পদ্মা সেতুর সঙ্গে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার (১৮ জুন) ভারতের ওয়াইওন নিউজে প্রকাশিত এক ইন্টারভিউতে তিনি একথা বলেন।
সম্প্রতি অনেকে পদ্মা সেতুকে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অংশ হিসাবে প্রচার করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে।
ওই বিজ্ঞপ্তি কেনো প্রকাশ করার দরকার পড়লো এই প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ কেউ এটি বলার চেষ্টা করছে এবং আমি এর কারণ জানি না। কিন্তু এটি বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অংশ নয়। এর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।’
পদ্মা সেতু দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ কেউ এটি বলার চেষ্টা করার পরে আমরা চিন্তা করলাম বাস্তব চিত্র সবার সামনে তুলে ধরা উচিৎ। প্রকল্পে বিভিন্ন দেশের লোক কাজ করেছে এবং তাদেরকে সরকার অর্থ দিয়েছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য ‘পদ্মা সেতু: বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে বাংলাদেশ-চীন সহযোগিতার উদাহরণ’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের জন্য গত সপ্তাহে আমন্ত্রণপত্র বিলি করা হয়। এর আয়োজক ছিলেন চীনা দূতাবাস এবং বাংলাদেশ-চীন সিল্ক রোড ফোরাম।
১৭ জুন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পদ্মা সেতুকে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অংশ হিসাবে কেউ কেউ দেখানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু মন্ত্রণালয় দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চায় এর সঙ্গে বিদেশি কারও সংশ্লিষ্টতা নেই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরের দিন ওই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এবং সাবেক মন্ত্রী দিলিপ বড়ুয়া ছিলেন সভাপতি।