বন্যার কারণে দেশে গত ১৫ দিনে ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন তিন জন। গত ১০ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত বন্যার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ১২ হাজার ৮৬৪ জন এবং মারা গেছেন ১০৪ জন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাত পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যমতে, এ খবর জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম।
এপর্যন্ত ডায়রিয়া, বজ্রপাত, সাপের কামড়, পানিতে ডুবে মৃত্যু, চর্মরোগ, চোখের প্রদাহ, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ও অন্যান্য আঘাতজনিত কারণে এসব মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন পানিতে ডুবে, এ সংখ্যা ৮৬ জন। এরমধ্যে কয়েক মাসের শিশু থেকে শুরু করে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ পর্যন্ত রয়েছেন। এছাড়া, সাপের কামড়ে ৮ জন, বজ্রপাতে ৭ জন এবং অন্যান্য কারণে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কন্ট্রোলরুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বন্যার পানি অনেক জায়গায় কমতে শুরু করেছে। পানি কমার কারণে এখন চর্মরোগের প্রকোপ বেড়েছে, সেই সঙ্গে রয়েছে ডায়রিয়া।’
কন্ট্রোলরুমের দেওয়া তথ্যমতে, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, শেরপুর, চাঁদপুরসহ মোট ২৭টি জেলায় বন্যার প্রকোপ দেখা দেয়। এই ২৭ জেলার মোট ২২৪টি উপজেলার মধ্যে ৭৬টি উপজেলা বন্যায় আক্রান্ত হয়। ৭৬টি উপজেলায় ৩১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। দুই হাজার ৪১৫টি মেডিক্যাল টিম সেখানে কাজ করছে।