X
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ইউরিয়া সারের দাম বেড়েছে কেজিতে ৬ টাকা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০১ আগস্ট ২০২২, ১৮:৪৬আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২২, ১৮:৪৬

ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়িয়ে ২২ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। এখন থেকে প্রতিকেজি ইউরিয়া সার ১৬ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হবে ২২ টাকা দরে। নতুন এই মূল্য সোমবার (১ আগস্ট) থেকে কার্যকর হবে বলে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইউরিয়া সারের ব্যবহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে এবং চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া সারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতিকেজি ১৪  টাকা হতে বাড়িয়ে ২০ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে প্রতিকেজি ১৬  টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২ টাকা পুননির্ধারণ করেছে সরকার।

কৃষি মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিকেজি ইউরিয়ার সারের বর্তমান দাম ৮১ টাকা। এর ফলে ৬ টাকা দাম বৃদ্ধির পরও সরকারকে প্রতিকেজিতে ৫৯ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে প্রতিকেজি ইউরিয়া সারের ভর্তুকি ছিল মাত্র ১৫ টাকা।

গত এক বছর ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম প্রায় ৩-৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে সারে সরকারের ভর্তুকিও বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ। ২০২০-২১ অর্থবছরে যেখানে ভর্তুকিতে লেগেছিল ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা, সেখানে ২০২১-২২ অর্থবছরে লেগেছে ২৮ হাজার কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। আমন মৌসুমে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত দেশে ইউরিয়া সারের চাহিদা ৬ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন, বিপরীতে বর্তমানে মজুত রয়েছে ৭ লাখ ২৭ হাজার মেট্রিক টন, যা প্রয়োজনের চেয়ে প্রায় ১ লাখ টন বেশি। অন্যান্য সার যেমন টিএসপির আমন মৌসুমে চাহিদা ১ লাখ ১৯ হাজার টন, বিপরীতে মজুত ৩ লাখ ৯ হাজার টন, ডিএপির চাহিদা ২ লাখ ২৫ হাজার টন, বিপরীতে মজুত ৬ লাখ ৩৪ হাজার  টন এবং এমওপির চাহিদা ১ লাখ ৩৭ হাজার টন, বিপরীতে মজুত রয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার টন।

কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকার ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সারের মূল্য চার দফা কমিয়ে অত্যন্ত স্বল্প দামে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। ডিএপি সারে শতকরা ১৮ ভাগ নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সারের উপাদান রয়েছে। সেজন্য ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য সরকার ডিএপি সারের মূল্য প্রতিকেজি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করে কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছে। এ উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছরে ডিএপি সারের ব্যবহার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ সালে ডিএপি ব্যবহার হতো ৮ লাখ টন, বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে ১৬ লাখ টন।

ডিএপি সারের ব্যবহার বাড়ার ফলে ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমার কথা। কিন্তু বাস্তবে ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমেনি; বরং বেড়েছে। ২০১৯ সালে  ইউরিয়া ব্যবহার হতো ২৫ লাখ টন, বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে ২৬ লাখ ৫০ হাজার টন।

 

/এসআই/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পাওনা টাকার জেরে ভ্যানচালককে হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেফতার
পাওনা টাকার জেরে ভ্যানচালককে হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেফতার
পাঁচ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে এক নম্বর সতর্কসংকেত
পাঁচ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে এক নম্বর সতর্কসংকেত
যুক্তরাষ্ট্রে সেতুর সঙ্গে জাহাজের সংঘর্ষ, আহত ১৯
যুক্তরাষ্ট্রে সেতুর সঙ্গে জাহাজের সংঘর্ষ, আহত ১৯
বেনাপোলে মাদকসহ ভারতীয় ট্রাকচালক গ্রেফতার
বেনাপোলে মাদকসহ ভারতীয় ট্রাকচালক গ্রেফতার
সর্বাধিক পঠিত
উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষককে বরখাস্ত
উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষককে বরখাস্ত
নগর ভবনে উপদেষ্টা আসিফকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
নগর ভবনে উপদেষ্টা আসিফকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে কঠোর হলো ভারত
বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে কঠোর হলো ভারত
ছাত্রলীগের ১৫ জন মিলে চার মিনিটের মিছিল, আটক তিন
ছাত্রলীগের ১৫ জন মিলে চার মিনিটের মিছিল, আটক তিন
বিমানের চাকা খুলে পড়ার কারণ সম্পর্কে যা জানা গেলো
বিমানের চাকা খুলে পড়ার কারণ সম্পর্কে যা জানা গেলো