X
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
২৪ বৈশাখ ১৪৩২

বিদ্যুতের সিস্টেম লসের পরিমাণ নির্ধারণের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৭ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:০৯আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:২৩

বিদ্যুতের সিস্টেম লসের পরিমাণ নির্ধারণের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির বিদ্যুতের সিস্টেম লসের পরিমাণ নির্ধারণ করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে  এই সুপারিশ করা হয়। একইসঙ্গে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ  প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মো. আবু জাহির, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, মোছা. খালেদা খানম ও বেগম নার্গিস রহমান অংশ নেন।

বৈঠকে বিদ্যুতের সিস্টেম লসের পরিমাণ সহনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া, অবৈধ সংযোগ ও  চুরি প্রতিরোধে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করতেও মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

জানা গেছে, সিস্টেম লস নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ চুরির বিষয়টি যুক্ত না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে চুরির বিষয়টি বাদ দিয়ে প্রকৃত সিস্টেম লস দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কী পরিমাণ চুরি হয়, সেটাও আলাদা দেখাতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে জানানো হয় যে, গ্রামাঞ্চল ও অফগ্রিড এলাকায় সোলার বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে ২১টি সোলার মিনি গ্রিড, এক হাজার ৩৭৪টি সোলার ইরিগেশন পাম্প এবং ৫০ লাখ ৮০ হাজার সোলার হোম সিস্টেম বসানো হয়েছে। এছাড়া, ৬টি সোলার মিনি গ্রিড এবং ২৩২টি সোলার ইরিগেশন পাম্প বসানোর প্রক্রিয়া চলমান।

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে  আরও জানানো হয়, গ্রিড বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি, এমন এক হাজার ৬৯টি অফগ্রিড গ্রাম চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে ৬২০টি গ্রামে গ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে। ২০২০ সালের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনার জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি।

এদিকে, বৈঠকের কার্য বিবরণী থেকে জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুতের আওতাভুক্ত দেশের ৪৬১টি উপজেলার মধ্যে ৩৫৩টি শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১০৮টির বিদ্যুতায়নের কাজ চলছে।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠার (১৯৭৮ সাল) পর থেকে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৭৩ লাখ গ্রাহককে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৩০ বছরে বিদ্যুতের গ্রাহক হয়েছিল ৭৪ লাখ। ওই সময় প্রতি বছরে গড়ে ২ লাখ ৪৭ হাজার গ্রাহক বেড়েছে।

২০০৯ সাল থেকে চলতি (২০১৯) বছর পর্যন্ত  ১১ বছরে এক কোটি ৯৯ লাখ গ্রাহক হয়েছে। বছরে গড়ে ১৮ লাখ গ্রাহক বেড়েছে।  প্রথম ৩০ বছরে যেখানে ২৫ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসে। সেখানে গত ১১ বছরে এসেছে ৬৯ শতাংশ। সব মিলিয়ে বর্তমানে ৯৪ ভাগ মানুষ বিদ্যুতের সুবিধার আওতায়। প্রথম ৩০ বছরে যেখানে ২ লাখ ১৭ হাজার কিলোমিটার লাইন নির্মাণ হয়েছিল, সেখানে শেষ ১১ বছরে ২ লাখ ৫৫ হাজার কিলোমিটার বসানো হয়েছে বলেও বৈঠকে জানানো হয়েছে।

বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, গত ২০০৯-০৯ অর্থ বছরে বিদ্যুতের সিস্টেম লস ছিল ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ, তা ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে কমে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই ১১ বছরে ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ সিস্টেম লস হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে যে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ সিস্টেম লস আছে, তার মধ্যে সঞ্চালন লস ২ দশমিক ৬১ ও বিতরণ লস ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।  

 

/ইএইচএস/এমএনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনোরকম ক্রিকেট নয়: গম্ভীর
পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনোরকম ক্রিকেট নয়: গম্ভীর
দেশীয় অস্ত্রের যত্রতত্র ব্যবহার বন্ধসহ ৫ দাবি জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্টের 
দেশীয় অস্ত্রের যত্রতত্র ব্যবহার বন্ধসহ ৫ দাবি জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্টের 
মুখমণ্ডলের প্রথম সার্জারি শেষে দেশে ফিরেছেন গণঅভ্যুত্থানে আহত খোকন বর্মণ
মুখমণ্ডলের প্রথম সার্জারি শেষে দেশে ফিরেছেন গণঅভ্যুত্থানে আহত খোকন বর্মণ
তাদের বিচারে সেরা পারফর্মার
তাদের বিচারে সেরা পারফর্মার
সর্বাধিক পঠিত
বন্ধ হচ্ছে সব ধরনের আন্দোলন-সংগ্রাম কর্মসূচি
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আসছে নতুন আইনবন্ধ হচ্ছে সব ধরনের আন্দোলন-সংগ্রাম কর্মসূচি
ফিরে গেছে কুয়েত ও তার্কিশ এয়ারের ঢাকাগামী ২ ফ্লাইট
পাকিস্তানে ভারতের হামলাফিরে গেছে কুয়েত ও তার্কিশ এয়ারের ঢাকাগামী ২ ফ্লাইট
সার্বভৌমত্ব রক্ষার ডাক আসিফ-হাসনাতের
সার্বভৌমত্ব রক্ষার ডাক আসিফ-হাসনাতের
তালা উপজেলার সেই ইউএনওকে রংপুরে বদলি
তালা উপজেলার সেই ইউএনওকে রংপুরে বদলি
মূলধন ঘাটতির রেকর্ড, সংকটে ব্যাংক খাত
মূলধন ঘাটতির রেকর্ড, সংকটে ব্যাংক খাত