বিশ্বব্যাপী পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করার মতো দুঃখজনক ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্দেশ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চলমান অধিবেশনে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের যৌথ নেতৃত্বে একটি রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়েছে।
সোমবার জেনেভাতে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত এ রেজ্যুলেশনটিতে ৭৪টি দেশ কোস্পন্সরশিপ করেছে।
জেনেভা স্থায়ী প্রতিনিধির অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রেজ্যুলেশনের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলো তাদের বক্তব্যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে পানিতে ডুবে মৃত্যুহার সর্বাধিক উল্লেখ করে বলে যে, অল্প খরচেই এ মৃত্যুহার কমানো সম্ভব।
উল্লেখ্য, উন্নত বিশ্বের দেশগুলো ইতোমধ্যে শিশুদের সাঁতার শেখানোর মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে।
বাংলাদেশ তার বক্তব্যে এ মর্মে উপস্থাপন করে যে মৃত্যুহার কমাতে আইন প্রবর্তন, প্রজেক্ট গ্রহণ এবং অর্থ বরাদ্দ করার মাধ্যমে পানিতে ডুবে মৃত্যুহার কমাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ রেজ্যুলেশনে দ্রুততার সাথে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলো, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো এবং এনজিওদের সমন্বয়ে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রতিদিন পানিতে ডুবে ৫ বছরের কম বয়সী ৩০ জন শিশু মারা যায়। ১৮ বছর বয়স সীমার বিবেচনায় এ মৃত্যুহার ৪০। এ দু’টি পরিসংখ্যানের আলোকে বলা যায়, এ মৃত্যু প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া না হলে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে বাংলাদেশের সাফল্য ম্রিয়মাণ হয়ে যেতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পানিতে ডুবে সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।
বিশ্বে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এ মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। এ রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার হবে যা পানিতে ডুবে মৃত্যুহার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের কূটনৈতিক ভাবমূর্তি বাড়বে আশা করা যায়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল তারিখে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনে এ সংক্রান্ত প্রথম রেজ্যুলেশনও বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ডের উদ্যোগে গৃহীত হয়েছিল।