X
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
২৩ আষাঢ় ১৪৩২

রোহিঙ্গা নির্যাতনের তদন্তে অনুমোদন দিলো আইসিসি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৪ নভেম্বর ২০১৯, ২১:২৩আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ০০:১৮

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দ্বারা নির্যাতিত হয়ে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড় দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য ঢোকে রোহিঙ্গারা। ছবিটি ২০১৭ সালের আগস্টের শেষ সপ্তাহে তোলা। ছবি: বাংলা ট্রিবিউন।

রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে তদন্ত করার অনুমতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) আইসিসি এ অনুমোদন দিয়ে প্রি-ট্রায়াল কোর্ট তাদের কৌঁসুলিকে এ বিষয়ে কাজ করার অনুমতি দেন।

ফলে আইসিসির কৌঁসুলির অফিস এখন বিশ্বাসযোগ্য সূত্রের কাছ থেকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং প্রকৃত তথ্য জানার জন্য প্রমাণ সংগ্রহের কাজটি শুরু করবে।

আইসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই তদন্ত যতদিন লাগবে ততদিন চলবে এবং অপরাধ সংঘটনের যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলেই কেবল আদালতকে সমন বা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার অনুরোধ জানাবেন সংশ্লিষ্ট কৌঁসুলি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সমন বা পরোয়ানা পালন করার দায়িত্ব অন্যান্য দেশগুলোর এবং রোম স্ট্যাটুটের ( ১৯৯৭ সালের ১৭ জুলাই রোম শহরে গৃহীত নীতিমালা) সদস্য দেশগুলোর বাধ্যবাধকতা আছে আইসিসিকে সহযোগিতা করার।

এর আগে ৪ জুলাই কৌঁসুলির অফিস আদালতের কাছে তদন্ত শুরু করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে আইসিসি সবার কাছ থেকে এ বিষয়ে মতামত চায়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদর দফতর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইসিসির রেজিস্ট্রি অনুযায়ী বিভিন্ন নির্যাতিত ব্যক্তি তদন্ত করার দাবি করে এবং অনেকে তাদের মতামতে জানান একমাত্র বিচার ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা গেলেই এই ধরনের সহিংসতা ও নির্যাতন বন্ধ হবে। এরপর নির্যাতনের মাত্রার ভয়াবহতা এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ এমন নির্যাতনের শিকার হওয়ায় বিষয়টি বিবেচনায় নেয় আইসিসি এবং মনে করে এটি বিচারযোগ্য বিষয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমারের নির্যাতনের কারণে প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে এবং এই অপরাধের তদন্ত না হওয়ার মতো কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই বলে মনে করে আইসিসি।

প্রাণ বাঁচাতে পরিবারের বয়োবৃদ্ধ সদস্যকে কাঁধে নিয়ে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে আশ্রয়ের সন্ধানে আসে রোহিঙ্গারা। (ফাইল ছবি)

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইনে ২০১৭ এর ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী ও তাদের মদতে স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন হত্যা, লুটপাট, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী নানা ভয়াবহ নির্যাতন শুরু করে। ফলে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ সীমান্তে এসে জড়ো হতে থাকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ সরকার। এসময়ে আসা সাত লাখসহ মোট দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির (ফাইল ছবি)

এদিকে, চলতি সপ্তাহে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কোর্ট অফ জাস্টিসে গাম্বিয়া মামলা করেছে এবং আর্জেন্টিনাতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচিসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ইউনির্ভাসাল জুরিসডিকশনের অধীনে মামলা হয়েছে।

 

 

/এসএসজেড/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আবারও দুই দিনের রিমান্ডে সেলিনা হায়াৎ আইভী
আবারও দুই দিনের রিমান্ডে সেলিনা হায়াৎ আইভী
হাজারীবাগে ছেলে হত্যার অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
হাজারীবাগে ছেলে হত্যার অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
ভাটারায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেফতার
ভাটারায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেফতার
করের বোঝা ও সুশাসনের প্রতিশ্রুতি
করের বোঝা ও সুশাসনের প্রতিশ্রুতি
সর্বাধিক পঠিত
প্রসিকিউশন গণহত্যার দালিলিক প্রমাণ দিতে পারেনি: শেখ হাসিনার স্টেট ডিফেন্স
প্রসিকিউশন গণহত্যার দালিলিক প্রমাণ দিতে পারেনি: শেখ হাসিনার স্টেট ডিফেন্স
লোহিত সাগরে জাহাজে হামলায় আগুন, ডুবে যাওয়ার শঙ্কা
লোহিত সাগরে জাহাজে হামলায় আগুন, ডুবে যাওয়ার শঙ্কা
বাংলাদেশে নিজের অনেক ভক্ত জানার পর যা বললেন কেট উইন্সলেট
বাংলাদেশে নিজের অনেক ভক্ত জানার পর যা বললেন কেট উইন্সলেট
নদীতে ইলিশের দেখা মিলছে না কেন
নদীতে ইলিশের দেখা মিলছে না কেন
বিশেষ বিমানে গুজরাট থেকে দুই শতাধিক ‘বাংলাদেশি’কে সীমান্তে পাঠালো ভারত 
বিশেষ বিমানে গুজরাট থেকে দুই শতাধিক ‘বাংলাদেশি’কে সীমান্তে পাঠালো ভারত