স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ায় অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালু করতে চান পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা। এজন্য তারা সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন। তারা বলছেন, অফিস-আদালত, দোকানপাট, কলকারখানা থেকে শুরু করে সব কিছুই চলছে। রাস্তাঘাটেও মানুষের চলাচল রয়েছে। তাহলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলতে সমস্যা কোথায়? এজন্য তারা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং ওই মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে দেখাও করেছেন।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহন চলানোর অনুমতি দিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে। সেতুমন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। সরকার যদি সিদ্ধান্ত দেয় তাহলে সব শর্ত মেনে যানবাহন পরিচালনা করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘লকডাউনে শুধু বাস ছাড়া সবই চলছে। কলকারখানা, অফিস-আদালত দোকানপাট সবকিছুই খোলা রয়েছে। এসব অফিস আদালতে মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। বাস চলাচল না করায় সাধারণ মানুষ বিকল্প পথে মাইক্রোবাস, ট্রাক, সিএনজি, রিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেলে গাদাগাদি করে চলাচল করছে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বরং আরও বাড়ছে। এর চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চলাচল করা ভালো।’
রাজধানীতে চলাচল করা প্রজাপতি পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাজধানীতে চলাচল করা বেশির ভাগ বাসের মালিকের একমাত্র উপার্জনের পথ তাদের একটি বা দুটি বাস। সামনে ঈদ। বাস বন্ধ থাকায় মালিকদের যেমন সমস্যা, শ্রমিকদেরও সমস্যা। আশা করি সরকার বিষয়টি বিবেচনায় আনবে।’
স্বাস্থ্যবিধি মেনে, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। সংগঠনের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, কার্যকরী সভাপতি আবদুর রহিম বক্স দুদু, সহসভাপতি ছাদিকুর রহমান হীরু মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, ১৪ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সারাদেশে ৫০ লাখ পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। দিনের আয়ে দিন চলা এই শ্রমিকদের পরিবারগুলো এখন অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যত সিট তত যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন পরিচালনার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
