নির্বাচন সংক্রান্ত আইন, শ্রমিক নেতা শহীদুল ইসলাম হত্যা তদন্ত এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) সংশোধন নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে জানতে চেয়েছে সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি জানতে চায় তারা।
মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. ইমরান, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ অন্য কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই আইন সংশোধিত হবে, সে কথাও প্রকারান্তরে তাদের জানিয়েছি।’
নির্বাচন আইন বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই তারা পরিষ্কারভাবে বলেছেন তারা সব দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। গতকালকে আমার সচিব সাহেব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) যে প্রতিনিধি দল এসেছিল, তাদের বলেছে আইনের যে অবকাঠামো, নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন করার যে অবকাঠামো, সেটি বাংলাদেশে আছে। যেসব আইন এ বিষয়ে সহায়ক, সেগুলোর কথা উল্লেখ করেছি।’
শহীদুল ইসলামের মৃত্যু নিয়ে তারা কথা বলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা বলেছে সুষ্ঠু তদন্ত হলে ভালো। আমি তাদের অত্যন্ত পরিষ্কার করে বলেছি বাংলাদেশে এখন আগের সংস্কৃতি নেই যে কোনও বিচার হবে না। বাংলাদেশে এখন যেকোনও অপরাধের তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার হয়।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। তারা জিজ্ঞাসা করেনি এবং আমারও বলার প্রয়োজন হয়নি বলে তিনি জানান।
মিটিং শেষে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়াকে বই ও নৌকার রেপ্লিকা উপহার দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।