X
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫
২২ আষাঢ় ১৪৩২
সেমিনারে বিশ্লেষকরা

যুক্তরাষ্ট্রের ‘বার্মা অ্যাক্ট’ আঞ্চলিক সংঘর্ষ বাড়াতে পারে

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৫৭আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:৪৬

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গেলো বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ‘বার্মা অ্যাক্ট’ পাস হয়েছে। এই আইনের কারণে ওই অঞ্চলে সংঘর্ষ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এই অবস্থায় কোনও পক্ষে শামিল না হওয়া বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির আয়োজনে ‘রিস্টোরিং পিস ইন মিয়ানমার: টু ইয়ারস আফটার মিলিটারি ক্যু’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

তারা বলেন, ‘সামরিক শাসন অবসানের মাধ্যমে এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আসবে এবং এজন্য সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।’

আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বলেন, ‘এ অঞ্চলের সাংঘর্ষিক ভূ-রাজনীতি অনেক পুরনো। এখানে ভারত চীনকে কোণঠাসা করা চেষ্টা করছে। আবার চীন ভারতকে একদিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ‘বার্মা অ্যাক্ট’ আঞ্চলিক সংঘর্ষ বাড়াতে পারে

যুক্তরাষ্ট্রের ‘বার্মা অ্যাক্ট’ এ অঞ্চলের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি হয়তো আমাদের জন্য ভালো হবে না। এক্ষেত্রে আমার বিবেচনায় আমাদের হাতে তিনটি অপশন আছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে পারি, এই অঞ্চলে আমরা সংঘর্ষ চাই না। তোমরা যদি সংঘর্ষ করতে চাও, নিজেদের এলাকায় করো। আমার বিবেচনায় এটি সবচেয়ে ভালো অপশন।‘

অন্য দুটি অপশনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমত, আমরা প্রতিরক্ষা-কেন্দ্রিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর না করার নীতি অনুসরণ করতে পারি। দ্বিতীয়ত, এই সংঘর্ষে সরাসরি অংশ নিতে পারি এবং সেক্ষেত্রে চীন অথবা ভারত–যেকোনও একটি দেশকে বেছে নিতে হবে, কারণ এখানে দুইপক্ষের সঙ্গেই থাকা যাবে না।‘

মিয়ানমারের প্রবাসী সরকারের ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ওয়েই সো বলেন, ‘আমি রাজনীতিবিদ নই, একজন চিকিৎসক। কিন্তু আমি এখানে এসেছি, কারণ এটি জনগণের যুদ্ধ।’

ন্যাশনাল ইউনিটি গর্ভনমেন্টের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ওয়েই সো

রোহিঙ্গাদের এনইউজি কীভাবে দেখে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা আমাদের লোক এবং তারা আমাদের একজন।’

মিয়ানমারের ৫০ শতাংশেরও বেশি অঞ্চল এনইউজি নিয়ন্ত্রণ করে এবং এ পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি সামরিক সৈন্য মারা গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম এবং এখন আমরা অর্ধেক পথ অতিক্রম করেছি। বর্তমানে আমাদের সৈন্য সংখ্যা ৩ লাখেরও বেশি এবং আমরা অবশ্যই এই যুদ্ধে জিতবো।’

আলোচনায় রোহিঙ্গা প্রতিনিধি হ্লা মিন্ট বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এখন এক হচ্ছে। কারণ আমরা বুঝতে পেরেছি, এক না থাকলে আমাদের সমস্যা হবে।’

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ইস্টার্ন অ্যাপ্রোচ (চীনের নীতি) অনুসরণ করছে, যা ব্যর্থ হয়েছে। এখন আমাদের পশ্চিমা নীতি (বার্মা অ্যাক্ট) অনুসরণ করা প্রয়োজন।’

/এসএসজেড/ইউএস/এমওএফ/
সম্পর্কিত
‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব’
মিয়ানমারে ইন্দোনেশিয়ান ইনফ্লুয়েন্সারকে ৭ বছরের কারাদণ্ড
চীন সফর নিয়ে বিশেষ সংবাদ সম্মেলনরোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের অধিকতর কার্যকর ভূমিকা চেয়েছে বিএনপি
সর্বশেষ খবর
টিভিতে আজকের খেলা (৬ জুলাই, ২০২৫)
টিভিতে আজকের খেলা (৬ জুলাই, ২০২৫)
গ্রিন-স্মিথের ফিফটিতে গ্রেনাডায় স্বস্তিতে অস্ট্রেলিয়া
গ্রিন-স্মিথের ফিফটিতে গ্রেনাডায় স্বস্তিতে অস্ট্রেলিয়া
ইনজুরি টাইমের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল
ক্লাব বিশ্বকাপইনজুরি টাইমের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল
শিগগিরই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে: খাদ্য উপদেষ্টা
শিগগিরই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে: খাদ্য উপদেষ্টা
সর্বাধিক পঠিত
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় হাত: চাপের মুখে প্রবীণ ও মধ্যবিত্তরা
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
কনস্টেবলকে ‘স্যার’ ডেকে ধরা পড়লেন ভুয়া এসআই
কনস্টেবলকে ‘স্যার’ ডেকে ধরা পড়লেন ভুয়া এসআই
আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতীকী কফিন মিছিল
আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতীকী কফিন মিছিল