X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ওই কর্মকর্তা থাকবেন, ভেজালবিরোধী অভিযান চালাবেন: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১২ জুন ২০১৯, ১৯:৪১আপডেট : ১২ জুন ২০১৯, ২২:৩২

সংসদে প্রধানমন্ত্রী (ফাইল ছবি) রমজানে কারুশিল্প পণ্যের বিশেষায়িত এক চেইনশপে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযান এবং এ নিয়ে সৃষ্ট ঘটনায় বুধবার সংসদে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া কর্মকর্তার বদলির প্রসঙ্গ টেনে তাকে স্বপদে রাখার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তবে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেননি।

বুধবার (১২ জুন) প্রশ্নোত্তরে দুর্নীতি দমন কমিশন ও দুর্নীতি নিয়ে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গক্রমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ওই অভিযানের বিষয়টিও উল্লেখ করেন। কোনও প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোজার সময় আমি দেশের বাইরে ছিলাম। তখন বেশ কিছু বড় বড় জায়গায় একজন অফিসার হাত দিলেন বলে তার বিরুদ্ধে একটি ব্যবস্থা হঠাৎ নেওয়া হলো। আমার কাছে এটা মোটেও গ্রহণযোগ্য ছিল না; বরং আমি আজকেও বলে দিচ্ছি, তাকে আবার ওই দায়িত্বই দিতে হবে, তিনি ভেজালবিরোধী অভিযান চালাবেন।’

ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘খুব নামিদামি জায়গা, তাদের যে খারাপ কিছু হবে না বা থাকবে না, যারা ওগুলোর মালিক তারা তো সেই গ্যারান্টি দিতে পারবেন না। সেখানে কেন পরীক্ষা করতে পারবে না, কেন সচেতন করতে পারবে না, এই অধিকারটা কেন থাকবে না? সাধারণ-ছোটখাটো হলে সেটা ধরতে পারবে। আর বড় অর্থশালী হলে তাদের হাত দেওয়া যাবে না, তাদের অপরাধ অপরাধ নয়, এটা তো হয় না। আমার চোখে অপরাধী সে তো অপরাধীই।’

দুর্নীতি দমন নিয়ে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি দমন বলেন আর খাদ্য নিরাপত্তা, এমন এমন বড় বড় জায়গা আছে, যেখানে হাত দিলে মনে হয় যেন হাতটা পুড়ে যাচ্ছে। আর যারা এ কাজটি করতে যায়, তারাই অপরাধী হয়ে যায়। আর কিছু পত্রপত্রিকা তো আছেই, সঙ্গে সঙ্গে এদের বিরুদ্ধে লেখা শুরু করে। আমি মনে করি, আমাদের এ ব্যাপারে সচেতন থেকে সঠিক কাজটি করেছে কিনা সেটা থেকে তার বিচার করা। কে কী লিখলো বা কে কী বললো, সেটার প্রতি কান দেওয়ার দরকার নেই।’
এদিকে, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নানের প্রশ্ন থেকে ‘এই সংস্থার (দুর্নীতি দমন কমিশন) অনেকেই দুর্নীতি ব্যাধিতে আক্রান্ত বলে জনশ্রুতি আছে’ অংশটি বাদ দেওয়ার দাবি জানান সরকার দলীয় সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, ‘এটা থাকলে একটি ভালো সংস্থা সম্পর্কে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হবে। কারণ, বিচ্ছিন্ন ঘটনা দিয়ে কোনও সংস্থাকে বিচার করা ঠিক হবে না। দুদক ভালো কাজ করে, এটাও আমাদের স্বীকার করতে হবে।’

তবে রফিকুল ইসলামের এই দাবি নাকচ করে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যে লাইনটি নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে, সেখানে কিন্তু বলা হয়েছে জনশ্রুতি আছে। করছেই–এ ধরনের কথা কিন্তু তার প্রশ্নে নেই। কাজেই একথা বাদ দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। আর এ কথা তো একেবারেই মিথ্যা নয়; সবাই তো ধোয়া তুলসী পাতা নয়। এই গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না যে, সবাই শতভাগ সৎ হবেন। সেক্ষেত্রে সংস্থাকে এখন থেকে সচেতন হতে হবে। যারা কাজ করবে, তাদের সতর্ক হতে হবে। তারা যেন এমন কিছু না করেন, যাতে এ ধরনের জনশ্রুতি সৃষ্টি হয়।’

/ইএইচএস/এমএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বুন্দেসলিগায় গোলের রেকর্ডে চোখ কেইনের
বুন্দেসলিগায় গোলের রেকর্ডে চোখ কেইনের
শ্রমিকরাই অর্থনীতির চাকা সচল রাখে: স্পিকার
শ্রমিকরাই অর্থনীতির চাকা সচল রাখে: স্পিকার
নোয়াখালীতে গরমে অসুস্থ এক শিক্ষকসহ ১৫ শিক্ষার্থী
নোয়াখালীতে গরমে অসুস্থ এক শিক্ষকসহ ১৫ শিক্ষার্থী
গানে গানে সরকারের সমালোচনা, ইরানি গায়কের মৃত্যুদণ্ড
গানে গানে সরকারের সমালোচনা, ইরানি গায়কের মৃত্যুদণ্ড
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে