X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমার সফরের সঙ্গে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার সম্পর্ক নেই : সেনাপ্রধান

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৮:১৭আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:৫২

সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান উদ্বোধন করেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। (ছবি:আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর) সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানির সঙ্গে দেশটিতে তার সফরের কোনও সম্পর্ক নেই। মিয়ানমার সফর ছিল তার রুটিন ওয়ার্কের অংশ। তিনি আরও বলেন, আমাদের ভূমি ব্যবহার করে প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইনসার্জেন্ট (বিদ্রোহী) গ্রুপকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। আমরা তাদের (মিয়ানমার) আশ্বস্ত করেছি, আমাদের যে জাতীয় পলিসি আছে, আমাদের সরকারের যা নির্দেশনা আছে, সেই অনুযায়ী আমরা যেকোনও ইনসার্জেন্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

মিয়ানমার সফর শেষে দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর চারটি প্রশিক্ষণ বিমানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সেনাবাহিনীর বিমান বহরে নতুনভাবে চারটি ডায়মন্ড ডিএ-৪০এনজি প্রশিক্ষণ বিমান সংযোজিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি এভিয়েশনে এসব প্রশিক্ষণ বিমান উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীসহ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য বেসামরিক প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইএসপিআর জানায়, আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য সেনাবাহিনীর আভিযানিক কাজে প্রত্যক্ষভাবে বিমান সহায়তা দেওয়া। আধুনিক সেনাবাহিনীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আর্মি এভিয়েশনে সংযোজিত হয়েছে আধুনিক হেলিকপ্টার ও সামরিক বিমান। এই প্রতিষ্ঠান ১৯৭৮ সাল থেকে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাদের কাজ চালাচ্ছে। বর্তমানে আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের বিমান বহরে রয়েছে সেসনা-১৫২ অ্যারোব্যাট, সেসনা গ্রান্ড ক্যারাভান সিই-২০৮বি বিমান, বেল-২০৬ এল ৪ হেলিকপ্টার, ইউরোকপ্টার ডফিন এএস ৩৬৫ এন৩+, এমআই ১৭১ এস এইচ হেলিকপ্টার এবং কাসা সি-২৯৫ ডব্লিউ বিমান।

শান্তিকালীন সময়ে আর্মি এভিয়েশন সেনা বৈমানিকদের প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন অনুশীলন ও মহড়ায় অংশগ্রহণ, জরুরি চিকিৎসার জন্য রোগী স্থানান্তর, সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন ও প্রশাসনিক কাজে জরুরি প্রয়োজনে সহযোগিতা দিয়ে থাকে। এসব কাজের পাশাপাশি যুদ্ধকালীন সময়ের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ ও ফায়ার সহায়তা দেওয়া, বিশেষ বিশেষ জায়গায় ভূমির স্বরূপ পর্যবেক্ষণ, আকাশ পর্যবেক্ষক হিসেবে গোলা নিয়ন্ত্রণ, জরুরি রিইনফোর্সমেন্ট সহায়তা, কমান্ডো অপারেশনে সহায়তা, জরুরি রসদ সরবরাহ ও যুদ্ধক্ষেত্রে রোগী স্থানান্তরসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধকালীন দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে রপ্ত করে থাকে।

/জেইউ/টিএন/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
অপহৃত ১০ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে আরাকান আর্মি
অপহৃত ১০ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে আরাকান আর্মি
ধানমন্ডিতে ছাদ থেকে পড়ে গৃহকর্মী আহত 
ধানমন্ডিতে ছাদ থেকে পড়ে গৃহকর্মী আহত 
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু