X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাল্যবিয়ে রোধে পরামর্শ দিচ্ছে কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র

শফিকুল ইসলাম
২৭ মার্চ ২০২৩, ১৯:২৬আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৩, ২০:৪৪

‘১০ থেকে ১৯, আমরা তোমার পাশে’—এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের প্রতিটি উপজেলায় কমপক্ষে একটি করে কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র চালু করেছে সরকার। যেখান থেকে (স্বাস্থ্যকেন্দ্র) সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীকে নিয়মিত সচেতন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কাজ করছে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও। এরমধ্যে অন্যতম হলো—বৈদেশিক সাহায্যকারী সংস্থা ইউএসএইডের ‘সুখী জীবন প্রকল্প’। পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় ও বেসরকারি এনজিও লাইট হাউজের আয়োজনে যুবক ও কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সচেতনতায় কাজ করছে এই প্রকল্পটি। এদের কর্মকাণ্ডে দেশে বাল্যবিবাহের প্রবণতা এখন অনেকটাই কমেছে। এসব কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকারি-বেসরকারি নানামুখী উদ্যোগ। রাজধানীর আশপাশের কয়েকটি কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র সরেজমিন পরিদর্শন করে এসব তথ্য জানা গেছে।

মোসাম্মাদ জেসমিন খাতুন, অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। বয়ঃসন্ধিকাল পার করছে এই কিশোরী। ভুগছে স্বাস্থ্যগত জটিলতায়। কিন্তু লজ্জায় কাউকে বলতে পারছে না কিছুই। বাব-মা’কেও বলতে সংকোচ হয়। এ ধরনের মানসিক সমস্যায় চিন্তিত কিশোর-কিশোরীরা বন্ধু-বান্ধবীর মতো স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ নিতে এসেছে গাজীপুরের মৌচাক ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের আওতাভুক্ত কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে। এরকম হাজারেরও বেশি কেন্দ্রের দায়িত্বশীল কর্মীরা ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের আওতাভুক্ত কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পরামর্শ দিচ্ছেন। এভাবে পরামর্শ নেওয়ার ফলে অনেকেই উপকৃত হচ্ছে। নিশ্চিত হচ্ছে কিশোর-কিশোরীর স্বাস্থ্য অধিকার। নিয়ন্ত্রণে এসেছে বাল্যবিবাহ। ফলে প্রতিদিনই সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বাড়ছে।

লাইট হাউজের কর্মী সানজিদা বলেন, ‘লাইট হাউজ পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত ওয়ার্ড এবং গাজীপুর জেলার ৫টি উপজেলায় যুব ও কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে।’

মৌচাক ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের আওতাভুক্ত কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রটির পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক নুসরাত জাহান বলেন, ‘মহামারি করোনার সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশে ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে বাল্যবিবাহ। তবে করোনার পরে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর পর সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে বাল্যবিবাহ। এ ক্ষেত্রে কাজ করছে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা কিছু স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।’ তিনি বলেন, ‘বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরীরা স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতায় ভোগেন। মা-বাবার কাছেও লজ্জায় বলতে পারে না। অনেকেই মানসিক সমস্যায় ভোগেন। এ ধরনের কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ দিচ্ছি। এর পাশাপাশি নারীদের অন্তঃসত্ত্বাকালীন ও প্রসবকালীনসহ নানা চিকিৎসা দেওয়া হয় এখানে। ঋতুস্রাবের সময় স্যানিটাইজার ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হয়। কিশোরদের স্বপ্নদোষ বা বীর্যপাতে শরীরে যে পরিবর্তন ঘটে, সেই বিষয়ে ধারণা ও পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া গ্রামে উঠোন পর্যায়ে বৈঠক করে নারী ও কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতন করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘এ কেন্দ্রটির পাশেই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। কিশোর-কিশোরীরা ক্লাস শুরুর আগে বা পরে এসে তারা সেবা নিচ্ছে। এছাড়া আশপাশের নারীরাও সেবা নিচ্ছেন। এতে অনেকেই উপকৃত হচ্ছেন। ফলে প্রতিদিনই সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বাড়ছে।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, কিশোর-কিশোরীর প্রতি সহিংসতা এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ কৈশোরকালীন মানসিক বিকাশ একটি সুস্থ জাতি গঠনে সাহায্য করে। এ জন্য কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত জরুরি। কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সমন্বিতভাবে সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে নুসরাত জাহানের কথা বলার সময় কেন্দ্রটিতে সেবা নিচ্ছিলেন ১৫ থেকে ২০ জন নারী ও কিশোরী। এরমধ্যে কথা হয় মোসাম্মাদ জেসমিন খাতুনের সঙ্গে। এই কিশোরী বলেন, এখানে প্রথম এসেছেন তিনি। শরীরে কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। চিন্তিত ছিলাম। পরে আমার এক বান্ধবী এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসতে বলে। স্বাস্থ্য আপাদের বিভিন্ন পরামর্শ পেয়েছেন বলে জানান তিনি। এখন ভালো লাগছে। শুধু জেসমিন একা নয়, তার মতো আরও  শত শত কিশোর-কিশোরী এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সেবা নিয়ে গড়ছেন আগামীর ভবিষ্যৎ।

একই জেলা সদরের নীলেরপাড়া নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-২-এ দেখা গেছে, স্কুলে পড়ুয়া পাঁচ থেকে ছয় জন কিশোরী এসেছেন স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়ে জানতে। এখানে কোনও নারী বা কিশোরকে দেখা যায়নি।

কেন্দ্রটির স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শক খাদিজা আক্তার বলেন, ‘আগে কিশোরীরা আসতে চাইতো না। এখন আসার প্রবণতা বাড়ছে। কিশোরীদের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যের পরিবর্তনের বিষয়ে ধারণা দেওয়া হয়। বিশেষ করে পুষ্টির ঘাটতি পূরণে করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হয়। অপুষ্টির শিকার কিশোরীরা গর্ভধারণ করলে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা কিশোর-কিশোরীদের বাবা-মাকেও সচেতন করি। ছেলে-মেয়েকে স্বাস্থ্যসেবা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি। ফলে অভিভাবকেরাই সন্তানদের নিয়ে আসেন স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য। এ ছাড়া বাল্যবিবাহের কুফল এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে পাড়া-মহল্লায় সচেতনতামূলক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। তবে বেশি বেশি প্রচারণা বাড়ালে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতি সেবাগ্রহীতাদের আগ্রহ আরও বাড়বে বলে জানান স্বাস্থ্যকর্মীরা।’

খাদিজা আক্তার বলেন, ‘কিশোর-কিশোরীরা অনেক সমস্যায় ভোগে, যা তারা কারও সঙ্গে শেয়ার করতে পারে না। ছেলে-মেয়েদের এ সময়ে অনেক পরিবর্তন হয়। আমরা এখানে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবাসহ কিশোর-কিশোরীদের সব ধরনের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকি। সবাই এখানে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সেবা নিয়ে থাকেন।’ তিনি বলেন, ‘বয়ঃসন্ধিকালে মানুষের শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন হতে শুরু করে। তখন কিশোর-কিশোরীরা প্রজনন ক্ষমতা লাভ করে। তাই এ সময় থেকেই প্রজনন স্বাস্থ্য  শিক্ষার প্রয়োজন। কিশোর-কিশোরীরা প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারলে— সুষ্ঠুভাবে নিজেদের যত্ন নিতে পারবে। এ শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে সুস্থ-সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারবে।’

খাদিজা আক্তার জানান, বর্তমানে প্রতি দিন গড়ে আট থেকে ১০ জন কিশোর-কিশোরী সেবা গ্রহণ করতে আসে। প্রতি মাসে গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ জন কিশোর-কিশোরী সেবাগ্রহণ করছে। বর্তমানে কিশোরীরা তাদের ব্যক্তিগত সমস্যাগুলো আমাদের কাছে খুব সহজে শেয়ার করতে পারে। তাদের সমস্যার আলোকে প্রয়োজনীয় সেবাসহ সহযোগিতা করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘বাল্য বিবাহের কুফল এবং প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, বাল্য বিবাহের ফলে যেসব সমস্যা তৈরি হয় এবং বাল্য বিবাহ থেকে মুক্তির জন্য কিশোর-কিশোরীদের সচেতনতামূলক সেশন পরিচালনা করা হয়। দরিদ্র কিশোরীদের জন্য স্যানেটারি ন্যাপকিন বিতরণ ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়।’

জানা গেছে, লাইট হাউজ যুবক ও কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করছে। এছাড়া এইআইভি, এইডস এবং এসটিআই প্রতিরোধ, দারিদ্র্য বিমোচন, আইন সহায়তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা নারী পাচার প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতামূলক কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রাক কৈশোর যাদের— বয়স ১০ থেকে ১৪ বছর, মধ্য কৈশোর— যাদের বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছর এবং প্রান্ত কৈশোর— যাদের বয়স ১৮ থেকে ১৯ বছর। এই তিন শ্রেণির কৈশোরদের চাহিদা অনুযায়ী, স্বাস্থ্য, প্রজনন স্বাস্থ্য, মনো-সামাজিক সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে।

ইউএসএআইডি’র আর্থিক সহায়তায় এবং পথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনায় কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে ‘সুখী জীবন’ প্রকল্পের লক্ষ্য হলো— এমন সামাজিক পরিবেশ তৈরি করা যেন কিশোর-কিশোরী এবং তরুণ-তরুণীরা যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে সচেতন হন এবং সেবা গ্রহণে আগ্রহী হয়। প্রকল্পের প্রধান প্রধান কাজ হলো— স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান, সামাজিক গণসচেতনতা তৈরি (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সেমিনার, অ্যাডভোকেসি, ধর্মীয় শিক্ষা, বিভিন্ন দিবস পালন ইত্যাদি)। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের মান উন্নয়নে সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ১০ থেকে ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত সময়কে বলা হয় কৈশোর। এই বয়সে ছেলেদের কিশোর এবং মেয়েদের কিশোরী বলা হয়। মেয়েদের মাসিক (ঋতু-স্রাব) জনিত জটিলতা এবং  ঋতুস্রাবকালীন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও তার ব্যবস্থাপনা এবং ছেলেদের বীর্যপাত (স্বপ্নদোষ) এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের ফলে যেসব সমস্যা পরিলক্ষিত হয়, তা নিয়ে আলোচনা, পরামর্শ প্রদান, প্রয়োজনে চিকিৎসা সহায়তা করা হয়।

ইউনিসেফের তথ্যমতে, দেশের মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ কিশোর-কিশোরী রয়েছে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য ১ হাজার ১০৩টি কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র রয়েছে। প্রতিবন্ধী কিশোর-কিশোরীরাও যাতে এসব সেবাকেন্দ্র থেকে সেবাগ্রহণ করতে পারে, সে বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

 

/এপিএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বাল্যবিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন: কামাল উদ্দিন আহমেদ
দেশে অর্ধেকের বেশি নারীর বাল্যবিয়ে হয়: সংসদে প্রতিমন্ত্রী
স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে পালিয়ে বিয়ে করে বরখাস্ত হলেন ইউপি সদস্য
সর্বশেষ খবর
‘বিএনপি যে কোনও উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে’
‘বিএনপি যে কোনও উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে’
ফেসবুকে নিজের সমালোচনা দেখে হাসি পায় সাকিবের
ফেসবুকে নিজের সমালোচনা দেখে হাসি পায় সাকিবের
উপজেলা নির্বাচনে পলকের হস্তক্ষেপ ঠেকাতে হাইকোর্টে রিট
উপজেলা নির্বাচনে পলকের হস্তক্ষেপ ঠেকাতে হাইকোর্টে রিট
নাগরিক জীবনের সব ক্ষেত্রে পুলিশের অবস্থান রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
নাগরিক জীবনের সব ক্ষেত্রে পুলিশের অবস্থান রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না