পহেলা বৈশাখ ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনও ধরনের উসকানি, গুজব ও প্রোপাগান্ডায় কান না দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গুজবের বিষয়ে পুলিশের নজরদারি রয়েছে।’ শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রমনা বটমূলে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে আপনারা নিরাপত্তা মহড়া দেখলেন। আমরা পুলিশ বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি। তারা এখন যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে। নিরাপত্তার খাতিরে যা যা প্রয়োজন আমরা তাই করেছি।’
তিনি বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের দিন সকালে এখান থেকে শুরু হবে ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। এরপর মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা শহরের সবাই এই শোভাযাত্রা ও বটমূলের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে ঢাকাসহ সারাদেশে গোয়েন্দা নজরদারিসহ সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা এখন যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীর প্রতিটি বড় উৎসব উদযাপনস্থল সিসিটিভির (ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা) আওতায় রয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা ঘিরে আরও কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের তৎপরতায় কোনও ধরনের নাশকতার শঙ্কা নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটি জাতীয় উৎসব। কেউ যদি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় জনগণই তার প্রতিরোধ করবে।’
এবারের বৈশাখের অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ কি না সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এবারের নিরাপত্তা অন্যবারের মতোই, নতুন কোনও চ্যালেঞ্জ নেই। অপরাধীরা নানাভাবে মেধা প্রয়োগ করে, আমরা সেভাবেই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে তৈরি করেছি, সক্ষমতা বাড়িয়েছি ‘
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম, পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
