X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

বৈষম্যমুক্ত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: স্পিকার

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ২০:২৭আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ২০:২৭

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে দেশ এগিয়ে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছে বাংলাদেশ। সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে জাতির পিতার চেতনাসমৃদ্ধ শোষণ-বঞ্চনা-ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরতা মুক্ত, অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) মাগুরা মুক্ত দিবস ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মাগুরা জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে যুক্ত ছিলেন স্পিকার। পরে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত জানানো হয়।  

স্পিকার বলেন, ‘পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে তৎকালীন মাগুরা মহকুমায় ব্যাপক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। মাগুরাকে শত্রু মুক্ত করতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক সাহসী ভূমিকা নিয়ে পাক সেনা ও স্থানীয় রাজাকার, আল বদর বাহিনীর সঙ্গে প্রাণপণ যুদ্ধ করেন। গেরিলা বাহিনীর ব্যাপক আক্রমণে ও মিত্রবাহিনীর আগ্রাসনের ভয়ে পাকিস্তানি সেনারা রাতারাতি মাগুরা শহর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ৭ ডিসেম্বর শত্রুমুক্তির আনন্দে মাগুরার মুক্তিকামী মানুষের ঢল নেমে আসে সারা শহরে।’

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ থেকে ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬ এর ছয় দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজয়, ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চ নৃশংস গণহত্যা, ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুর্নগঠনের পাশাপাশি অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বনন্দিত ও অনন্য সংবিধান প্রণয়ন ইতিহাসে একটি মাইলফলক।’

স্পিকার বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের বিস্ময়। ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত “ডিজিটাল বাংলাদেশ” প্রতিষ্ঠা বর্তমান সরকারের মূল পরিকল্পনা। ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম উন্নত দেশ। ইতোমধ্যে জাতি  উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি অর্জন করেছে জাতিসংঘের কাছ থেকে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে। দারিদ্র্য হ্রাস, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, গৃহহীন ৯৯ লাখ মানুষকে ঘর তৈরি করে দেওয়া, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দক্ষতা, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছে বর্তমান সরকার। অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।’

মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাহজাহান খান, সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান, ড. বীরেন শিকদার ও ফাহমী গোলন্দাজ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

 

/ইএইচএস/আইএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সংসদ অধিবেশন শুরু, চলবে ৯ মে পর্যন্ত
সংসদ অধিবেশন শুরু, চলবে ৯ মে পর্যন্ত
মার্কিন ও ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের ওপর ইরানের নিষেধাজ্ঞা
মার্কিন ও ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের ওপর ইরানের নিষেধাজ্ঞা
গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার
গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার
পরপর দুবার কমলো এলপিজির দাম
পরপর দুবার কমলো এলপিজির দাম
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে