাশায়ী ছিলেন অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম স্যার। অ্যাপোলো হাসপাতালের দু’জন নার্স সবসময় তার বাসায় থেকে তাকে দেখাশোনা করতেন। ডায়াবেটিক, প্রেশারসহ কিছু জটিলতা ছিল; তার পায়ে ব্যথাও ছিল অনেকদিন থেকে। এ কারণে প্রায় চার বছর থেকে আমি তার সঙ্গে থেকে তাকে হাঁটা-চলাফেরা থেকে শুরু করে কিছু ব্যায়াম করানোর মাধ্যমে সুস্থ রাখার চেষ্টা করতাম। কিন্তু গত একমাসের মতো সময় থেকে তিনি আর হাঁটতে পারতেন না, বিছানায় পড়ে যান।’ 

তিনি আরও জানান,  বুধবার সকালে অ্যাপোলো হাসপাতালে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া ছিল। তাকে (অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলামকে) অ্যাম্বুলেন্সে করে বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে কিছু টেস্ট করানোর পর বিকাল ৪টার দিকে তাকে আবারও বাসায় ফেরত হওয়া হয়। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতালের কাছেই ডি-ব্লকের ১০ নম্বর রোডের ৩৩১ নম্বর বাসাতে তিনি থাকতেন। বাসায় ফেরত নেওয়ার পর আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি, সন্ধ্যার পর স্যারের বড় ছেলে মোস্তফা কায়েস ফোন করে আমার কাছে ডাক্তার ও হাসপাতালের ডিটেইল নেন। রাত ৯টার দিকে ডাক্তার এসে তার হৃদস্পন্দন খুঁজে পাননি। দ্রুত অ্যাপোলো হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলামের শেষকৃত্যের ব্যাপারে তার ব্যক্তিগত নার্স আরও জানান, স্যারের চার সন্তানের মধ্যে দুই মেয়ে ও এক ছেলে এখন দেশের বাইরে আছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। স্যারের মরদেহ অ্যাপোলো হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মুস্তাফা নূরউল ইসলাম ১৯২৭ সালের ১ মে বগুড়ার মহাস্থানগড় সংলগ্ন চিঙ্গাশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫১ সালে সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু। তারপর ১৯৫৩-৫৪ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় যুক্ত হন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

সাহিত্য ও শিল্পকলায় অবদানের জন্য তিনি ২০১০ সালে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’  অর্জন করেন। ২০১১ সালে তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ‘সুন্দরম’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।   



 

 

/এএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘তীব্র গরমে’ মারা যাচ্ছে মুরগি, অর্ধেকে নেমেছে ডিম উৎপাদন
‘তীব্র গরমে’ মারা যাচ্ছে মুরগি, অর্ধেকে নেমেছে ডিম উৎপাদন
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক
তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া ৮ যুবকের লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা
তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া ৮ যুবকের লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা
‘বাংলাদেশ ও ভারত একই লক্ষ্যে এগোচ্ছে’
‘বাংলাদেশ ও ভারত একই লক্ষ্যে এগোচ্ছে’
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি