X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষির যান্ত্রিকীকরণে ব্যয় করা হবে ৩ হাজার কোটি টাকা: কৃষিমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২১ মে ২০১৯, ১৯:৫৮আপডেট : ২১ মে ২০১৯, ২০:৫০

‘সার সুপারিশমালা হাতবই-২০১৮’-এর মোড়ক উন্মোচন এবং দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক

‘ধান কাটা, রোপণ ও অন্যান্য কাজে কৃষি শ্রমিক পাওয়া এখন একটা বড় সমস্যা। এর একমাত্র সমাধান কৃষির যান্ত্রিকীকরণ। এজন্য ইতোমধ্যেই আমরা এ কাজ শুরু করেছি এবং শিগগিরই শতভাগ যান্ত্রিকীকরণ সম্পন্ন করবো। প্রতিবছর কৃষিতে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ দেওয়া নয় হাজার কোটি টাকার মধ্য থেকে তিন হাজার কোটি টাকা যান্ত্রিকীকরণে ব্যয় করা হবে।’

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক ‘সার সুপারিশমালা হাতবই-২০১৮’-এর মোড়ক উন্মোচন এবং দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন। মঙ্গলবার (২১ মে) রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গিয়াসউদ্দিনের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেছেন, ‘মিলারদের আমরা জরুরি ভিত্তিতে ধান কেনার জন্য বলেছি। সরকার ১২ লাখ টন ধান এবং দুই লাখ টন চাল দ্রুত কিনবে। আমাদের তিন কোটি ৫০ লাখ টন চাল উৎপাদনের বিপরীতে ১০-১২ লাখ টন কিনলে বাজারে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। তবে সীমিত পর্যায়ে রফতানিরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ভারত, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের প্রবেশ করতে হবে।’

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সরকারের সাফল্য প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু মিডিয়া বলে থাকে, সরকার কৃষকের সঙ্গে নেই। কৃষকের পাশে সরকার না থাকলে কীভাবে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তারা এ কথা বলছেন। ১৯৪৭ সাল থেকে সব সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কথা বলেছে, কিন্তু কেউ তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে; নতুন নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন ও আধুনিক কৃষির মাধ্যমে। যে নেত্রী খাদ্য ঘাটতির দেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত করতে পারেন, সে নেত্রী কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতেও পারবেন। কৃষকদের কল্যাণে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

কৃষিক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সারের ব্যবহার অনেক কৃষক পরিমিতভাবে করেন না। তারা কখনও বেশি, আবার কখনও কম সার ব্যবহার করে থাকেন। এজন্য সচেতনতা দরকার এবং কৃষকদের প্রশিক্ষিত করা দরকার। কৃষির সব ক্ষেত্রে আমরা উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এখন সারা বছর ফসল হচ্ছে। এ ফসল উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য সার সুপারিশমালা হাতবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

বিএআরসি চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন আবদুল মান্নান এমপি ও কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। সার সুপারিশমালা হাতবই-২০১৮-এর ওপর বিস্তারিত উপস্থাপনা করেন সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক ড. শেখ মো. বখতিয়ার।

/এসআই/এমএএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
১৯ বছর পর হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১৯ বছর পর হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের: মঈন খান
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের: মঈন খান
মোমবাতি জ্বালিয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা, ‘বিদ্যুৎবিভ্রাট’ বলছে কর্তৃপক্ষ
মোমবাতি জ্বালিয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা, ‘বিদ্যুৎবিভ্রাট’ বলছে কর্তৃপক্ষ
সর্বাধিক পঠিত
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি