X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

শিথিল লকডাউনে সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৫ জুলাই ২০২১, ১৪:৩৭আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২১, ১৭:৩৫

লকডাউন শিথিলের ঘোষণায় সংক্রমণের হার বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। এর পরপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

তবে একইসঙ্গে এ সময় যদি সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলেও আশার কথা শুনিয়েছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই)  দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কোভিড-১৯ আইসিইউ সম্প্রসারণ এবং ওপিডি শেড উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, লকডাউন শিথিল করা হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আশা করি সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ‘ঈদের যে আনন্দ, সে আনন্দ মানুষ করতে পারবে না। আমরা এমনভাবে যাতে ঘোরাফেরা না করি, ঈদের আনন্দ যেন দুঃখে বা ট্র্যাজেডিতে পরিণত না হয়ে যায়। সংক্রমিত হয়ে মানুষ মারা গেলে ঈদ আর ঈদ থাকবে না, তখন আমাদের মাতম করতে হবে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশের করোনাভাইরাস প্রায় সব বিভাগে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। কিছু কিছু বিভাগে স্থিতিশীল আছে, কিছু কিছু বিভাগে ঊর্ধ্বমুখী। আমাদের দেশে ১৫ হাজার বেড রয়েছে, এরমধ্যে ৭৫ শতাংশ বেডে রোগী আছে। এ পরিস্থিতিতে সংক্রমণের হার কমাতে হবে। সংক্রমণের হার কমাতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সংক্রমণের হার বাড়লে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে, স্বাস্থ্য সেবায় বিরাট চাপ পড়বে। আমাদের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হবে। মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হবে। বিভিন্ন খাতে এর প্রভাব পড়বে। যেসব কারণে সংক্রমণ বাড়ে, আপনাদের অনুরোধ করবো সেসব কারণ আপনারা বুঝে চলবেন।

খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে গিয়েছিল। আশার কথা হলো এখন কিছু কিছু জেলায় সংক্রমণ কমেছে। খুলনাতেও মৃত্যুর হার কমেছে। অর্থাৎ লকডাউনের সুফল আমরা পেয়েছি। আমরা সব সময় মানুষকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। ঢাকা মেডিকেল কলেজে আইসিইউ মাত্র ২০টি ছিল, আমরা সেটিকে ৩০-এ উন্নীত করেছি। আমরা ১০টি আইসিইউ চালু করলাম। আমরা লক্ষ করেছি, এবার সংক্রমণ গ্রামগঞ্জে বেশি, শহরে কম। গ্রামের মানুষ মনে করে, সাধারণ সর্দি-কাশি, যে কারণে চিকিৎসা নিতে দেরি করে। যারা বয়স্ক আছেন তারা বেশি মারা যাচ্ছেন। আমরা ফিল্ড হাসপাতাল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি—বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

গ্রামের মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া ও তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাবেন, দেখবেন কোন কোন লোকজন অসুস্থ হয়েছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে টেম্পারেচার ও অক্সিজেন লেভেল মাপবেন। প্রয়োজনে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেবেন। এর মাধ্যমে রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যুর হার কমবে বলে আমরা মনে করি। স্টক থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। আমরা আরও ভ্যাকসিন পাবো। ভ্যাকসিন নিতে যদি সমস্যা হয়, গ্রামের মানুষদের যদি নিবন্ধন করতে কষ্ট হয়, তাহলে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েও আমরা ভ্যাকসিন দেওয়া চেষ্টা করবো—এটা পরের বিষয়।

টিকার বিষয়ে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন গ্রহণের বয়সসীমা কমিয়ে আনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা ছেলেমেয়েদের তাড়াতাড়ি স্কুল-কলেজে পাঠাতে চাই। শিক্ষকদের আমরা ভ্যাকসিন দিয়েছি এবং ১৮ বছর ও এর বেশি বয়সী ছেলেমেয়েদের আমরা ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসবো। তাদের স্কুল-কলেজে যাওয়ার সুযোগ করে দেবো। তাদের জীবনের একটা বছর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটা একটা দেশের জন্য বিরাট ক্ষতি।

 

/জেএ/এফএএন/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ছেলের মৃত্যুর ৪ দিনের মাথায় চলে গেলেন বাবা, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া
ছেলের মৃত্যুর ৪ দিনের মাথায় চলে গেলেন বাবা, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া
গাজা ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গাজা ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনেক নার্ভাস ছিলেন সাইফউদ্দিন
অনেক নার্ভাস ছিলেন সাইফউদ্দিন
বকশিবাজার মোড়ে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
বকশিবাজার মোড়ে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা