বাংলাদেশ পুলিশের ১৮০ সদস্যের একমাত্র নারী ফরমড পুলিশ ইউনিট (এফপিইউ) জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসা পৌঁছেছে। তারা গত রবিবার রাতে (২ জানুয়ারি ২০২২) বাংলাদেশ বিমানের একটি চার্টাড ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। ডিএমপি সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
কমান্ডার নাজমুন নাহারের নেতৃত্বে বর্তমান ব্যানএফপিইউ-১, রোটেশন-১৫, মনুসকো, ডিআরসি-এর সদস্যরা ব্যানএফপিইউ-১, রোটেশন-১৪, মনুসকো (ইউনাইটেড ন্যাশনস অর্গানাইজেশন স্ট্যাবিলাইজেশন মিশন ইন দ্য ডিআর কঙ্গো), ডিআরসি ইউনিটকে প্রতিস্থাপন করবে।
বিদায়ী ব্যানএফপিইউ-১ ইউনিটের কমান্ডার ছিলেন মেরিনা আক্তার। কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এফপিইউটি সুনামের সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করেছে।
বিমানবন্দরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজি (এইচআরএম) মো. মাজহারুল ইসলাম, ডিআইজি (এইচআর) আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, ডিআইজি (অপারেশনস ও অতিরিক্ত দায়িত্বে মিডিয়া অ্যান্ড প্ল্যানিং) মো. হায়দার আলী খান, এআইজি (ইউএন অ্যাফেয়ার্স অপারেশনস) নাসিয়ান ওয়াজেদ মিশনগামী সদস্যদের বিদায় জানান।
মানবতার কল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারকে ধারণ করে বাংলাদেশ পুলিশ ১৯৮৯ সাল হতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করছে। বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা জাতিসংঘের আকাশ-নীল পতাকার পাশে উড়ছে এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকার দুর্গম প্রান্তরে।
গত তিন দশকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদারিত্ব এবং কর্মদক্ষতা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও অকুণ্ঠ প্রশাংসা কুড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন মনুসকো (MONUSCO)-তে বাংলাদেশ পুলিশের ফরমড পুলিশ ইউনিট পাঠানো হয়। বাংলাদেশ পুলিশ ২০১১ সাল হতে কঙ্গোতে নারী ফরমড পুলিশ ইউনিট পাঠাচ্ছে। ২০১৯ সাল হতে বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তারা ইনডিভিজুয়াল পুলিশ অফিসার (আইপিও) হিসেবে মিশনটিতে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ পর্যন্ত বিশ্ব শান্তিরক্ষার মহান দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ পুলিশের ২১ জন সদস্য আত্মোৎসর্গ করেছেন।