X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

পরিবেশগত ছাড়পত্রের আবেদন করেনি এমন ট্যানারি বন্ধের সিদ্ধান্ত

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:৪৮আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:১৭

সাভারের ট্যানারি শিল্প নগরীর যেসব ট্যানারি পরিবেশগত ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেনি এবং কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার সম্ভাবনা নেই, সেসব ট্যানারি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

বৈঠকে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ছাড়াও শিল্প মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সবার সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী মাসে এসব ট্যানারির তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

সাভারের চামড়াশিল্প নগরীতে দৈনিক ৪০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য উৎপাদিত হয়, যেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা রয়েছে ২৫ হাজার ঘনমিটার। সেখানে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোনও ব্যবস্থাই নেই। গত বছরের আগস্টে দূষণের দায়ে শিল্প নগরী ‘আপাতত’ বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। এরপরও সংসদীয় কমিটি দূষণ বন্ধে একাধিকবার সুপরিশ করলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বৈঠকে শিল্প এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি। শিল্পমন্ত্রী এবং বাণিজ্যমন্ত্রীকেও বৈঠকে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়।

সংসদীয় কমিটির মঙ্গলবারের বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার অংশ নেন। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব এবং বিসিকের চেয়ারম্যান অংশ নেন।

বৈঠক শেষে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সাভারে স্থানান্তরের উদ্দেশ্য ছিল দূষণ রোধ করা। কিন্তু এখন সাভারের ধলেশ্বরী মৃতপ্রায়। আগে বুড়িগঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এখন হচ্ছে ধলেশ্বরী। চামড়াশিল্প নগরীতে কঠিন বর্জ্য পরিশোধনের কোনও ব্যবস্থা নেই। শিল্প এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বীকার করেছে যে, তাদের ব্যর্থতা আছে। বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়েছে— ট্যানারি কারখানাগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হবে। একটি ভাগে থাকবে যেসব প্রতিষ্ঠান নিজেরা বর্জ্য শোধানাগার তৈরি করেছে এবং করার বিষয়ে আগ্রহী। আরেকটি ভাগে থাকবে যেসব প্রতিষ্ঠান কখনোই পরিবেশ ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেনি এবং জোড়াতালি দিয়ে চলছে, যাদের কমপ্লায়েন্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো থাকবে তৃতীয় ভাগে।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘দ্বিতীয় ভাগে যেসব প্রতিষ্ঠান থাকবে, সেগুলো দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করবে। তাদের সব সুবিধা বাতিল করা হবে। তৃতীয় ভাগে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কমপ্লায়েন্ট হওয়ার জন্য ছয় মাসের সময় দেওয়া হবে। আগামী মাসে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। এ ছাড়া বর্জ্য পরিশোধনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছাড়া কীভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, এর জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, তানভীর শাকিল, মো. রেজাউল করিম এবং মো. শাহীন চাকলাদার বৈঠকে অংশ নেন।

/ইএইচএস/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ৬১ হাজারের বেশি আবেদনএমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে বছরে ঘাটতি ৫৬০ কোটি টাকা
২০২৩ সালে রাজনৈতিক সহিংসতায় বিআরটিসির ১০ বাস পুড়েছে
সর্বশেষ খবর
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
লোকসভা নির্বাচন: মণিপুরে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ
লোকসভা নির্বাচন: মণিপুরে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ
ওঠানামা করছে মুরগির দাম, বাড়ছে সবজির
ওঠানামা করছে মুরগির দাম, বাড়ছে সবজির
শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?