X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে খেলাপি ঋণ বাড়েনি: সংসদে অর্থমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৪ নভেম্বর ২০১৯, ০০:২৩আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ০০:২৮

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়েনি বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে ১৯৯১ সালের খেলাপি ঋণের হার ও বর্তমানের খেলাপি ঋণের হারের তুলনা করে মন্ত্রী এ দাবি করেন।

বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার সম্পূরক প্রশ্নের অর্থমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে আমাদের মোট ব্যাংক ঋণের পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ছিল পাঁচ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। শতাংশ হারে এটা হয় ২৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। বর্তমানে ৯ লাখ ৬২ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা ঋণ আছে। এর মধ্যে খেলাপি এক লাখ ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। শতাংশ হারে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এ হিসেবে বলবো আমাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়েনি। তারপরও আমি মনে করি খেলাপি ঋণ থাকা উচিত নয়। সিঙ্গেল ডিজিটে আনতে পারলে সব থেকে ভালো হতো। যতটুকু পারি সেই ব্যবস্থা নেবো। এদেশের মানুষের কষ্টার্জিত টাকা কোনোভাবেই খেলাপি ঋণের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দিতে পারি না।

আমাদের সুদের হারের পদ্ধতির হারণে ঋণ খেলাপি হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সিস্টেমের কারণে অনেকগুলো ঋণ খেলাপি হয়ে গেছে। সিম্পল সুদের হার থেকে কম্পাউন্ড হার হওয়ার কারণে সুদের হার অনেক বেশি আসে। এসব কারণে ১০ শতাংশের ঋণ কখনও কখনও ১৮ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায়। এত বড় পরিমাণ ঋণ নিয়ে কোনও ব্যবসায়ী ব্যবসা করতে পারবে না। এজন্য আমরা সুদের পরিমাণ, কস্ট অব ফান্ডসহ সবই নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। ডিসেম্বরের মধ্যেই ফলপ্রসূ উদ্যোগ নিতে পারবো।

বিএনপির গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বছরের জুন পর্যন্ত দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৬ হাজার ৫৫ কোটি টাকা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ৮ হাজার ৪২ কোটি টাকা।

সরকারি দলের মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে খেলাপি ঋণগ্রাহকদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের বোর্ডসভায় খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে তা আদায়ের ওপর জোর দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী আরও জানান, ১০০ কোটি বা তার বেশি শ্রেণিকৃত ঋণের হিসাবগুলো নিবিড়ভাবে তদারকির জন্য একটি বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করার জন্য তফসিলি ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইউনিট খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

/ইএইচএস/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত
‘তীব্র গরমে’ মারা যাচ্ছে মুরগি, অর্ধেকে নেমেছে ডিম উৎপাদন
‘তীব্র গরমে’ মারা যাচ্ছে মুরগি, অর্ধেকে নেমেছে ডিম উৎপাদন
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক
রোমাকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা লেভারকুসেনের
ইউরোপা লিগরোমাকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা লেভারকুসেনের
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী