X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

বর্তমানের বাংলাদেশ হচ্ছে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির: প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৭ মে ২০১৯, ১৭:১৭আপডেট : ২৭ মে ২০১৯, ১৭:৩২

ময়মনসিংহ সিটি মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানের পর তাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। (ছবি: ফোকাস বাংলা)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কিছুদিন আগেও বাংলাদেশ পরিচিত ছিলো জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। আর গত এক দশকের বাংলাদেশ হচ্ছে সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতির বাংলাদেশ। বর্তমান সরকারের দক্ষ পরিচালনায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্বের মানুষের কাছে এখন বাংলাদেশ উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির কারণে পরিচিত।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজ সোমবার (২৭ মে) সকালে তার কার্যালয়ে এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়।

প্রধানমন্ত্রী  বলেন, ৭৫ এর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশ ঘাতকের দেশে পরিণত হয়েছিল সেই বাংলাদেশে আবার যখন জাতির পিতার হাতে গড়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের দেশ, মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের উন্নয়নের গতিধারা আমরা অব্যাহত রেখেছি।

নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, একবার ভোটে জিতে মনে করবেন না এবারই শেষ। জনগণের হৃদয় জয় করতে হবে। যেন জনগণ ভবিষ্যতেও আপনাদের প্রতি আস্থা-বিশ্বাস রাখে। সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন। আপনাদের ওপর বিরাট দায়িত্ব। এটা মনে রাখতে হবে যে জনপ্রতিনিধি হওয়া মানে শুধু যারা আপনাকে ভোট দিয়েছেন শুধু তারা নন। আপনি যখন জনপ্রতিনিধি তখন আপনি এলাকার সব মানুষেরই প্রতিনিধি। যে বিপুল পরিমাণ  অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, সেটা জনগণেরই অর্থ। সেটা যেন জনগণের কাছে পৌঁছায়। শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং দেশটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ, মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। আমি আওয়ামী লীগের সভাপতি। কিন্তু আমি যখন প্রধানমন্ত্রী তখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। দলমত নির্বিশেষে সকলের কল্যাণ করাই আমার দায়িত্ব। আপনারাও নিজেকে সেইভাবে মনে করবেন।

সরকার প্রধান বলেন, দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে সারাদেশের রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং কর্মসংস্থান ও পরিকল্পিতভাবে শিল্প উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। যাতে যত্রতত্র যেখানে সেখানে যেন শিল্প গড়ে না ওঠে। ফসলের জমি যেন নষ্ট না হয়। কারণ, আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের ফসলের জমি রক্ষা করতে হবে। আবার শিল্পায়নও করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার পাঁচ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। এই টাকা আমাদের দেশের মানুষের টাকা, মানুষের অর্থ। আমরা প্রায় দুই লাখ টাকার উন্নয়ন বাজেট করছি। উন্নয়ন বাজেটের ৯০ ভাগ আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করি। কারও কাছে হাত পেতে, ভিক্ষা করে বাংলাদেশ চলবে না। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। কাজেই আপনাদের নিজ নিজ এলাকায় সে উন্নয়নের কাজটা যেন যথাযথভাবে হয় এবং সে কাজের মধ্য দিয়ে মানুষ যেন খুশি হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না, কোনও মানুষ ভূমিহীন থাকবে না। প্রতিটি মানুষ চিকিৎসা সেবা পাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমরা যে সব কর্মসূচি নিয়েছি সেগুলো যেন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয় আপনারা সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন। কারণ, আপনারা জনগণের প্রতিনিধি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে। ২০২১ এর মধ্যে বাংলাদেশ আরও উন্নত হবে। ইনশাআল্লাহ দারিদ্র্যের হার আরও কমিয়ে এনে বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠবে।

 

 

/এমএইচবি/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কেমন চলছে ১৪ দলীয় জোট?
কেমন চলছে ১৪ দলীয় জোট?
গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
‘সরকারকে যারা চাপ দেবে তারা নিজেরাই যথেষ্ট চাপে রয়েছে’
‘সরকারকে যারা চাপ দেবে তারা নিজেরাই যথেষ্ট চাপে রয়েছে’
তাইওয়ান প্রণালীতে আবারও চীনা সামরিক বিমান শনাক্ত
তাইওয়ান প্রণালীতে আবারও চীনা সামরিক বিমান শনাক্ত
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম