X
রবিবার, ১১ মে ২০২৫
২৮ বৈশাখ ১৪৩২

গভীর সমুদ্রে যৌথভাবে গবেষণা করতে চায় বাংলাদেশ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৮ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৪২আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৪২

বক্তব্য দিচ্ছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা সমুদ্র অর্থনীতির সুফল বয়ে আনতে প্রয়োজন অংশীদারিত্ব এবং এর জন্য দরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে গভীর সমুদ্র এলাকায় যৌথভাবে গবেষণা পরিচালনার বিষয়ে বাংলাদেশের গভীর আগ্রহের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক সমুদ্র-তলদেশ কর্তৃপক্ষ প্রণীত সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণার খসড়া কর্ম-পরিকল্পনার ওপর আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এসব কথা বলেন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়ন এবং জাতিসংঘের সমুদ্র বিজ্ঞান দশককে এগিয়ে নিতে এই কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থায়ী প্রতিনিধি বলেছেন, ‘সুনীল অর্থনীতি থেকে উদ্ভূত সম্ভাবনার পূর্ণ সুফল ঘরে তুলতে আমাদের প্রয়োজন সমুদ্র সম্পদে ন্যায়সঙ্গত অংশীদারিত্ব। বিশেষ করে, জাতীয় সমুদ্র সীমানার বাইরে এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র-তলদেশ কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ন্যায়সঙ্গত অংশীদারিত্ব।’

বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত রূপকল্প ২০৪১-এর উদাহরণ টেনে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘দেশের সমুদ্র সম্পদের কার্যকর ব্যবহার এবং বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বিনির্মাণে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছে। যাতে রূপকল্প-২০৪১-এর অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়।’

প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার শান্তিপূর্ণ মীমাংসার পর সুনীল অর্থনীতি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন খাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

গভীর সমুদ্র তলদেশে গবেষণা এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষ গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। গভীর সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের উপর জোর দেন তিনি। সেগুলো হলো– উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সক্ষমতা বিনির্মাণ ও কারিগরি ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করা; সবার অন্তর্ভুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রতিটি স্তরে বহু-অংশীজন ভিত্তিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা; পর্যাপ্ত, সম্ভাব্য ও উদ্ভাবনী অর্থায়ন নিশ্চিত করা এবং সর্বোপরি সমুদ্র-পরিবেশ ও এর জীববৈচিত্র্য অক্ষুণ্ন রাখা। এছাড়া গভীর সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়েও গুরুত্ব প্রদান করেন তিনি।

অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষের মহাসচিব মাইকেল ডব্লিউ লজ। এছাড়া কোরিয়ার সমুদ্র ও মৎস্যসম্পদ মন্ত্রী, নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টেট সেক্রেটারি এবং জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধিরা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষ পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে।

 

/এসএসজেড/এমএএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘বকেয়া ট্যাক্স না দিলে সিটি করপোরেশনের লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিরক্ত করবে’
‘বকেয়া ট্যাক্স না দিলে সিটি করপোরেশনের লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিরক্ত করবে’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অ্যাডামসকে বিদায় দিলো বিসিবি
চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অ্যাডামসকে বিদায় দিলো বিসিবি
বনশ্রীতে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গৃহকর্তা গ্রেফতার
বনশ্রীতে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গৃহকর্তা গ্রেফতার
সর্বাধিক পঠিত
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
ব্যাংকে টাকা আসছে নাকি বের হয়ে যাচ্ছে
ব্যাংকে টাকা আসছে নাকি বের হয়ে যাচ্ছে
আওয়ামী লীগ কচু পাতার পানি না: কাদের সিদ্দিকী
আওয়ামী লীগ কচু পাতার পানি না: কাদের সিদ্দিকী