গত তিন মাসে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি দেখতে পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া, র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে জানায় তারা।
রবিবার (২০ মার্চ) বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র পার্টনারশিপ ডায়ালগ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের আন্ডার সেক্রেটারি (পলিটিক্যাল) ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড এসব কথা জানান।
দুই দেশের অষ্টম পার্টনারশিপ ডায়লগ ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং অন্যদিকে মার্কিন পক্ষে ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড।
নুল্যান্ড বলেন, আমরা জানি নিষেধাজ্ঞা একটি জটিল বিষয়। আমরা এটি নিয়ে আলোচনা করেছি তবে একই সঙ্গে বলতে চাই—এটি গোটা আলোচনার খুব ছোট একটি অংশ।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন র্যাবের কার্যকলাপ, আইন-বহির্ভূত হত্যা ও গুম নিয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে। তবে আমরা গত তিনমাসে এই বিষয়গুলো সমাধানে উন্নতি দেখতে পেয়েছি। আমাদেরকে পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন—বাংলাদেশের সরকার এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। দায়বদ্ধতা ও বিচার নিয়ে সরকার কাজ করছে। আমাদেরকে আজকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সরকারের পরিকল্পনা জানিয়ে একটি ডকুমেন্ট দেওয়া হয়েছে। আমরা আলোচনা অব্যাহত রাখবো কারণ নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ দমন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে দুই দেশের সম্পর্ক কিভাবে অগ্রসর হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানবাধিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র চুপ থাকবে না।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমরা আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি এবং আজকে একটি অনানুষ্ঠানিক পত্র তাদেরকে হস্তান্তর করেছি।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে র্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।